কাকে সমর্থন করব?

ইয়ারকি কি বাংলাদেশ থেকে দেখা যায়? এটা একটা রসিকতার সাইট, খুবই নির্দোষ আনন্দের সাইট। আমি এখন নিউইয়র্কে, ইয়ারকির ফেসবুক এবং সাইট, দুটোই দেখতে পাচ্ছি। তারা একটা মজার নির্দেশিকা তৈরি করেছে। সেমিফাইনালে বাংলাদেশকে পেতে চাইলে কোন ম্যাচে কোন দলকে সমর্থন করবেন। আমি সেখান থেকে তুলে ধরছি।

২৬ জুন নিউজিল্যান্ড-পাকিস্তানের খেলায় আমরা চাইব নিউজিল্যান্ডের জয়। ২৭ জুন ভারত–ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ইয়ারকি বলছে, ‘একজন জিতলেই হইছে।’ তবে ‘ভারত জিতলে সেইফ।’ শ্রীলঙ্কা-দক্ষিণ আফ্রিকার খেলায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ২৯ জুন পাকিস্তান-আফগানিস্তান খেলায়? ইয়ারকি বলছে, কিছু যায় আসে না। আমি বলি, অবশ্যই আমাদের মুজতবা আলীর আবদুর রহমানের দেশ আফগানিস্তানকে ভালোবাসা দেখাতে হবে। নিউজিল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া খেলা? উপভোগ করুন খোলামনে। ৩০ জুন ইংল্যান্ড-ভারত! ভারত, ভারত! ১ জুলাই শ্রীলঙ্কা-ওয়েস্ট ইন্ডিজ! ওয়েস্ট ইন্ডিজের গেইল দেখিয়ে দিক, দ্য বস ইজ অলওয়েজ রাইট। 

২ জুলাই ভারত-বাংলাদেশ! কাকে সমর্থন করবেন বলে দিতে হবে? আমরা বাকি সব খেলায় ভারতকে সমর্থন করব, শুধু বাংলাদেশের দিন? বলাই বাহুল্য! ৩ জুলাই ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ড! এবার আমরা কালাম ভাইয়ের জয় চাই। ৫ জুলাই পাকিস্তান-বাংলাদেশ। পাকিস্তান বাংলাদেশের কাছে ২০১৫ সালের পর আর একটা ওডিআইতেও জেতেনি। সেই যে শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে বাংলাওয়াশ করা শুরু হয়েছে, তারপর বাংলাদেশের বিজয়ের ধারা অব্যাহত আছে। গত বছর এশিয়া কাপেও বাংলাদেশ হারিয়েছে পাকিস্তানকে। কাজেই বুঝতেই পারছেন—৬ জুলাই ভারত বনাম শ্রীলঙ্কা আর অস্ট্রেলিয়া বনাম সাউথ আফ্রিকা। আমরা প্রথমটায় ভারতের জয় চাই। আর শেষেরটা? ইয়ারকির ভাষায়, দুধভাত।

যখন এই লেখা লিখছি, নিউজিল্যান্ড কাঁপছে পাকিস্তানের সামনে। এটা আমাদের আফসোস বাড়াচ্ছে। আহা, নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে খেলাটা যদি পরের দিকে হতো, আমরা নিশ্চয়ই জিততে পারতাম। আর যদি শ্রীলঙ্কার সঙ্গে খেলার দিন বৃষ্টিটা না হতো! গতস্য শোচনা নাস্তি। বাংলাদেশ ভারত এবং পাকিস্তানের সঙ্গে বীরের মতো খেলে জিতুক। বিজয়-ক্ষুধিত লাল-সবুজের দেশটির যে জয় খুব দরকার।