'মৌচাকে' ঢিল মারার খেসারত দিল মুক্তিযোদ্ধা সংসদ

গোলের পর নাসিরকে ঘিরে বসুন্ধরার খেলোয়াড়দের উল্লাস। ছবি: বাফুফে
গোলের পর নাসিরকে ঘিরে বসুন্ধরার খেলোয়াড়দের উল্লাস। ছবি: বাফুফে
>নীলফামারীতে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্রের বিপক্ষে ৪-১ গোলের বড় জয় পেয়েছে বসুন্ধরা কিংস। এ জয়ে ১৬ ম্যাচে ৪৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষস্থানটা আরেকটু সংহত করেছে প্রথমবার প্রিমিয়ারে খেলা দলটি।

বসুন্ধরা কিংস ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদের মধ্যকার ম্যাচটি দেখে থাকলে মৌচাকে ঢিল মারার আপ্তবাক্যাটি মনে পড়ে যাওয়ার কথা। নীলফামারীতে যেন মৌচাকে ঢিল মারার খেসারতই দিল মুক্তিযোদ্ধা সংসদ। বসুন্ধরার জালে প্রথমে বল পাঠিয়েও শেষ পর্যন্ত এক হালি গোল হজম করে মাঠ ছেড়েছে দলটি। ৪-১ গোলের বড় জয়ে বসুন্ধরাও শিরোপার পথে এগিয়ে গেল আরেক ধাপ। 

প্রথমার্ধের ১২ মিনিটেই গোল খেয়ে বসে বসুন্ধরা। মুক্তিযোদ্ধার আইভরি কোস্টের স্ট্রাইকার বাল্লো ফামুসার সাজিয়ে দেওয়া বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে শট নেন মিডফিল্ডার রয়েল। বল সাইড পোস্টের গোড়ায় লেগে ঢুকে যায় জালে। ৩৩ মিনিটে সমতায় ফেরে বসুন্ধরা। দানিয়েল কলিনদ্রেসের কর্নার থেকে হেড করেছিলেন নাসির, ডি বক্সে জটলার মধ্যে নোলকের গায়ে লেগে বল জালে জড়ায়। রেফারি অবশ্য গোল দিয়েছেন নাসিরের নামেই।

সমতায় ফিরে ধীরে ধীরে নিজেদের ফিরে পেতে শুরু করে বসুন্ধরা। প্রায় ৭০ শতাংশ বল নিয়ন্ত্রণে রেখে ছোট ছোট পাসে আক্রমণে উঠছিল, প্রতিপক্ষকে বিভ্রান্ত করে অ্যাটাকিং থার্ডে জায়গাও তৈরি করছিল। তবে প্রথমার্ধে আর গোলের দেখা পায়নি কোনো দলই।

তবে ঘরের মাঠে দ্বিতীয়ার্ধে পুরোপুরি দাপট ছিল বসুন্ধরার। ৪৯ মিনিটে ডিফেন্ডার নাসিরই আবার এগিয়ে নেন বসুন্ধরাকে। ইব্রাহিমের বাড়ানো ক্রস থেকে মাপা শটে বল জালে জড়ান নাসির।

সেন্টারব্যাক নাসিরের নামের পাশে জমা হয়ে গেছে জোড়া গোল। বসুন্ধরার স্ট্রাইকারদের তখন তাই দায় মেটানোর পালা। ৬৭ মিনিটে দায় মোচন করে ফেললেন ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার মার্কোস ভিনিসিয়ুস। ইমন বাবুর পাস থেকে বক্সে ঢুকে প্লেসিং করেন ভিনিসিয়ুস। তিন গোল করে অনেকটাই নির্ভার হয়ে যায় বসুন্ধরা। তবে গোলের ক্ষুধাটা তখনো মেটেনি। শেষ মুহূর্তে আলমগীর রানার কল্যাণে ৪-১ গোলের বড় জয়ই পেয়েছে বসুন্ধরা।

এই জয়ে ১৬ ম্যাচে ৪৬ পয়েন্ট হলো বসুন্ধরার। সমান ম্যাচে ঢাকা আবাহনীর পয়েন্ট ৩৯। লিগে ম্যাচ বাকি আর ৬টি করে। তবে বসুন্ধরা যে গতিতে এগোচ্ছে, তাদের রোখাটা একটু কঠিনই হবে। নোয়াখালীতে বিজেএমসির সঙ্গে এক পয়েন্ট হারানো ছাড়া পুরো লিগেই আর কোনো পয়েন্ট হারায়নি দলটি। বসুন্ধরার পরের ম্যাচ ৩ জুলাই, রহমতগঞ্জের বিপক্ষে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে।