ইতিহাস বলছে, ইংল্যান্ড বাদও পড়তে পারে!

কাল শ্রীলঙ্কার কাছে হারের পর ইংল্যান্ডের বেন স্টোকস। ছবি: এএফপি
কাল শ্রীলঙ্কার কাছে হারের পর ইংল্যান্ডের বেন স্টোকস। ছবি: এএফপি
>শ্রীলঙ্কার কাছে হেরে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ওঠার সমীকরণ কঠিন করে তুলেছে ইংল্যান্ড। গত ২৭ বছরের ইতিহাসও দলটির বিপক্ষে

লঙ্কাকাণ্ড ঘটিয়ে শ্রীলঙ্কা শেষ পর্যন্ত ২০১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপটা জমিয়ে তুলল! কে জানত হেডিংলিতে কাল শ্রীলঙ্কার কাছে হারবে শক্তিধর ইংল্যান্ড। কিন্তু চোয়ালবদ্ধ লড়াইয়ে তুলে নেওয়া জয়ে স্বাগতিকদের শেষ পর্যন্ত মাটিতে নামাতে পেরেছে শ্রীলঙ্কা। আর শুরু থেকেই উড়ন্ত ইংল্যান্ড কাল পড়ন্ত বিমানের মতো ‘ক্র্যাশ ল্যান্ডিং’ করার পরই বিশ্বকাপটা তাদের জন্য কঠিন হয়ে গেছে।

বিশ্বকাপের আগে থেকেই ইংল্যান্ডকে দেখা হচ্ছিল সেমিফাইনালে সম্ভাব্য চার দলের একটি হিসেবে। প্রত্যাশা মিটিয়েই পারফর্ম করছিল এউইন মরগানের দল। কিন্তু লঙ্কানদের কাছে হারের পর সেমিতে ওঠার সমীকরণ তাদের জন্য কঠিন হয়ে পড়েছে। ৬ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তিনে ইংল্যান্ড। দলটির হাতে রয়েছে আর তিন ম্যাচ। এই তিন ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ—ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া, ওয়ানডে র‌্যাঙ্কিংয়ে দ্বিতীয় দল ভারত আর সবশেষ বিশ্বকাপের রানার্সআপ নিউজিল্যান্ড।

এই তিন ম্যাচ জিতলেই সেমিফাইনাল নিশ্চিত হবে ইংল্যান্ডের। রানরেট ভালো থাকায় এর মধ্যে দুটি ম্যাচ জিতলেও নিশ্চিত হতে পারে সেমিফাইনাল। এমনকি একটি ম্যাচ জিতলেও মরগানের দলকে দেখা যেতে পারে শেষ চারে, তবে সে ক্ষেত্রে অন্যান্য ম্যাচের ফল নিজেদের পক্ষে থাকতে হবে। কিন্তু ইংল্যান্ড যদি তাদের বাকি তিন ম্যাচ জিততে পারে, তাহলে আর কোনো সমীকরণের দরকার পড়বে না।

কিন্তু ইতিহাস ইংল্যান্ডের পক্ষে নেই। সেটি ১৯৯২ বিশ্বকাপ থেকে। সেবারের সংস্করণ থেকে এ তিন দলের বিপক্ষে সব মিলিয়ে ১০ ম্যাচ খেলেও জিততে পারেনি ইংল্যান্ড। অর্থাৎ গত ২৭ বছরে মোট সাতটি বিশ্বকাপে এ তিন দলকে হারাতে পারেনি তারা। মরগান অবশ্য আশাবাদী, ‘আমরা হারলে অনেক ভালোভাবে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করি। আশা করি, সেটাই যেন হয় (অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে)।’ লর্ডসে মঙ্গলবার নিজেদের পরের ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হবে ইংল্যান্ড।