আবারও আবাহনীকে জেতালেন আফগান মাশিহ

প্রিমিয়ার লিগ ফুটবলে আজ বিজেএমসির বিপক্ষে ২-১ গোলের জয় পেয়েছে আবাহনী লিমিটেড। আকাশি-নীলদের জয়সূচক গোলটি এসেছে আফগান ডিফেন্ডার মাশিহ সাইগানির পা থেকে।
আফগানিস্তানের ডিফেন্ডার মাশিহ সাইগানির গোলে জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে আবাহনী। ফাইল ছবি
আফগানিস্তানের ডিফেন্ডার মাশিহ সাইগানির গোলে জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে আবাহনী। ফাইল ছবি

এএফসি কাপের সুখ স্মৃতি এখনো আবাহনী লিমিটেডের সঙ্গে লেগে আছে। আফগানিস্তান জাতীয় দলের সাবেক সেন্টারব্যাক মাশিহ সাইগানির কল্যাণেই প্রথমবারের মতো এএফসি কাপের দ্বিতীয় রাউন্ডের টিকিট পেয়েছে আবাহনী।

এএফসি টুর্নামেন্ট থেকে ঘরোয়া ফুটবলে ফিরেও আবাহনীর জয়ের নায়ক সেই আফগান সেন্টারব্যাকই। আজ তাঁর গোলেই বিজেএমসির বিপক্ষে ২-১ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে আবাহনী। আকাশি-নীলদের অন্য গোলটি এসেছে জুয়েল রানার পা থেকে।

ঢাকা আবাহনীকে প্রায় নিয়মিত ম্যাচ জেতাচ্ছেন মাশিহ। আফগানিস্তান জাতীয় দলের সাবেক এই ডিফেন্ডার ২৯ জুন এএফসি কাপের শেষ ম্যাচে জেতান। যোগ করা সময়ে তাঁর হেডে মহামূল্যবান গোলটি আসে। সেই গোল এএফসি কাপে আকাশি-নীলদের নিয়ে গেছে আন্তঃআঞ্চলিক সেমিফাইনালে। সফল এএফসি কাপের গ্রুপ পর্ব শেষে আজ নোয়াখালীর শহীদ ভুলু স্টেডিয়ামে প্রিমিয়ার লিগে প্রথম ম্যাচ খেলতে নামে গত দুবারের লিগ চ্যাম্পিয়নরা। এই ম্যাচেও আবাহনীর নায়ক সেই সাইগানি। ১-১ স্কোরলাইনকে ২-১ করেন সাইগানি। ৬০ মিনিটে রায়হানের থ্রো থেকে তাঁর হেড জালে যেতেই হাঁপ ছেড়ে বাঁচে আবাহনী।

২৬ মিনিটে স্বাগতিক বিজেএমসিকে এগিয়ে নেন স্যামসন ইলিয়াসু। নাইজেরিয়ান এই মিডফিল্ডারের নেওয়া কর্নার থেকে বাঁক খেয়ে বল সরাসরি জালে। বাংলাদেশের ঘরোয়া ফুটবলে সরাসরি কর্নার থেকে গোল অবশ্য এটিই নতুন নয়। আজ শূন্যে বাঁক খাওয়া বলে বিভ্রান্ত হয়েছিলেন আবাহনী গোলরক্ষক সোহেল। এই গোল শোধ করতে না পারলে লিগ শিরোপার দৌড় থেকে আবাহনী পিছিয়ে পড়ত আরও। এত বড় ধাক্কা খায়নি আবাহনী। আকাশি-নীলরা দুটি গোল আদায় করে ম্যাচ জিতে নিয়েছে। প্রথমটি ৪০ মিনিটে। বেলফোর্টের ক্রসে জুয়েল রানার হেড জালে। এরপর সাইগানির গোল আবাহনীকে এনে দিয়েছে মূল্যবান ৩টি পয়েন্ট।

১৭ ম্যাচে আবাহনীর পয়েন্ট হলো ৪২। এক ম্যাচ কম খেলে শীর্ষে থাকা বসুন্ধরা কিংসের পয়েন্ট ৪৬। আগামীকাল ঢাকায় রহমতগঞ্জের বিপক্ষে ১৭তম ম্যাচটা বসুন্ধরা জিতলে আবাহনীর সঙ্গে তাদের ব্যবধান দাঁড়াবে ৭। আবাহনীর এখন প্রার্থনা একটাই, বসুন্ধরা যেন পয়েন্ট হারায়।