শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটে হাথুরুর বিদায়, হোয়াটমোরের ফেরা?

চণ্ডিকা হাথুরুসিংহে ও ডেভ হোয়াটমোর
চণ্ডিকা হাথুরুসিংহে ও ডেভ হোয়াটমোর

বাংলাদেশের বিপক্ষে শ্রীলঙ্কার কোচ হিসেবে অভিষেক হয়েছিল চন্ডিকা হাথুরুসিংহের। বাংলাদেশের বিপক্ষে আরেকটি সিরিজ দিয়েই কি সেই যাত্রার শেষ হচ্ছে? আভাস সে রকমই। বিশ্বকাপের পর পরই বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ খেলবে শ্রীলঙ্কা। এর মধ্যেই নতুন কোচের সন্ধান করছে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ড (এসএলসি)।

এই শ্রীলঙ্কাকে নিয়ে কেউ খুব বেশি কিছু আশা করেওনি। বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কা খুব খারাপ করেছে এমনও বলা যাবে না। তবে চন্ডিকা হাথুরুসিংহের সঙ্গে সুরটা আসলে আগেই কেটে গিয়েছিল শ্রীলঙ্কার। বিশ্বকাপ শেষ হতেই তাই নতুন কোচের সন্ধান। এবার শ্রীলঙ্কা বিদেশি কোচের হাতে দায়িত্ব তুলে দিতে চায়। বেশ কজন বিদেশি কোচের সঙ্গে এসএলসির নাকি কথাবার্তাও চলছে।

ডেকান ক্রনিকলকে এসএলসির একজন কর্মকর্তা বলেছেন, হাথরুসিংহের বদলে নতুন একজন কোচ নেওয়া হবে। খুব শিগগিরই একজন বিদেশি কোচকে নিয়োগ দেওয়া হবে। এসএলসি আসলে এরই মধ্যে কয়েকজনের সঙ্গে কথাবার্তা শুরু করেছে। দুজন বিদেশি কোচের সঙ্গে সেই আলোচনা চলছে।

এই দুই বিদেশি কোচের কেউই শীর্ষ পর্যায়ের ক্রিকেট খেলেননি। তবে দুজনই কোচ হিসেবে বেশ নামকরা, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সামলানোর অভিজ্ঞতাও তাঁদের আছে। সেই সূত্র অবশ্য দুজন কোচের নাম জানাননি। জিম্বাবুয়ের এক সাবেক ক্রিকেটারকে ব্যাটিং কোচ ও সাবেক লঙ্কান পেসার চামিন্ডা ভাসকে বোলিং কোচ করা হতে পারে। যাঁর সঙ্গে হাথুরুর মতানৈক্য প্রকাশ্যে এসেছিল, সেই প্রধান নির্বাচক অশান্থা ডি মেল স্বপদে থেকে যাচ্ছেন। তবে নির্বাচক কমিটিতে কিছু পরিবর্তন আসবে।

লঙ্কান ক্রীড়া মন্ত্রী হারিন ফার্নান্দো মাহেলা জয়াবর্ধনের ক্রিকেট-মস্তিষ্ক ব্যবহার করতে চাইছেন। জয়াবর্ধনে কানাডায় গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি খেলে দেশে ফেরার পর এ ব্যাপারে ঘোষণা আসবে। তাঁকে ক্রিকেট কমিটির প্রধান করা হতে পারে। এই কমিটিই কোচ, নির্বাচক নিয়োগের মতো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেবে।

হাই পারফরম্যান্স কোচ অশঙ্কা গুরুসিনহাও চাকরি হারাতে পারেন। তাঁর জায়গা কোচ হিসেবে দেখা যেতে পারে ডেভ হোয়াটমোরকে। হোয়াটমোরের কোচিংয়েই শ্রীলঙ্কা ১৯৯৬ বিশ্বকাপ জিতেছিল। উঠতি প্রতিভাদের মধ্যে সেরাটা বের করে আনার জন্য সুখ্যাত এই কোচকে আবার ফিরিয়ে আনতে চায় এসএলসি।

হোয়াটমোর ও হাথুরু দুজনই বাংলাদেশের কোচ ছিলেন। দুজনই বাংলাদেশের ক্রিকেটকে নতুন দুই অধ্যায়ে নিয়ে গেছেন। দুই কোচই নিজে থেকেই দায়িত্ব ছেড়ে দিয়ে চলে যান।