পিএসজি ম্যাচের রেফারি নিয়ে মেসিকে খোঁচা দিলেন সিলভারা

মেসি নিজেই রেফারিংয়ের সুবিধা পান, দাবি ব্রাজিলের ফুটবলারদের। ছবি: রয়টার্স
মেসি নিজেই রেফারিংয়ের সুবিধা পান, দাবি ব্রাজিলের ফুটবলারদের। ছবি: রয়টার্স

কোপা আমেরিকায় তৃতীয় হয়েছে আর্জেন্টিনা। কিন্তু সে পদক নিতে যাননি মেসি। টুর্নামেন্ট জুড়ে রেফারিং নিয়ে নানা অভিযোগ করেছেন। তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে বিতর্কিতভাবে লাল কার্ড দেখার পর ক্ষোভে ফেটেই পড়েছেন। ব্রাজিলকে চ্যাম্পিয়ন করার জন্য কনমেবল চেষ্টা করেছে, এটা বলেছেন। এবং পদক না নিয়ে তারই প্রতিবাদ করেছেন মেসি।

সেমিফাইনালে ব্রাজিলের কাছে হেরে কনমেবলকে ধুয়ে দিয়েছিলেন মেসি। দাবি করেছিলেন, স্বাগতিক ব্রাজিলের হাতে শিরোপা তুলে দেওয়ার জন্য সম্ভাব্য সব রকম চেষ্টাই করছে কনমেবল। আর সেমির পরে এসব কথা বলেছিলেন দেখেই পরের ম্যাচে লাল কার্ড দেখানো হয়েছে, এটাই তাঁর দাবি। আর পদক নিলে অন্যায়কে প্রশ্রয় দেওয়া হবে, এমনটাই ভেবেছেন মেসি। সোজাসাপ্টা বলেছেন, ‘পদক নিতে যাইনি। কারণ আমাদের যে অসম্মান করা হয়েছে, সেটি মেনে নিতে পারিনি। তা ছাড়া এই দুর্নীতির অংশ হতে চাই না।’

ফাইনাল শেষ হওয়ার আগে এ নিয়ে মুখ খোলেননি ব্রাজিলের কেউ। কিন্তু মেসির এভাবে ঢালাওভাবে ব্রাজিলের অর্জনের দিকে ইঙ্গিত যে ভালো লাগেনি সেটি ম্যাচ শেষে বুঝিয়ে দিয়েছেন সবাই। বিশেষ করে মারকিনিয়স ও থিয়াগো সিলভা তো মেসির সততা নিয়েও খোঁচা দিয়েছেন। ক্যারিয়ারজুড়ে মেসির দল বিভিন্নভাবে রেফারির সহযোগিতা পেয়েছে, সেসব সময়ে মেসি কেন কোনো কথা বলেননি, এ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা।

২০১৭ চ্যাম্পিয়নস লিগে দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখেছিল বার্সেলোনা। ন্যু ক্যাম্পে ৬-১ গোলের ম্যাচের রেফারিং অবশ্য খুবই বিতর্কিত ছিল। অন্তত দুটি গোলে রেফারি আয়তেকিনের বাজে সিদ্ধান্ত ভূমিকা রেখেছে। সে ম্যাচ নিয়ে মেসিকে খোঁচা দিয়েছেন পিএসজির ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার মারকিনিয়স, ‘এটা খুবই হতাশাজনক যে তাঁর মানের এক খেলোয়াড় এসব বলছে। রেফারিরা বার্সেলোনা এবং তাঁর জাতীয় দলের পক্ষে অনেক সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। তখন তো কখনো দুর্নীতির কথা বলতে শুনিনি। হেরেছেন এবং সেটা মেনে নিতে হবে। আমরাও হারি। বিশ্বকাপে বেলজিয়ামের কাছে হেরেছি। আমরা ভালো খেলেছিলাম কিন্তু বেলজিয়াম ভালো রক্ষণ করেছিল। মাঝে মাঝে কীভাবে হারতে হয় সেটাও জানা উচিত।’

তাঁর সতীর্থ ও চ্যাম্পিয়নস লিগের সে ম্যাচের প্রত্যক্ষদর্শী থিয়াগো সিলভাও একই সুরে কথা বলেছেন। তাঁর ধারণা ব্যর্থতা সইতে না পেরেই হতাশা ঢাকার চেষ্টা করছেন মেসি, ‘এটা নিয়ে কথা বলা কঠিন। মাঝে মাঝে যখন কেউ হারে তখন নিজেরা দায় স্বীকার না করে অন্যের ঘাড়ে চাপাতে চায়। সে খারাপ হওয়ার জন্য এসব বলেননি, কিন্তু সে বলে ফেলেছে।’ সিলভা এটাও মনে করিয়ে দিয়েছেন, পিএসজির বিপক্ষে হাস্যকর রেফারিংয়ের সহযোগিতা নিয়ে বার্সেলোনা জিতেছিল, কিন্তু পিএসজি কখনো বলেনি উয়েফা চাইছে বার্সেলোনা জিতুক।

মেসির পক্ষে ক্লাব সতীর্থ আর্তুরো ভিদালকে পেয়েছেন। কিন্তু সাবেক আরেক সতীর্থ দানি আলভেজ কিন্তু মেসির সঙ্গে এবার আর একমত হতে পারেননি। প্রিয় বন্ধুর মুখে নিজের জাতীয় দল সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্যের পর আলভেজ বলেছেন, ‘এটাই বলব আমি ওর সঙ্গে একমত নই। আমরা অনেক পরিশ্রম করেছি এ সাফল্য পেতে। আমি বুঝি সে কষ্ট পাচ্ছে কিন্তু আমি ওর সঙ্গে একমত নই যে কোপা আমেরিকার ট্রফিটি অন্যায়ভাবে পেয়েছি আমরা।’