ধোনির ব্যাটিংয়ে বিরক্ত টেন্ডুলকার

ভারতীয় দলে টেন্ডুলকার ও ধোনি যখন সতীর্থ ছিলেন। ফাইল ছবি
ভারতীয় দলে টেন্ডুলকার ও ধোনি যখন সতীর্থ ছিলেন। ফাইল ছবি
আফগানিস্তানের বিপক্ষে ধীরগতির ব্যাটিংয়ের জন্য মহেন্দ্রে সিং ধোনি ও কেদার যাদবের সমালোচনা করেছেন শচীন টেন্ডুলকার। স্পিনের বিপক্ষে ব্যাটসম্যানদের দুর্বলতাও ফুটে উঠেছে তাঁর চোখে।

গতকাল সাউদাম্পটনে বড় অঘটনের হাত থেকে বেঁচে গিয়েছে ভারত। বিরাট কোহলি বাহিনীকে কাঁপুনি ধরিয়ে দিয়েছিল আফগানিস্তান। শেষ পর্যন্ত ১১ রানের জয়ে ঘাম দিয়ে জ্বর ছাড়ার মতো অবস্থা হয়েছে ভারতীয় ক্রিকেটার থেকে শুরু করে সমর্থকদের। কিন্তু ম্যাচটা এমন পরিস্থিতিতে যাবেই-বা কেন! প্রথমে ব্যাট করে স্কোর বোর্ডে বড় পুঁজি এনে দিতে না পারার জন্য ব্যাটসম্যানদের দায়ী করেছেন শচীন টেন্ডুলকার। আলাদা করে মহেন্দ্র সিং ধোনি ও কেদার যাদবের সমালোচনা করেছেন বিশ্ব ক্রিকেটের এই কিংবদন্তি।

সাধারণত কারও সমালোচনা করতে দেখা যায় না টেন্ডুলকারকে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম কিংবা মিডিয়ার প্রশ্নবাণের সামনেও নিজেকে সামলে রাখেন। কিন্তু আফগানদের বিপক্ষে হতশ্রী ব্যাটিং মুখের তালা খুলতে বাধ্য করেছে তাঁকে। বিশেষ করে লোয়ার অর্ডারে অভিজ্ঞ ধোনি ও যাদবের ধীরগতির ব্যাটিংয়ে চটেছেন লিটল মাস্টার। এ ছাড়া স্পিনের বিপক্ষে ব্যাটসম্যানরা ভালো করতে পারছে না বলে আফসোসে পুড়ছেন।

৩১তম ওভারে দলীয় ১৩৫ রানে অধিনায়ক কোহলি ফিরে যাওয়ার পরে রানের গতি কমে আসে ভারতের। পঞ্চম উইকেট জুটিতে ৫৭ রান এসেছে ৮৪ বলে। জুটিটি যৌথভাবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ হলেও ধীরগতির হওয়ায় টেন্ডুলকারের মন ভরাতে পারেনি। ৫ নম্বরে ক্রিজে আসা ধোনি ৫২ বলে করেছেন ২৮ রান, ধোনির মতো অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যানের নামের সঙ্গে যা বড্ড বেমানান। কেদার ব্যক্তিগত দ্বিতীয় সর্বোচ্চ (৫২) করলেও বল খেলেছেন ৬৮টি।

দলের প্রয়োজনে সে সময়ে স্কোর বোর্ডে রান জমা করার তাড়া ছিল। কিন্তু চাহিদা অনুযায়ী ধোনি ও যাদবের ব্যাট আক্রমণাত্মক না হওয়ায় নিজের বিরক্তি আড়াল করতে পারেননি টেন্ডুলকার, ‘আমি কিছুটা হতাশ। আমাদের ব্যাটিং আরও ভালো হতে পারত। কেদার আর ধোনির জুটি দেখে আমি খুশি নই। তারা ধীরগতিতে ব্যাট করেছে। স্পিনের বিরুদ্ধে ৩৪ ওভার ব্যাটিং করে আমরা মাত্র ১১৯ রান করেছি। বোঝা যাচ্ছে আমরা স্পিনে বেশ দুর্বল।’