পেনাল্টির দাবিতে আর্জেন্টিনার পাশে দাঁড়ালেন রিভালদো

আর্জেন্টিনাকে সমর্থন জানালেন রিভালদো। ছবি : এএফপি
আর্জেন্টিনাকে সমর্থন জানালেন রিভালদো। ছবি : এএফপি
কোপা আমেরিকার সেমিফাইনাল নিয়ে আলোচনা থামছেই না। আর্জেন্টিনাকে ২-০ গোলে হারিয়ে ব্রাজিল ফাইনালে গেলেও ম্যাচে বাজে রেফারিং নিয়ে উচ্চকিত হয়েছেন আর্জেন্টিনার খেলোয়াড়-সমর্থকেরা। ইকুয়েডরের রেফারি রডি জামব্রানো দুটি ন্যায্য পেনাল্টি দেননি, আর্জেন্টিনার খেলোয়াড়দের অভিযোগ। আর্জেন্টিনার খেলোয়াড়দের দাবির সঙ্গে একমত বিশ্বকাপ ও ব্যালন ডি’অর জয়ী সাবেক ব্রাজিলিয়ান তারকা রিভালদো

দুটি ন্যায্য পেনাল্টি পায়নি—ব্রাজিলের বিপক্ষে সেমিফাইনালের পর এ দাবি করে আসছে আর্জেন্টিনা। ম্যাচ রেফারির বিরুদ্ধে দক্ষিণ আমেরিকার ফুটবল সংস্থা কনমেবলের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগও করেছে। তবে এবার ব্রাজিল শিবির থেকেই একজন আর্জেন্টিনার দাবিকে সমর্থন জানালেন। তিনি আর কেউ নন, বিশ্বকাপজয়ী ব্রাজিল তারকা রিভালদো।

ম্যাচের পরপরই রেফারির প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে বিবৃতি দেন আর্জেন্টিনার অধিনায়ক লিওনেল মেসি ও কোচ লিওনেল স্কালোনি। রেফারি পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করেছে, তাঁদের অভিযোগ ছিল এটাই। আর্জেন্টিনার প্রতি সহমর্মিতা জ্ঞাপন করেছেন রিভালদো, ‘অবশ্যই অভিযোগ করার মতো যথেষ্ট কারণ আছে আর্জেন্টিনার কাছে। এটা মানতে আপত্তি নেই যে দুই দলের মধ্যে ব্রাজিল অনেক এগিয়ে। কিন্তু দুটি পেনাল্টির সিদ্ধান্ত ব্রাজিলের পক্ষে গিয়েছে, যেটা ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি (ভিএআর) চাইলে পুনরায় বিবেচনা করতে পারত।’

রিভালদো বহুদিন ধরেই ফুটবলে ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারির সহায়তা নেওয়ার বিপক্ষে। বারবার ভিএআর ব্যবহার করলে খেলা থেমে যায়, দলগুলো ছন্দ হারিয়ে ফেলে আক্রমণে যাওয়ার, খেলোয়াড় বা খেলাকে তেমন সাহায্য করে না এই প্রযুক্তি। খেলা থেকে প্রাণ বের করে নিচ্ছে যেন প্রযুক্তির এই অতি ব্যবহার। আর্জেন্টিনা-ব্রাজিল ম্যাচের পরে নিজের পুরোনো দাবিটাকেই নতুন করে তোলার সুযোগ পেয়েছেন তিনি, ‘আমি বহুদিন ধরে বলছি, আমি ভিএআরের সমর্থক নই। ফুটবলের গতিকে বিনষ্ট করছে এই নিয়ম। যখন-তখন খেলা থেমে যাচ্ছে। এটা শুধুই রেফারিদের সহায়তা করে। আর কাউকে না।’

দক্ষিণ আমেরিকায় ভিএআর ব্যবহার করলে সমস্যা আরও বাড়বে বলে মনে করছেন তিনি, ‘ইউরোপেই ভিএআর নিয়ে অনেক বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। দক্ষিণ আমেরিকায় তো ইউরোপের মতো অত সুযোগ-সুবিধাও নেই। তার মানে বুঝুন, ভিএআর এখানে কেমন বিতর্ক সৃষ্টি করবে!’