দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৩০৯ রানের চ্যালেঞ্জ পাকিস্তানের

৫৯ বলে ৮৯ করেছেন আজ সুযোগ পাওয়া হারিস সোহেল। ছবি: রয়টার্স
৫৯ বলে ৮৯ করেছেন আজ সুযোগ পাওয়া হারিস সোহেল। ছবি: রয়টার্স
লর্ডসে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টসে জিতে ব্যাটিং করে ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ৩০৮ রান তুলেছে পাকিস্তান। বাবার আজম ৮০ বলে ৬৯ আর হারিস সোহেল ৫৯ বলে করেছেন ৮৯।

শোয়েব মালিকের জায়গায় আজ দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে পাকিস্তান দলে খেলছেন হারিস সোহেল। নিজেদের সিদ্ধান্তে নিশ্চয়ই দারুণ উচ্ছ্বসিত পাকিস্তান টিম ম্যানেজমেন্ট। কী দুর্দান্ত ব্যাটিংটাই না করলেন হারিস। ৫৯ বলে ৮৯ রানের দারুণ এক ইনিংসে তিনি নিজের অন্তর্ভুক্তির সার্থকতা প্রমাণ করেছেন। এই ইনিংসের সঙ্গে বাবর আজমের ৬৯ আর দুই ওপেনারের মধ্য চল্লিশের দুই ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে লর্ডসে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ৩০৮ রান তুলেছে পাকিস্তান।

দক্ষিণ আফ্রিকা-পাকিস্তান দুই দলেরই বাঁচা-মরার লড়াই এটি। কিন্তু টসে হারা প্রোটিয়াদের বোলিংটা আজও খুব ভালো হয়নি। কাগিসো রাবাদা আর লুঙ্গি এনগিডির প্রথম ১০ ওভারেই ৫৮ রান তুলে ফেলে পাকিস্তান বিনা উইকেটে। দুই ওপেনার ইমাম-উল-হক আর ফখর আজমের শুরু করেছিলেন আত্মবিশ্বাসের সঙ্গেই। ‘হোম অব ক্রিকেটে’র চারদিকে মেরে রানের চাকা ঘোরাতে থাকেন দুই ওপেনার। ক্রিস মরিসের বলে ফখর আজম অবশ্য একটি সুযোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু ডিপ মিড উইকেটে তাঁর ক্যাচ ঠিকভাবে নিতে পারেননি দক্ষিণ আফ্রিকার লেগ স্পিনার ইমরান তাহির। পরে অবশ্য এই তাহিরই পাকিস্তানের রানের লাগাম টেনে ধরেছিলেন দুই ওপেনারকে ফিরিয়ে।

ইমাম-ফখর দুজনই ফিরেছেন ৪৪ রান করে। ফখর ইমরান তাহিরের বলে স্কুপ খেলতে গিয়ে স্লিপে দাঁড়ানো হাশিম আমলাকে ক্যাচ দিয়ে নিজের ইনিংসের অপমৃত্যু ঘটান। ইমামকে এক হাতের এক দুর্দান্ত ফিরতি ক্যাচে আউট করেছেন তাহির। ৮১ রানের ওপেনিং জুটি সম্ভাবনা জাগিয়ে শেষ হয়েছে। দ্বিতীয় উইকেটে ইমাম আর বাবর আজমের জুটি শেষ হয় ১৭ রানে। এরপর হাল ধরেছিলেন বাবর ও মোহাম্মদ হাফিজ। ধীরে ধীরে জুটিটি বড় করছিলেন। কিন্তু মার্করামের অফ স্পিনে এলবিডব্লু হয়ে শেষ হয়েছে হাফিজের ইনিংসটি। আউট হওয়ার আগে করেছেন ৩৩ বলে ২০।

ম্যাচের নিয়ন্ত্রণটা আবার পাকিস্তানের হাতে ফেরান বাবর আর হারিস মিলে। ৮১ রানের জুটি গড়েন তারা। বাবর ৮০ বলে ৬৯ রান করে ফেরেন ফিকাওয়াওয়ের বলে এনগিডির ক্যাচ হয়ে। তবে এরপর ইমাদ ওয়াসিম হারিসের সঙ্গে জুটি বেঁধে পাকিস্তানের সংগ্রহটাকে সামনে এগিয়ে নেন দারুণ ভাবে। দুজনের ৭১ রানের জুটি রীতিমতো শাসন করেছে দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারদের ওপর। হারিস ৫৯ বলে ৮৯ রান করে অপরাজিত ছিলেন শেষ পর্যন্ত। তিনি মেরেছেন ৯টি বাউন্ডারি, ৩টি ছক্কা। ইমাদ ৩টি চারে ১৫ বলে ২৩ করে বদলি ফিল্ডার জেপি ডুমিনির হাতে ধরা পড়েন। শেষ দশ ওভারে ৯১ রান তোলা পাকিস্তান আক্ষেপ করতেই পারে। উইকেটগুলো না হারালে সংগ্রহটা খুব সহজেই ৩৩০ রানের আশপাশে চলে যেত।

৬ বোলার ব্যবহার করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। কাগিসো রাবাদা আর লুঙ্গি এনগিডি দুজনই কিছুটা খরচে। রাবাদা ১০ ওভারে দিয়েছেন ৬৫ রান। উইকেট পাননি একটিও। তবে এনগিডি ৩ উইকেট পেয়েছেন ৯ ওভারে ৬৩ রান দিয়ে। তবে দারুণ করেছেন তাহির পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত এই লেগ স্পিনার ১০ ওভারে ৪২ রান দিয়েছেন। আন্দিলে ফিকোয়াও খারাপ করেননি। ৮ ওভারে দিয়েছেন ৪৯ রান দিয়ে তুলে নিয়েছেন ১ উইকেট। মরিসও ৯ ওভারে ৬১ রান দিয়ে উইকেটশূন্য। মার্করাম নিয়েছেন ১ উইকেট।