সেমিফাইনাল না খেললে পাঁচ বা আটের মধ্যে তফাত নেই

সমর্থকদের সন্তুষ্ট করতে পেরেছে বাংলাদেশ? ফাইল ছবি
সমর্থকদের সন্তুষ্ট করতে পেরেছে বাংলাদেশ? ফাইল ছবি

বিশ্বকাপ এখনো শেষ হয়নি। সেমিফাইনাল ও ফাইনাল এখনো বাকি। তবে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ শেষ হয়ে গেছে বেশ আগেই। ৫ জুলাই পাকিস্তানের বিপক্ষে হারার আগেই শেষ হয়ে গেছে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ স্বপ্ন। কিন্তু শেষ ম্যাচেও পাওয়ার কিছু ছিল বাংলাদেশের।

পাকিস্তানকে হারালে বিশ্বকাপে পঞ্চম স্থান পেত বাংলাদেশ। কিন্তু সে ম্যাচে হেরে যাওয়ায় বাংলাদেশ সপ্তম অবস্থানে চলে গিয়েছিল। গতকাল অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে বাংলাদেশকে অষ্টম স্থানে পাঠিয়ে দিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। এ নিয়েও কিছুটা হতাশ বাংলাদেশের সমর্থকেরা। মাশরাফি অবশ্য এ নিয়ে ভাবছেন না। তাঁর চোখে সেমিফাইনাল খেলতে না পারলে অন্য কোনো অবস্থানের কোনো মানে হয় না।

‘পাঁচে যাওয়ার সুযোগ ছিল শেষ পর্যন্ত। তার মানে সে ম্যাচ জিতলে পাঁচে থাকতাম। আমাদের, সাধারণ মানুষ ও সাংবাদিকদের আশা ছিল চারের ভেতর থাকা। শেষ ম্যাচ জিতলে পাঁচে থাকতাম, সেটা শুনতে ভালোই লাগে। কিন্তু চারে যদি না থাকতে পারি, তাহলে বিশ্বকাপ তো ওখানেই শেষ।’

বাংলাদেশ সেমিফাইনালেও থাকতে পারত, যদি কিছু ম্যাচে ক্রিকেটাররা কিছু মুহূর্তে নিজেদের স্নায়ুচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারতেন। ভাগ্যের সহযোগিতাও দরকার ছিল কিছু ক্ষেত্রে। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা সাকিবেরও সহযোগিতা দরকার ছিল কিছু কিছু ক্ষেত্রে। এ ক্ষেত্রে তরুণ ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্স ছিল হতাশাজনক। এ বিশ্বকাপেও সেরা খেলোয়াড় ছিলেন দুই সিনিয়র সাকিব ও মুশফিক। বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে তাই কিছুটা শঙ্কা জেগেছে।

মাশরাফি অবশ্য তরুণদের নিয়ে আশাবাদী। এঁদের ওপর আস্থা রাখলে তাঁরাই ভবিষ্যতের সাকিব-মুশফিক হবেন বলে আশা অধিনায়কের, ‘তরুণদের সব সময় এক নাগাড়ে দোষারোপ করা হয়। আজ যারা সিনিয়র, তারাও কিন্তু এক সময় তরুণ ছিল। তাদেরও হয়তো ধারাবাহিকতা ছিল না। তরুণেরা তো ধারাবাহিকভাবে খেলছে এবং এত চাপের মধ্যে খেলছে, যেটা আমরা তরুণ অবস্থায় খেলিনি। তাই তাদের দোষ দিয়ে লাভ নেই। তারাও অনেক চেষ্টা করেছে। স্টেজটা অনেক বড়, এত সহজ না। আমি আশা করি সাকিব, তামিম, মুশফিকেরা যে পর্যায়ে আছে, এরাও সেখানে একদিন যাবে।’