হারতে কেউই চায় না, বললেন কোহলি

ডানা মেলতে পারেনি কোহলির ভারত। ছবি: রয়টার্স
ডানা মেলতে পারেনি কোহলির ভারত। ছবি: রয়টার্স

ম্যাচের পর সমালোচনার একটা ঢেউ উঠবে, বিরাট কোহলি হয়তো আগেই অনুমান করেছিলেন। বিশ্বকাপে একমাত্র অপরাজেয় দলের তকমাটা কাল হারিয়ে ফেলল ভারত। লক্ষ্যটা কঠিন ছিল। ৩৩৮ রান, এই যুগেও তাড়া করে জেতা সহজ নয়। বিশেষ করে এই আসরে বাংলাদেশ ছাড়া আর কোনো দলই তিন শর বেশি রান তাড়া করে জিততে পারেনি। ভারত নিরাপদ পথ বেছে নিয়েছিল হয়তো। কঠিন লক্ষ্য তাড়া করে বড় ব্যবধানে হারার বদলে নিরাপদ পরাজয়? ভারতের খেলা দেখে সে রকমই মনে হয়েছে অনেকের। তবে কোহলি বললেন অন্য কথা।

কাল ম্যাচ শেষে ভারত অধিনায়ক বলেছেন, ‘কোনো না কোনো পর্যায়ে এসে একটা ম্যাচ হারতেই হতো, সব দলই হেরেছে। তবে হারতে কেউই চায় না। আমাদের মানতে হবে, যে দল ভালো খেলেছে তারাই জিতেছে।’ এমন পরাজয় ভারতের জন্য কোনো ছন্দপতন নয় বলেও মনে করেন কোহলি, ‘ড্রেসিংরুমের ভাবটা আগের মতোই আছে। হ্যাঁ, পেশাদার ক্রিকেটার হিসেবে আমরা বুঝি এটা একটা ধাক্কা।’

টসের ফল এই ম্যাচে বড় পার্থক্য গড়ে দিয়েছে বলে মনে করেন কোহলি, ‘টসটা খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। বিশেষ করে এমন একটা মাঠে, যেখানে এক দিকে বাউন্ডারি ছোট। ওটা মনে হয় ৫৯ মিটার দূরত্বে, সেটা আন্তর্জাতিক মাঠের ন্যূনতম যোগ্যতা। এমন একটা পাটা উইকেটে একদিকে এমন যেটা খুবই অদ্ভুত।’

কোহলি অবশ্য দায় নিচ্ছেন। ভারত যে রান তাড়ায় ঠিকভাবে মনোযোগ দেয়নি, সেটিও যেন পরোক্ষে স্বীকার করে নিলেন, ‘আমাদের অবশ্যই ফিনিশিংয়ে আরও বেশি মনোযোগী হওয়া উচিত ছিল। কারণ উইকেটটা ছিল পাটা। একপর্যায়ে গিয়ে আমাদের রানের গতি বাড়িয়ে দেওয়া উচিত ছিল যাতে আমরা ওদের স্কোরের কাছে যেতে পারি।’

নিজের বোলারদের পাশে দাঁড়ালেন ভারত অধিনায়ক, ‘প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যান যখন রিভার্স সুইপ করে ৫৯ মিটারের বাউন্ডারির দিকে ছক্কা মারবে, আপনি আর কী করতে পারেন। অন্য দিকটা আবার ৮২ মিটার দূরত্বের। বোলার হিসেবে আমি কোন লাইনে বল করছেন এ ব্যাপারে আরও বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিতে পারেন। কিন্তু একদিকে এমন ছোট বাউন্ডারি হলে খুব বেশি কিছু করার থাকে না আসলে। তবু তো আমার বোলাররা দারুণভাবে ম্যাচে ফিরিয়েছে দলকে। ইংল্যান্ড তো এক সময় ৩৬০ রান তুলবে বলে মনে হচ্ছিল। আরও কম রানে ওদের আটকে ফেলা যেত। কিন্তু বেন স্টোকস যে ইনিংসটা খেলে দিল!’

ইনিংস বিরতিতে তবু নাকি জয়ের আশাই করেছিলেন কোহলি, ‘বিরতিতে তো আমরা সন্তুষ্টই ছিলাম। ভেবেছিলাম, একটা ভালো শুরু পেলে এই রান তাড়া করাও কঠিন কিছু হবে না। কিন্তু সেটা পাইনি। পরে যখন পান্ডিয়া আর ঋষভ পন্ত একটা চেষ্টা চালাল, তখনো মনে হয়েছিল আমাদের ভালো সুযোগ আছে। কিন্তু ইংল্যান্ড শেষ পর্যন্ত আমাদের চেয়ে ভালো খেলেছে।’

শুরুর দায়টা অবশ্য কোহলিকেই নিতে হবে। তিনি আর রোহিত শর্মা উইকেটে থাকার পরও ১০ ওভারের পাওয়ার প্লেতে ভারত ১ উইকেট তুলেছিল ২৮ রান!