ওয়াহাবের গল্পটা মন খারাপ করে দেওয়ার মতো

বাবার মৃত্যু মেনে নিতে পারেননি ওয়াহাব রিয়াজ। ছবি: এএফপি
বাবার মৃত্যু মেনে নিতে পারেননি ওয়াহাব রিয়াজ। ছবি: এএফপি
>‘বাবা’ শব্দটা নিছকই একটা শব্দ নয়। এর মাঝে লুকোনো অনেক আবেগ, অনেক স্মৃতি। পৃথিবীর সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য আশ্রয় হলেন বাবা। কিন্তু সেই বাবাই যখন চলে যান, সন্তানের সবকিছু এলোমেলো হয়ে যাওয়ারই কথা। বাবা মারা যাওয়ার পর ক্রিকেটের প্রতি মনোযোগই দিতে পারছেন না পাকিস্তানি পেসার ওয়াহাব রিয়াজ।

ক্রিকেটারদের ধ্যান জ্ঞান সব ক্রিকেটকে ঘিরেই। কিন্তু ভালোবাসার ক্রিকেটও কখনো কখনো নস্যি হয়ে পরে। পাকিস্তানি পেসার ওয়াহাব রিয়াজের ক্ষেত্রেও তাই হয়েছিল। বাবার মৃত্যু শোক যেন কাটাতেই পারছিলেন না পাকিস্তানি এই পেসার। আর এই দুঃখটাই মূলত ক্রিকেট থেকে একটু দূরে সরিয়ে দিয়েছিল এই ক্রিকেটারকে।

২০১৭ এর পর থেকেই জাতীয় দলের বাইরে ছিলেন ওয়াহাব রিয়াজ। ২০১৯ বিশ্বকাপ দলে সুযোগ পাবেন কী পাবেন না এ নিয়েও ছিল অনেক প্রশ্ন। প্রাথমিক স্কোয়াডে ছিলেন না এই পেসার। কিন্তু প্রধান নির্বাচক ইনজামাম উল হক অভিজ্ঞতার গুরুত্ব দিয়ে ডেকে পাঠিয়েছেন তাঁকে। সুযোগ পেয়ে সেটা কাজেও লাগিয়েছেন ওয়াহাব। বিশ্বকাপে সাত ম্যাচে পাকিস্তানি এই পেসারের উইকেট সংখ্যা এখন ১০। গড়টাও খারাপ না ৩৬.৭০।

দুটি ম্যাচে স্লগ ওভারে এসে গতি ও রিভার্স সুইংয়ে দল জিতিয়েছেন ওয়াহাব। এতেই কৌতূহল জেগেছে মাঝখানে কী এমন হলো যে পাকিস্তান দলে নিয়মিত হতে পারেননি এই পেসার? কারণটা তাঁর বাবা। এত দিন ধরে যিনি আগলে রেখেছিলেন সেই বাবাই যখন পৃথিবী ছেড়ে চলে যান তখন ক্রিকেটে মনযোগ ধরে রাখাটা অনেক কঠিন। ‘আমি ক্রিকেটের প্রতি অতটা মনোযোগী ছিলাম না তাই পাকিস্তান ক্রিকেট দলে আমি নিয়মিত হতে পারিনি।’

দুই বছর হলো পাকিস্তানি এই পেসারের বাবা মারা গেছেন। বাবার মৃত্যুর পর অনেকটাই ভেঙে পরেছিলেন পাকিস্তানি এই পেসার। এখন কাঁধে তাঁর অনেক দায়িত্ব, ‘আমি ভেঙে পড়েছিলাম কারণ আমার বাবাকে ভীষণভাবে ভালোবাসি। যখন তিনি ছিলেন কখনোই আমাকে কোনো দায়িত্ব নিতে দিতেন না। শুধু আমাকেই না, পরিবারের কাউকেই দিতেন না। উনি যখন মারা গেলেন তখন থেকে আমাকেই সব দায়িত্ব নিতে হচ্ছে, অনেক কিছুর সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিতে হচ্ছে।’