বাংলাদেশ-ভারত এক 'তাঁবু'তে

দেখা হয়ে গেল মাশরাফি ও ধোনির। ছবি: বিসিবি
দেখা হয়ে গেল মাশরাফি ও ধোনির। ছবি: বিসিবি
>মাশরাফির সঙ্গে দেখা হয়ে গেল ধোনির। এভাবে ম্যাচের আগে দুই দলের খেলোয়াড়দের দেখা-সাক্ষাৎ হবে নিয়মিত। বাংলাদেশ-ভারত যে বার্মিংহামে উঠেছে একই হোটেলে

সকালে হোটেল হায়াত রিজেন্সিতে দেখা ‘বশির চাচা’র সঙ্গে। পাকিস্তান দলকে সমর্থন দিতে উপস্থিত থাকেন সব মাঠেই। তাঁর টি-শার্টের পেছনে অবশ্য লেখা ‘ধোনি’! মহেন্দ্র সিং ধোনির বিরাট ভক্ত। ভারতীয় দল উঠবে হায়াত রিজেন্সিতে, সেটি জেনে চলে এসেছেন সকাল সকাল। এ হোটেলেই আছে বাংলাদেশ দল। এবার তাহলে ভারত-বাংলাদেশ একই ‘তাঁবু’তে!

আজ যেমন হোটেলে উঠতেই মাহেন্দ্র সিং ধোনির সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়ে গেল মাশরাফি বিন মুর্তজার। মাঠে মুখোমুখি হওয়ার আগে আগামী কদিনে উঠতে-বসতে, সকালে নাশতার টেবিলে এভাবেই ভারতীয় ক্রিকেটারদের সঙ্গে দেখা হয়ে যাবে মাশরাফিদের।

বাংলাদেশ দল ২৫ জুন থেকে আছে ছুটিতে। গত দুদিন দলের প্রতিনিধি হয়ে তবুও সংবাদমাধ্যমের সামনে এসেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ আর সৌম্য সরকার। আজ কেউই এলেন না। দুপুরে মুশফিকুর রহিম আর মাহমুদউল্লাহ বের হলেন জুমার নামাজ পড়তে। সৌম্য সরকার কম্পিউটার বিশ্লেষক শ্রীনিকে নিয়ে গেলেন খেতে। স্পিন কোচ সুনীল যোশি আর পেস বোলিং কোচ কোর্টনি ওয়ালশও কোথায় যেন ঘুরতে বের হলেন।

টিম হোটেলে আছেনই চার-পাঁচজন ক্রিকেটার। বাকিরা ঘুরছেন নানা জায়গায়। ক্লান্তি দূর করে চনমনে হয়ে ওঠার বিষয় তো আছেই, লম্বা এ ছুটির পেছনে আরও একটা বিষয় কাজ করেছে। যে মাঠে বাংলাদেশ ২ জুলাই ভারতের বিপক্ষে খেলবে, সেখানে ১ জুলাইয়ের আগে আসতেই পারবে না বাংলাদেশ। পরশু এজবাস্টনে যে খেলবে ভারত-ইংল্যান্ড। ৩০ জুন পর্যন্ত মূল ভেন্যু অন্যদের ‘দখলে’ থাকায় বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্টকে উৎসাহিত করেছে পাঁচ দিনের ছুটি দিতে। পরশু মূল ভেন্যুর বাইরে অন্য কোনো মাঠে বাংলাদেশ শুরু করবে অনুশীলন।

লম্বা এ ছুটি ভীষণ উপকারে এসেছে মাহমুদউল্লাহর। ক্রাচে ভর করে সাউদাম্পটন হোটেল ছাড়ছেন—এ দৃশ্য ভাইরাল হয়েছিল ফেসবুকে। আজ বেরিয়েছেন ক্রাচ ছাড়াই। পায়ের মাংসপেশিতে যে চোট ছিল সেটি দ্রুতই কাটিয়ে উঠছেন। দুদিন আগেও মাহমুদউল্লাহকে নিয়ে সম্ভাবনা পঞ্চাশ-পঞ্চাশ ছিল। আজ তাঁকে দেখে মনে হলো খেলার সম্ভাবনা বেড়েছে অনেকখানি । দলের সবাই আশাবাদী, ভারত-ম্যাচে পাওয়া যাবে মাহমুদউল্লাহকে। সবচেয়ে বড় কথা, তিনি নিজেই খেলতে উন্মুখ ম্যাচটা।

ছুটিটা ভালো সময়েই পেয়েছে বাংলাদেশ।