একাই জিতিয়েছেন, এমনটা ভাবেন না সাকিব

পার্শ্বনায়কদের কথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন সাকিব। ছবি: প্রথম আলো
পার্শ্বনায়কদের কথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন সাকিব। ছবি: প্রথম আলো
>সাউদাম্পটনে সোমবার আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৬২ রানের দাপুটে জয় তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ। ব্যাট হাতে ৫১ রান এবং বল হাতে ৫ উইকেট নিয়ে সাকিব একাই আফগানদের সব বাধাকে তুচ্ছ প্রমাণ করেছেন

বিশ্বকাপটা সাকিব নিজের রঙে রাঙাতেই এসেছেন। ব্যাট হাতে ওয়ার্নার-রুটদের পাত্তা দিচ্ছেন না মোটেই, ৬ ম্যাচ থেকে ৪৭৬ রান করে আসরের সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক। ৬ ম্যাচে ৩ অর্ধশতক এবং দুই শতকে বিশ্বসেরা সব ব্যাটসম্যানদের পেছনে ঠেলে ব্যাটিং প্রতিভার জানান দিচ্ছেন জোরেশোরে।

সাউদাম্পটনের উইকেট এমনিতেই স্পিনবান্ধব। আগের ম্যাচে আফগান স্পিনের সামনে নাকাল হয়েছিলেন কোহলি-রোহিতরা। বাংলাদেশকেও ম্যাচের আগেই হুমকি দিয়ে রেখেছিলেন আফগান দলপতি, স্পিন দিয়েই নাকি ঘায়েল করবেন তামিম-মুশফিকদের। কথা-কাজে মিল রেখে আফগান অধিনায়ক বোলিং উদ্বোধন করালেন মুজিব উর রেহমানকে দিয়ে। দলীয় ২৩ রানের মাথায় সেই অফ স্পিনারের বলেই বিদায় নেন লিটন।

স্পিনের চাপটা তখন থেকেই শুরু। তবে সেই চাপ সামাল দিতে বোধ করি বর্তমান ফর্মের সাকিবের চেয়ে ভালো ব্যাটসম্যান পাওয়া মুশকিল। নেমেই নিজের জাত চেনাতে শুরু করেন সাকিব। তামিম ধীরগতিতে খেলতে থাকলেও সাকিব নিজের সহজাত খেলা দিয়েই রানের চাকা সচল রাখেন। ২০১৯ বিশ্বকাপে নিজের তৃতীয় ফিফটি তুলে নিয়ে দলকে লড়াকু সংগ্রহের দিকে এগিয়ে দেন।

ম্যাচে পাঁচ উইকেট নিয়ে আফগান ব্যাটিংয়ের কোমর ভেঙে দিয়েছেন সাকিব, তাই সেটাই তাঁকে বেশি তৃপ্তি দিয়েছে, ‘পাঁচ উইকেট পেয়ে বেশি ভালো লেগেছে, তবে ফিফটি করতে বেশি পরিশ্রম করতে হয়েছে।’ এ সময় স্পিনবান্ধব উইকেটে আফগান বোলারদের বিপক্ষে একটি লড়াইয়ের সংগ্রহ দাঁড় করাতে দলের সবার অবদানের কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন সাকিব, ‘মুশফিক কার্যকর একটি ইনিংস খেলেছে, তাঁর ইনিংসটা ছাড়া এত রান করা সম্ভব হতো না। তা ছাড়া তামিম এবং মোসাদ্দেকও দারুণ ব্যাটিং করেছে।’

বিশ্বকাপের আগে আইপিএলে অংশ নিতে খুব বেশি ম্যাচ খেলতে পারেননি সাকিব। তবে সময়টা হেলায় না কাটিয়ে বিশ্বকাপের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করেছেন, ব্যাটিংয়ে ধারাবাহিক হতে ঘাম ঝরিয়েছেন অনেক। তাঁর ফলই এখন হাতেনাতে পাচ্ছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব, ‘বিশ্বকাপের আগে আমি অনেক পরিশ্রম করেছি। যাতে নিজেকে ভালোভাবে প্রস্তুত করা যায়, এখন সেই পরিশ্রমের প্রতিদান পাচ্ছি।’

সেমিফাইনালের দৌড়ে টিকে থাকার জন্য বাংলাদেশের সামনে লিগ পর্বের শেষ তিন ম্যাচে জয়ের কোনো বিকল্প ছিল না। আজ আফগানিস্তানের সঙ্গে জয় পেলেও তাই খুব একটা স্বস্তিতে থাকার সুযোগ নেই। পরের দুই ম্যাচে যে ভারত-পাকিস্তানের মোকাবিলা করতে হবে। সাকিব নিজেও সেই দুই ম্যাচের দিকে তাকিয়ে, ‘পরের দুটি ম্যাচ ভারত এবং পাকিস্তানের বিপক্ষে, দুটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। আমাদের এভাবেই খেলতে হবে।’