কোচকে ধমকালেন বিরাট কোহলি!

রবি শাস্ত্রীর কাছে উত্তর চাইছেন বিরাট কোহলি। ছবি ভিডিও থেকে নেওয়া
রবি শাস্ত্রীর কাছে উত্তর চাইছেন বিরাট কোহলি। ছবি ভিডিও থেকে নেওয়া

কোচ অনিল কুম্বলের চাকরি খেয়ে ফেলেছেন তিনি। রবি শাস্ত্রীরটাও খেয়ে ফেলবেন কি না, তা বলে দেবে সময়। বিরাট কোহলি এরই মধ্যে শাস্ত্রীকে অশাস্ত্রীয় রীতিতে ধমকেছেন। এমন একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে বান ডেকেছে। ভিডিওটিতে দেখা যায়, ঋষভ পন্ত বাজে একটি শট খেলে আউট হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মেজাজ ধরে রাখতে না পেরে কোহলি ড্রেসিংরুম থেকে বাইরে বেরিয়ে আসেন। বাইরে একটি আসনে মুখ গোমড়া করে খেলা দেখতে থাকা কোচ শাস্ত্রীর সামনে গিয়ে দাঁড়ান। এর পর কোহলি-সুলভ ভঙ্গিতেই কোচকে রীতিমতো ধমকান।

কাল ভারতের বিশ্বকাপ ক্রিকেট স্বপ্ন ভূপাতিত হয়েছে সেমিফাইনালে। নিউজিল্যান্ডের দেওয়া ২৪০ রানের লক্ষ্যটাও ভারত তাড়া করতে পারেনি। এই ব্যর্থতার দায় আছে ১ রানে আউট হয়ে ফেরা অধিনায়ক কোহলিরও। কোহলি দায় নিচ্ছেনও। তবে তাঁর কালকের শাস্ত্রীকে ধমকানোর ভঙ্গি বলছে, কোচের সিদ্ধান্তের দায় দেখছেন অধিনায়ক। ঋষভ পন্ত ভালো খেলতে খেলতে আচমকা স্লগ সুইপ করতে গিয়ে ডিপ মিডউইকেটে ক্যাচ দিয়ে আসেন। এর আগে হার্দিক পান্ডিয়ার সঙ্গে তাঁর ৪৭ রানের জুটি ভারতকে দারুণভাবে ম্যাচে ফিরিয়ে আনছিল। কিন্তু একটি ভুল সিদ্ধান্তের চড়া মূল্য দিতে হয়েছে বিশ্বকাপের মাঝপথে দলের সঙ্গে যোগ দেওয়া এই তরুণকে।

পন্ত আউট হওয়ার পর পরই কোহলি ড্রেসিংরুমের ভেতর থেকে গজগজ করতে করতে বেরিয়ে আসেন। টিভি ক্যামেরা সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে ধরে ফেলে। তাঁর মুখের ভঙ্গি আর কোচের সঙ্গে উত্তেজিতভাবে কথা বলা দেখে বোঝা গেছে, কোনো বিষয় নিয়ে সলাপরামর্শ করতে অন্তত যাননি। গিয়েছিলেন কোনো বিষয় নিয়ে নিজের ক্ষোভ জানাতে।

কোহলির ক্ষোভের উৎসটা কী, তা আনুষ্ঠানিকভাবে জানা যায়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, পন্ত উইকেটে থাকতেই পান্ডিয়াকে নামিয়ে দেওয়া নিয়ে অধিনায়ক ক্ষুব্ধ। দুজনই আক্রমণাত্মক ব্যাটসম্যান। তরুণ, অভিজ্ঞতার ভাঁড়ার খালি। ২৪ রানে চতুর্থ উইকেটের পতনের পর পান্ডিয়ার বদলে এমএস ধোনিকে ভারতের নামানো উচিত ছিল বলে মনে করেন অনেকে। ধোনি নেমেছিলেন সাতে। ম্যাচের কক্ষপথ থেকে বহু দূরে ছিটকে যাওয়া ভারতকে আবার লাইনে ফিরিয়ে এনেছিলেন রবীন্দ্র জাদেজার সঙ্গে ১১৬ রানের অবিশ্বাস্য এক জুটি গড়ে। ধোনি শেষ পর্যন্ত পারেননি। ভারত ম্যাচ হেরেছে ১৮ রানে।

পান্ডিয়া-পন্ত দুজনই অবশ্য নিজেদের আক্রমণাত্মক খেলায় লাগাম পরিয়ে রেখেছিলেন। তবু দুজনই আউট হয়েছেন আক্রমণাত্মক মেজাজের কারণেই। ওই সময়ে দুই তরুণের বদলে ধোনিকে পাঠালে জুটিটায় ভারসাম্য তৈরি হতো। এটাই ম্যাচ শেষের বিশ্লেষণ। আবার এও সত্যি, কোচ শাস্ত্রীকে বৃষ্টিতে ম্যাচ ভেসে গেলে কী হবে, সেই হিসাবও করে রাখতে হচ্ছিল। এ কারণে ডাক-ওয়ার্থ লুইসের পার স্কোরের অনেক পেছনে থাকা ভারতকে এগিয়ে নিতেও ২০ ওভারের মধ্যেই পান্ডিয়াকে পাঠানো হয়েছিল বলে অনেকে মনে করেন।

আসলে ম্যাচ হেরে গেলে এমনই হয়। আর সেটিও যদি হয় ফাইনালের দুয়ার থেকে ফিরে আসার দুঃখ!