তবু ভারতের পক্ষেই শোয়েব আখতার

ধোনি ও ভারতের পক্ষে যুক্তি দিলেন শোয়েব আখতার। ফাইল ছবি
ধোনি ও ভারতের পক্ষে যুক্তি দিলেন শোয়েব আখতার। ফাইল ছবি

 উপমহাদেশে হঠাৎ করে বেড়ে গিয়েছিল নিউজিল্যান্ড সমর্থক। ভারতের পরাজয়ে অন্তত পাকিস্তানে উল্লাসের কমতি ছিল না। নিউজিল্যান্ডের জয় যেন পাকিস্তানের জয়! তবে এর মধ্যে পাকিস্তানের সাবেক গতি তারকা শোয়েব আখতারকে ভারতের নিঃস্বার্থ সমর্থক হিসেবে আবিষ্কার করছে সবাই। মাত্র ২৪০ রানের লক্ষ্য ছুঁতে না পেরে ভারত সেমিফাইনালে বিদায় নিয়েছে। ফলে নিজ দেশেই সমর্থকেরা ক্ষোভ উগরে দিচ্ছে। শোয়েব সেই সমর্থকদের শান্ত থাকার অনুরোধই জানালেন।

বিশ্বকাপজুড়েই নিজের ইউটিউব চ্যানেলে নিয়মিত হাজির হয়েছেন শোয়েব। বিশেষ করে এশিয়ার দলগুলো নিয়ে নিজের মতামত জানিয়েছেন। কখনো কঠোর সমালোচনা করেছেন, কখনো অকাতর প্রশংসাও। ভুলগুলো কোথায় হলো, তাও দেখিয়ে দিয়েছেন। শোয়েবের ভিডিও বিশ্লেষণ বেশ সাড়া ফেলেছিল ক্রিকেট বিশ্বকাপে

পাকিস্তান সেমিফাইনালে যেতে না-পারার দুঃখ ভোলার উপলক্ষ অবশেষে কাল পেয়েছে দেশটির সমর্থকেরা। কিন্তু শোয়েবের কণ্ঠে অন্য সুর। ভারতীয় সমর্থকদের উদ্দেশে তিনি বলেছেন, ‘ভারতীয় সমর্থকদের প্রতি আমার বার্তা হলো, আপনাদের দল খুবই ভালো খেলেছে। ওদের অভিনন্দন জানান। তারা সেমিফাইনাল পর্যন্ত গিয়েছিল। এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক যে তারা ফাইনালে যেতে পারল না। তবু তাদের কৃতিত্ব দিন। নিজের দলকে ঘৃণা করবেন না, আঘাত করবেন না।’

কাল ৭২ বলে ৫০ রান করে সমর্থকদের চক্ষুশূল হয়েছেন ধোনি। বল আর রানের সমীকরণ শেষে এতটাই কঠিন হয়ে গিয়েছিল, মেরে খেলতে গিয়েই ভারতকে নিতে হয়েছে বাড়তি ঝুঁকি। ধোনি আরও আগে থেকে রানের চাকাটা একটু জোরে ঘোরালে শেষের ছবিটা অন্য রকম হতেও পারত। ‘বুড়ো ধোনি’কে নিয়েও তাই সমালোচনা চলছে। শোয়েবও বলছেন, ধোনির উচিত ছিল ওই সময় নিজেকে বাঁচাতে ডাইভ দেওয়া। তাহলে রান আউটটা এড়ানো যেত। ধোনির রান আউটই ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে।

তবে শোয়েব শেষ পর্যন্ত ধোনির পাশেই, ‘ধোনি নিঃসন্দেহে একজন কিংবদন্তি। অসাধারণ এক ব্যাটসম্যান, খেলাটার অসাধারণ এক দূত।’

রবীন্দ্র জাদেজার অসাধারণ ইনিংসটার প্রশংসা করেছেন শোয়েব। ছক্কা মারার বলে জাদেজা আউট হয়েছেন বলে মন্তব্য তাঁর। বিরাট কোহলি রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেননি। তবে শোয়েব মনে করেন, কোহলির আউটটা ছিল দুর্ভাগ্যজনক।