সেই সানচেজই চিলিকে তুললেন কোয়ার্টার ফাইনালে

ইকুয়েডরের বিপক্ষে গোলের পর সানচেজের উল্লাস। ছবি: এএফপি
ইকুয়েডরের বিপক্ষে গোলের পর সানচেজের উল্লাস। ছবি: এএফপি
>

ইকুয়েডরকে ২-১ গোলে হারিয়ে কোপা আমেরিকার কোয়ার্টার ফাইনালে উঠল চিলি। গোল করেছেন চিলির তারকা ফরোয়ার্ড অ্যালেক্সিস সানচেজ

কোপা আমেরিকার সবশেষ দুটি সংস্করণে চিলির শিরোপা জয়ে বড় ভূমিকা ছিল অ্যালেক্সিস সানচেজের। অথচ এ স্ট্রাইকারই ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের জার্সিতে গত মৌসুমে নিজেকে হারিয়ে খুঁজেছেন। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ২৭ ম্যাচে করেছেন মাত্র ২ গোল। ইউনাইটেডের কাছে সানচেজ তাই এখন অনেকটাই বোঝা মতো। তাঁকে বেচে দেওয়ার চেষ্টাও চলছে। তবে কোপা আমেরিকায় সানচেজের ফর্ম দেখলে কে জানে ইউনাইটেড হয়তো সেই চেষ্টা থেকে সরেও আসতে পারে!

সালভাদরে আজ ইকুয়েডরকে ২-১ গোলে হারিয়ে কোপা আমেরিকার কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করেছে চিলি। ম্যাচের ৫০ মিনিট পর্যন্তও ১-১ গোলে সমতায় ছিল দুই দল। পরের মিনিটেই গোল করে দলকে এগিয়ে দেন সানচেজ। পরে তাঁর গোল পুঁজি করেই জয় তুলে নেয় ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। ‘সি’ গ্রুপে শীর্ষস্থানীয় চিলি দুই ম্যাচে দুই জয় নিয়ে নাম লেখাল শেষ আটে। আর এ দুই ম্যাচেই গোল করেছেন সানচেজ।

খেলার শুরু থেকেই প্রতিপক্ষের ওপর চাপ বিস্তার করেছে চিলি। এতে ৮ মিনিটের মাথায় গোলও পেয়ে যায় দলটি। কর্নার থেকে উড়ে আসা বল বক্সে ঠিকমতো ‘ক্লিয়ার’ করতে পারেনি ইকুয়েডর। এ সুযোগে জোরালো শটে গোল করেন হোসে ফুয়েনজালিদা। প্রথমার্ধের বাকি সময় চিলি আধিপত্য বিস্তার করলেও ২৬ মিনিটে গোল হজম করেছে ম্যাচের ধারার বিপরীতে। বক্সের মধ্যে চিলি গোলরক্ষক ইকুয়েডরের খেলোয়াড়কে ফাউল করলে হজম করতে হয় পেনাল্টি।

স্পটকিক থেকে গোল করে ইকুয়েডরকে সমতায় ফেরান ভ্যালেন্সিয়া। ৫১ মিনিটে চার্লস আরানগুইজের ক্রস থেকে জয়সূচক গোলটি করেন সানচেজ। নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার মিনিটখানেক আগে চিলির আরতুরো ভিদালকে কনুই দিয়ে আঘাত করায় লাল কার্ড দেখেন ইকুয়েডরের গ্যাব্রিয়েল অ্যাকিলিয়ের।

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের গত মৌসুমে ২০ ম্যাচ খেলে মাত্র ১ গোল করেছিলেন সানচেজ। কোপায় জাতীয় দলের জার্সিতে সেই সানচেজই প্রিমিয়ার লিগের পারফরম্যান্স টপকে গেলেন মাত্র দুই ম্যাচ খেলেই। তবে এবার কোপায় চিলির হয়ে সানচেজের পাশাপাশি মিডফিল্ডার চার্লস আরানগুইজও দারুণ করছেন। এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ ৩টি গোল বানিয়ে দিয়েছেন বেয়ার লেভারকুসেনের এ মিডফিল্ডার। এর মধ্যে শুধু সানচেজকেই বানিয়ে দিয়েছেন দুটি গোল।