স্মিথ-ওয়ার্নারদের দুয়ো থেকে বাঁচাবেন না মরগান!

ম্যাচ পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে ইংলিশ অধিনায়ক এউইন মরগান। ছবি: এএফপি
ম্যাচ পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে ইংলিশ অধিনায়ক এউইন মরগান। ছবি: এএফপি
>

দর্শকে স্টিভেন স্মিথ ও ডেভিড ওয়ার্নারকে দুয়ো দিলে তাঁদের থামাবেন না, এমনটাই বলেছেন ইংল্যান্ডের অধিনায়ক এউইন মরগান।

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলোয়াড়ি চেতনার দারুণ দৃষ্টান্ত রেখেছিলেন ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলি। ভারতীয় সমর্থকেরা যখন ফিল্ডিংয়ের সময় স্টিভেন স্মিথকে দুয়ো দিচ্ছিলেন, কোহলি তখন ইশারায় সমর্থকদের দুয়ো দিতে বারণ করেছিলেন। তবে ইংলিশ অধিনায়ক এউইন মরগান সে পথে হাঁটবেন না। খোলাখুলিই বলে দিয়েছেন, দর্শকেরা স্মিথ-ওয়ার্নারকে দুয়ো দিলে থামাতে যাবেন না!

আজ লর্ডসে মুখোমুখি হচ্ছে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া। ম্যাচের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে তাই মরগানকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফেরা স্মিথ-ওয়ার্নারকে দর্শক দুয়ো দিলে কোহলির মতো তিনিও তাঁদের থামাবেন কি না। উত্তরে মরগান পক্ষ নিলেন দর্শকদেরই। বলেছেন, দর্শকেরা কীভাবে আচরণ করবেন, সে ব্যাপারে অন্তত কোনো দিকনির্দেশনা দেবেন না অধিনায়ক।

ইংলিশ অধিনায়ক বলেছেন, ‘দর্শকেরা অনেক টাকা খরচ করে খেলা দেখতে আসেন। তাঁদের যা ইচ্ছা তাই করতে পারেন। দর্শকেরা কীভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাবেন, সেটি আপনি ঠিক করে দিতে পারেন না। দুজন ক্রিকেটার নিষিদ্ধ হয়েছে, শাস্তি ভোগ করে ফিরে এসেছে, কিন্তু তার মানে এই নয় যে ফেরার সঙ্গে সঙ্গেই সমর্থকেরা তাদের মেনে নেবেন। দর্শকদেরও সময় দরকার।’

স্মিথ-ওয়ার্নারদের কীভাবে স্বাগত জানানো হবে, সেটি দর্শকদের ওপরই ছেড়ে দিচ্ছেন মরগান, ‘আমি কোনো কিছুই প্রত্যাশা করছি না। বিশ্বজুড়ে দর্শক-সমর্থকেরা একেক রকম প্রতিক্রিয়া দেখাবে, সেটিই স্বাভাবিক। দেখা যাক কী হয়।’

এদিকে অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ বলেছেন, দর্শকেরা দুয়ো দিলেও স্মিথ-ওয়ার্নারদের পারফরম্যান্সে কোনো হেরফের হবে না। বরং দর্শকদের দুয়ো তাঁদের জন্য অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করতে পারে, এমনটাই মনে করছেন ফিঞ্চ, ‘লোকজন কী বলছে, একজন খেলোয়াড় হিসেবে আপনি সেসবে কান দিতে পারেন না। ব্যাট করতে নামার সময় স্মিথ ও ওয়ার্নারের মাথায় এসব একদমই থাকবে না। গুটিকয়েক লোক দুয়ো দিক বা পুরো স্টেডিয়াম, তা কোনো পার্থক্য তৈরি করবে না। আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি, আমাদের খেলোয়াড়দের ওপর এসব ঘটনা কোনো প্রভাব ফেলতে পারেনি। বরং এটা তাদের অনুপ্রেরণাই দিয়েছে।’

এর আগে ইংলিশ ওপেনার জনি বেয়ারস্টোও আকারে-ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দিয়েছেন, দর্শকেরা দুয়ো দিতে চাইলে তাঁদের কিছু করার নেই। দুয়ো প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে বেয়ারস্টো টেনে এনেছেন ২০১৩-১৪ অ্যাশেজের কথা। তখনকার অস্ট্রেলীয় কোচ ড্যারেন লেম্যান স্টুয়ার্ট ব্রডকে দুয়ো দিয়ে দেশে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য স্বাগতিক সমর্থকদের উসকে দিয়েছিলেন। সেই ঘটনা মনে করিয়ে দিয়ে বেয়ারস্টো বলেছেন, ‘দুয়ো দেওয়া উচিত না অনুচিত, সে ব্যাপারে কিছু বলছি না আমি। তবে যা হবে, সেটা দুই পক্ষের তরফেই হওয়া উচিত। আমরা করতে পারব, কিন্তু তোমরা করতে পারবে না, এমন মনোভাব থাকাটা একটু অদ্ভুতই বটে।’