দক্ষিণ আফ্রিকাকে চেপে ধরেছে পাকিস্তান

দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যানরা লড়তেই পারছেন না। ছবি: এএফপি
দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যানরা লড়তেই পারছেন না। ছবি: এএফপি
লর্ডসে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টসে জিতে ব্যাটিং করে ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ৩০৮ রান তুলেছে পাকিস্তান। জবাবে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ২৫ ওভার শেষে ৩ উইকেটে ১০৬ রান দক্ষিণ আফ্রিকার।

দুই দলের জন্যই এটা বাঁচা–মরার ম্যাচ। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য একটু বেশিই। আজ হারলেও সমীকরণের প্যাঁচে সুযোগ থাকবে পাকিস্তানের। দক্ষিণ আফ্রিকার সেই বিলাসিতা নেই। আজ তাদের জিততেই হবে। কিন্তু জেতার মতো খেলতেই যে পারছে না দলটি।

বোলিং ও ফিল্ডিংয়ে একবারও মনে হয়নি পাকিস্তানের বিপক্ষে জেতার জেদ নিয়ে নেমেছে প্রোটিয়ারা। সহজ সব ক্যাচ হাতছাড়া হয়েছে, ফিল্ডিংয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার সেই চিরচেনা ক্ষিপ্রতা নেই। পেসারদের বলে নেই আগ্রাসন। ব্যাটিংয়েও দলটির ব্যাটসম্যানদের দেখে মনে হচ্ছে না ৩০০ তাড়া করার দায় আছে তাঁদের মাঝে।

ক্রিকে বিশ্বকাপে হাশিম আমলা সুযোগ পাবেন কি না, এ নিয়ে অনেক কথা হয়েছে। বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত যা করেছেন, তাতে দলে ডাক পাওয়ার পক্ষে কোনো যুক্তি দাঁড় করাতে পারেননি। আফগানিস্তানের বিপক্ষে কষ্টার্জিত ৪১–এর পর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৫৫ রান নিয়েছেন। কিন্তু একসময় বিরাট কোহলির কাছ থেকে দ্রুত রান তোলার বিভিন্ন মাইলফলক কেড়ে নেওয়া সেই আমলা আর বিশ্বকাপের আমলায় অনেক তফাত। আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলা আমলা আজ টিকেছেন ৩ বল। মোহাম্মদ হাফিজের প্রথম ওভার কাটিয়ে দেওয়ার পর মোহাম্মদ আমিরের প্রথম বলেই এলবিডব্লু  হয়েছেন।

৪ রানে প্রথম উইকেট হারিয়ে থিতু হওয়াতে মন দিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। নড়বড়ে শুরুর পর ধীরে ধীরে রান তোলার গতি বাড়িয়েছেন কুইন্টন ডি কক। অন্যপ্রান্তে অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসি শুরু থেকেই উজ্জ্বল ছিলেন। দুজনের ৮৭ রানের জুটিটা তবু সমর্থকদের মন জোগাতে ব্যর্থ। ৮৭ রানের জুটি গড়তে ১৮ ওভারের বেশি ব্যয় করেছেন দুজন। ফলে প্রয়োজনীয় রানরেট ৭ পেরিয়ে গেছে ৩০ ওভার বাকি থাকতেই। যখনই রান তোলার গতি বাড়ানোর সময় তখনই বিদায় নিয়েছেন ডি কক। শাদাবকে স্লগ করতে গিয়ে সীমানায় ক্যাচ দিয়েছেন। ৪৭ রানে থেমেছে ৬০ বলের ইনিংসটি।

এইডান মার্করামও বেশিক্ষণ টেকেননি। দলের বিপদ আরও বাড়িয়ে ১৬ বলে ৭ রান করে বোল্ড হয়েছেন শাদাবের বলে। ১০৩ রানে তৃতীয় উইকেট হারানো দলকে টানার সব দায়িত্ব এখন ৬৪ বলে ৪৮ করা ডু প্লেসির।