মেসির বেতন নিয়ে জাতিসংঘের প্রশ্ন

এ ছবিটা দিয়েই প্রশ্ন তুলেছে জাতিসংঘ। ছবি: ফেসবুক
এ ছবিটা দিয়েই প্রশ্ন তুলেছে জাতিসংঘ। ছবি: ফেসবুক

মেসিকে নিয়ে আলোচনা প্রতিদিনই হয়। কেউ তাঁর প্রশংসায় মুগ্ধ হন, অন্যরা তাঁর সমালোচনায় ব্যস্ত। এই আলোচকেরা সবাই ফুটবল সংশ্লিষ্ট অথবা ফুটবল সমর্থক। তবে এবার মেসিকে নিয়ে আলোচনা বা সমালোচনায় নামল একটি সংস্থা। সেটাও আবার কারা? জাতিসংঘের সহযোগী সংস্থা!

কোপা আমেরিকা নিয়ে আপাতত ব্যস্ত আছেন মেসি। আর্জেন্টিনাকে কোয়ার্টার ফাইনাল পার করা নিয়েই আপাতত চিন্তিত। তাঁর মাঠের পারফরম্যান্স নিয়ে অবশ্য মাথা ঘামাচ্ছে না ইউনাইটেড নেশন উইমেন। ক্লাব থেকে মেসির পাওয়া বেতন নিয়ে তাদের যত সমালোচনা। কেন মেসিকে এত বেতন দেওয়া হচ্ছে এমনটাই প্রশ্ন এ সংস্থার।

না, মেসি বেশি বেতন পাচ্ছেন এ নিয়ে সংস্থাটির আলোচনার ইচ্ছে ছিল না। কিন্তু নারী ফুটবলারদের পাওয়া বেতনই মেসির বেতনের দিকে তাদের দৃষ্টি টেনে নিয়েছে। নারী ফুটবলের সঙ্গে পুরুষ ফুটবলে বেতনের মধ্যে বৈষম্যটা রীতিমতো দৃষ্টিকটু। শুধুমাত্র মেয়েদের ফুটবলকে ছেলেদের ফুটবল দলের মতো গুরুত্ব দেওয়া হয় না বলে এবং বেতন বৈষম্যের কারণে চলতি বিশ্বকাপে খেলছেন না অ্যাডা হ্যাজারবার্গ। নরওয়ে দলের জন্য ব্যাপারটা অনেক বড় এক ধাক্কা। কারণ হ্যাজারবার্গ শুধু এবারের ব্যালন ডি’অর জয়ীই নন, লিঁওর হয়ে টানা চারটি চ্যাম্পিয়নস লিগও জিতেছেন এই ফুটবলার।

হ্যাজারবার্গ জাতীয় দল থেকে পর্যাপ্ত বেতন না পাওয়ায় খেলছেন না। কিন্তু ক্লাব ফুটবলেও যে নারীরা ভালো বেতন পাচ্ছেন, এমন নয়। এ কারণেই মেসিকেই উদাহরণ হিসেবে বেছে নিয়েছে ইউনাইটেড নেশন উইমেন। কারণ, বিশ্বে ক্লাব থেকে সবচেয়ে বেশি বেতন পাচ্ছেন মেসি। কর দেওয়ার আগে বাৎসরিক ৮৪ মিলিয়ন ডলার বেতন পান বার্সেলোনা ফরোয়ার্ড।

জাতিসংঘের ফেসবুক পেজের এক পোস্টে একটি ছবি দেওয়া হয়েছে। সে পোস্টেই জানিয়েছে ইউরোপের ৭টি সেরা লিগে খেলা ১ হাজার ৬৯৩ জন নারী ফুটবলাররা সবাই মিলে যে বেতন পান, সেটা মেসির একার বেতনের অর্ধেক! ইউরোপের সেরা সাতটি লিগের এই ফুটবলারদের মোট বেতন ৪২.৬ মিলিয়ন ডলার। সঙ্গে লিখে দেওয়া হয়েছে, ‘একজন পুরুষ ফুটবলার ইউরোপের সেরা সাত লিগের মেয়েদের মোট বেতনের দ্বিগুণ পাচ্ছেন। বিশ্বকাপ চলার সময়েই খেলাধুলায় মেয়েদের সমান বেতনের দাবি চেয়ে ইউএন নেশনসের আন্দোলনে যোগ দিন।’

বেতন বৈষম্য নিয়ে এমনিতেই প্রচুর ঝামেলা হচ্ছে। বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে যাওয়া যুক্তরাষ্ট্র দলের ২৮ জন মামলা করেছেন বোর্ডের বিরুদ্ধে। বৈষম্যমূলক আচরণের জন্য ক্ষতিপূরণ চেয়ে অ্যালেক্স মরগান, মেগান র‍্যাপিনু, কার্লি লয়েডদের দাবির মুখে বিশ্বকাপ শেষ হলেই সমাধানের আশ্বাস দিয়েছে বোর্ড