ব্রেট লি-আকরামদের পেছনে ফেললেন মোস্তাফিজ

টানা দ্বিতীয় ম্যাচে পাঁচ উইকেট পেলেন মোস্তাফিজ। ছবি: প্রথম আলো
টানা দ্বিতীয় ম্যাচে পাঁচ উইকেট পেলেন মোস্তাফিজ। ছবি: প্রথম আলো

দিনটা মোস্তাফিজের ছিল, এটা বলা যাচ্ছে না। ১০ ওভার বল করে ৫ উইকেট পেয়েছেন বটে, তবে মোস্তাফিজের সেরা পারফরম্যান্স বলা যাবে না কোনোভাবেই। কিন্তু বোলিং ফিগারের শেষে থাকা ৭৫ রান বলে দিচ্ছে আজ খুব একটা স্বস্তিতে ছিলেন না বল হাতে। শাদাব খানকে যেভাবে আউট করেছেন সে ক্যাচটা অবশ্য দুর্দান্ত ছিল। প্রায় ইয়র্কার লেংথের বলে দুর্দান্ত রিটার্ন ক্যাচ নিয়েছেন মোস্তাফিজ। তবু আজকের বোলিং নিয়ে একটু অস্বস্তি থাকবে তাঁর।

মোস্তাফিজ এ নিয়ে ম্যাচ শেষে বা দেশে ফিরেও ভাবতে বসতে পারবেন। আপাতত মাইল ফলক ছোঁয়ার তৃপ্তি নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারছেন মোস্তাফিজ। আজ হারিস সোহেলকে ক্যাচ বানিয়ে ওয়ানডে নিজের ১০০তম উইকেট পেয়ে গেছেন মোস্তাফিজ। নিজের ৫৪তম ম্যাচে এসে এই মাইলফলক ছুঁয়েছেন বাঁহাতি পেসার। বাংলাদেশের পক্ষে দ্রুততম। বাংলাদেশের পক্ষে এর আগে সবচেয়ে দ্রুততম উইকেটের সেঞ্চুরি ছিল আবদুর রাজ্জাকের। ৬৯ ম্যাচে ১০০ উইকেট পেয়েছিলেন রাজ্জাক। এর পরেই আছে মাশরাফি (৭৮ ম্যাচ)। সাকিব আল হাসানের দরকার হয়েছিল ৮৮ ম্যাচ।

শুধু বাংলাদেশ কেন, বিশ্বের মানদণ্ডেই মোস্তাফিজের এ কীর্তি দারুণ। মোস্তাফিজের চেয়ে দ্রুত ১০০ উইকেটের মাইলফলক ছুঁয়েছেন মাত্র তিনজন। ৪৪ ম্যাচে এ কীর্তি গড়ে সবার ওপরে আছেন রশিদ খান। আফগান লেগ স্পিনার এ রেকর্ড কেড়ে নিয়েছেন মিচেল স্টার্কের (৫২ ম্যাচ) কাছ থেকে। অস্ট্রেলিয়ান ফাস্ট বোলারের আগে এ কীর্তি ছিল পাকিস্তানের সাকলায়েন মুশতাকের (৫২)। ১৯৯৭ সালে ১০০ উইকেট পাওয়া সাকলায়েনের দখলে ১৯ বছর ছিল এ রেকর্ড। একমাত্র শেন বন্ডই (৫৪ ম্যাচ) তাঁর রেকর্ড দখলে নেওয়ার কাছাকাছি গিয়েছিলেন। উইকেটের সেঞ্চুরি পেতে ব্রেট লিকেও ৫৫ ম্যাচ খেলতে হয়েছিল।

বর্তমানের সেরা বাঁহাতি পেসার ট্রেন্ট বোল্টের দরকার হয়েছিল ৫৬ ম্যাচ। আর বাঁহাতি পেস বোলিংয়ের শেষ কথা ওয়াসিম আকরামের দরকার হয়েছিল ৭৪ ম্যাচ!