ফেরার পথ খুঁজছেন তামিম

দেশে ফিরে আর দেরি করেননি তামিম। ফাইল ছবি
দেশে ফিরে আর দেরি করেননি তামিম। ফাইল ছবি
>

বিশ্বকাপটা মোটেও ভালো কাটেনি। দেশে ফিরে তাই আর দেরি করলেন না। নেমে পড়লেন অনুশীলনে। ক্রিকেটারদের অনেকেই ছুটিতে। কেউ কেউ তো বিদেশে ছুটি কাটাচ্ছেন। কিন্তু তামিম প্রত্যয়ী। ছন্দে তাঁকে ফিরতে হবেই। 

গত রোববার বিকেলে বিশ্বকাপ মিশন শেষে দেশে ফিরেছে বাংলাদেশ। বিমানবন্দর থেকে সবার আগে বের হয়ে গাড়িতে চড়েছিলেন ওপেনার তামিম ইকবাল। সবার আগে ব্যাট হাতে নেটেও ফিরলেন এই বাঁহাতি ওপেনার।

দেশে ফিরেছেন দুদিন হলো। সবাই ছুটিতে। ঢাকায় বিশ্বকাপ স্কোয়াডে থাকা ক্রিকেটারদের খুঁজে পাওয়া মুশকিল। কেউ কেউ আবার দেশেই আসেননি। বিদেশে অবসর সময় কাটাচ্ছেন সাকিব, মিরাজ, সাব্বির ও লিটনরা। কিন্তু তামিম ছুটি কাটাচ্ছেন না। বিশ্রাম নিচ্ছেন না; বরং ঘাম ঝরাচ্ছেন অনুশীলনে।

গতকাল মিরপুরের ইনডোরে বোলিং মেশিনে ব্যাট করলেন ৪৫ মিনিটের মতো। নেট সেশনের প্রথম বল থেকেই শট খেলে গেছেন তামিম। অফসাইডে ড্রাইভের পর ড্রাইভ খেলেছেন। অফস্টাম্পের বাইরে আগ্রাসী মেজাজে ব্যাট করে গেছেন ১০ থেকে ১৫ মিনিট। বেশ কিছু ফুললেন্থের বলে সজোরে স্ট্রেইট ড্রাইভ খেলেছেন। দু-একটি শটের টাইমিংয়ে গড়বড় হলেই নিজের ওপর অসন্তোষ প্রকাশ করছিলেন। নেট সেশনের শেষের দিকে লেগ সাইডে প্রিয় ফ্লিক শট খেলতে দেখা গেছে।

এবারের ক্রিকেট বিশ্বকাপে তামিমের স্ট্রাইক রেট নিয়ে বেশ সমালোচনা হয়েছে। ৮ ইনিংসে ২৯.৩৭ গড় ও ৭১.৬৪ স্ট্রাইক রেটে ২৩৫ রান করেছেন। সাধারণত, মন্থর গতিতে ব্যাট করলেও লম্বা ইনিংস খেলে পুষিয়ে দেন তামিম। কিন্তু এবারের বিশ্বকাপে সেটাও পারেননি বাংলাদেশ ওপেনার। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৬২ রানের ইনিংসটি পুরো টুর্নামেন্টে তামিমের সর্বোচ্চ।

নিজের সামগ্রিক পারফরম্যান্স নিয়ে তামিমও হতাশ। তবে তিনি হাল ছাড়ার পাত্র নন। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে কঠিন সময় কম আসেনি, ঘুরে দাঁড়িয়েছেন প্রতিবারই। এবারও তাই করতে চান তামিম, ‘আমাকে মানতেই হবে, যে আমি ব্যর্থ হয়েছি। এখন পথ খুঁজতে হবে কীভাবে এখান থেকে বের হতে পারি। আগেও সেটি করতে পেরেছি। আবার না পারার কোনো কারণ নেই।’