ইতিহাস গড়ে বোল্টের হ্যাটট্রিক

বিশ্বকাপে নিজের প্রথম হ্যাটট্রিক পেয়েছেন ট্রেন্ট বোল্ট। ছবি: রয়টার্স
বিশ্বকাপে নিজের প্রথম হ্যাটট্রিক পেয়েছেন ট্রেন্ট বোল্ট। ছবি: রয়টার্স
>উসমান খাজা, মিচেল স্টার্ক ও জেসন বেরেনডর্ফকে আউট করে ইনিংসের শেষ ওভারে হ্যাটট্রিক পেয়েছেন ট্রেন্ট বোল্ট। বিশ্বকাপ ইতিহাসে এটি একাদশ হ্যাটট্রিক।

অনেকটা খড়কুটো আঁকড়ে ধরার মতোই রিভিউটা নিয়েছিলেন জেসন বেরেনডর্ফ। লাভ হয়নি, রিভিউয়ের পরও আম্পায়ারের সিদ্ধান্তই বহাল থাকল। আর এতেই ইতিহাসের অংশ হয়ে গেলেন ট্রেন্ট বোল্ট। ক্রিকেট বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে হ্যাটট্রিকের স্বাদ পেলেন বোল্ট।

নিজের প্রথম ৯ ওভারে মাত্র এক উইকেট পাওয়া বোল্ট হ্যাটট্রিক পেয়েছেন ইনিংসের একদম শেষ ওভারে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মিচেল স্টার্কের ইয়র্কার এখনো যাদের চোখে লেগে আছে, তারা চাইলে বোল্টের হ্যাটট্রিকটিও একবার দেখে নিতে পারেন। তিনটি উইকেটই যে পেয়েছেন দুর্দান্ত ইয়র্কারে।

বোল্টের প্রথম শিকার ৮৮ রান করা উসমান খাজা। অন সাইডে খেলার জন্য উইকেট ছেড়ে অনেকটাই বেরিয়ে এসেছিলেন খাজা। ঘণ্টায় ১৩৭ কিলোমিটার গতিতে রিভার্স সুইং করা ইয়র্কারটি ঠেকাতে পারেননি খাজা। বোল্টের দ্বিতীয় শিকার হয়েছেন মিচেল স্টার্ক। তিন ইয়র্কারের মধ্যে এটিই সম্ভবত সেরা ছিল। একেবারে নিখুঁত এক ইয়র্কারে স্টার্কের মিডল স্টাম্প উপড়ে ফেলেছেন। আর পঞ্চম বলে লেগ স্টাম্পে করা ফুল লেংথের বল ব্যাটে লাগাতে পারেননি বেরেনডর্ফ, আবেদনের সঙ্গে সঙ্গেই আউট দিয়েছেন আম্পায়ার। শেষ ভরসা হিসেবে রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেননি বেরেনডর্ফ।

লাসিথ মালিঙ্গার পর দ্বিতীয় বোলার হিসেবে ‘ডাবল হ্যাটট্রিক’টাও পেয়ে যেতে পারতেন বোল্ট। খাজার মতোই প্রায় তিন স্টাম্প ছেড়ে বেরিয়ে এসেছিলেন নাথান লায়ন। অল্পের জন্য বলটি স্টাম্পে আঘাত করেনি। শেষ পর্যন্ত ১০ ওভারে ৫১ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়েছেন বোল্ট। অস্ট্রেলিয়াও ৫০ ওভার শেষে থেমেছে ৯ উইকেটে ২৪৩ রানে।

ওয়ানডে ক্যারিয়ারে এটি বোল্টের দ্বিতীয় হ্যাটট্রিক। গত বছরের নভেম্বরে পাকিস্তানের বিপক্ষে পেয়েছিলেন নিজের প্রথম হ্যাটট্রিক। মোহাম্মদ শামির পর এ বিশ্বকাপে হ্যাটট্রিক করা দ্বিতীয় বোলারও হয়ে গেলেন এ বাঁহাতি পেসার। বোল্টকে নিয়ে বিশ্বকাপে হ্যাটট্রিকের ‘একাদশ’ও পূর্ণ হয়ে গেল। বোল্টের হ্যাটট্রিকটি বিশ্বকাপ ইতিহাসের ১১তম হ্যাটট্রিক। বিশ্বকাপে দুটি হ্যাটট্রিক আছে কেবল লাসিথ মালিঙ্গার। ২০০৭ ও ২০১১ বিশ্বকাপে এ কীর্তি করেছিলেন মালিঙ্গা।