নারী হয়রানি করে এক বছর নিষিদ্ধ আফগান পেসার

বিশ্বকাপে মাঠের চেয়ে মাঠের বাইরেই বেশি ব্যস্ত ছিলেন আফতাব। ছবি: টুইটার
বিশ্বকাপে মাঠের চেয়ে মাঠের বাইরেই বেশি ব্যস্ত ছিলেন আফতাব। ছবি: টুইটার

বিস্ময়কর এক বিশ্বকাপ কাটিয়েছেন আফতাব আলম। আফগানিস্তানের এ পেসার সম্ভাব্য আট ম্যাচের মধ্যে মাত্র তিনটি খেলতে পেরেছেন। উইকেট সংখ্যা চার থেকে বাড়ানোর সুযোগ পাননি। নবম ম্যাচের আগেই শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে তাঁকে। শাস্তি এতটুকু হলেও চলত, শাস্তির মাত্রা বাড়ছে তাঁর। গতকাল বুধবার এক বছরের জন্য তাঁকে নিষিদ্ধ করেছে আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড।

ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে শুধু নিষিদ্ধই করা হয়নি। এক বছরের জন্য জাতীয় চুক্তিও স্থগিত করা হয়েছে তাঁর। আফগান ক্রিকেট বোর্ড গত সপ্তাহে সাধারণ সভায় বিশ্বকাপের ঘটনা নিয়ে তদন্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়। শৃঙ্খলা কমিটি তদন্ত শেষ করে আফতাব আলমের ব্যাপারে তাদের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছে।

গত ২৭ জুন আইসিসি বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছিল, বিশেষ পরিস্থিতিতে আফগানিস্তান দল থেকে আফতাবকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। পরে জানা গেছে সাউদাম্পটনে দলের হোটেল এক নারী অতিথির সঙ্গে খুব বাজে আচরণ করার অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। এ কারণে এ কড়া সিদ্ধান্ত নিয়েছে আফগানিস্তান।

আফতাবকে ২৭ জুন দেশে পাঠানো হলেও বিশ্বকাপে সর্বশেষ তাঁকে দেখা গেছে ২২ জুন। সাউদাম্পটনে ভারতের বিপক্ষে খেলেছিলেন এই পেসার। বলা হচ্ছে, সেখানেই অপরাধটি করেছেন আফতাব। এর পর আইসিসির দুর্নীতি বিরোধী ইউনিটের সঙ্গে মিটিংয়ে অনুপস্থিতির দায়ে দলের কোচ ফিল সিমন্স তাঁকে দুই ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ করে। পরে জানা গেছে আফতাব লন্ডনে এক আত্মীয়ের সঙ্গে ছিলেন এবং দলের হোটেলে দেরি করে ফিরেছিলেন সেদিন।

এমনকি এর আগে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচেও ঝামেলা করেছিলেন আফতাব। ১৬ জুনের সে ম্যাচে পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই মাঠে চলে এসেছিলেন এবং তাঁর ও বন্ধুদের জন্য ভিআইপিতে আসন দাবি করেছিলেন। খেলোয়াড়দের জন্য নির্দিষ্ট অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড ব্যবহার করে একটি হসপিটালিটি রুমে ঢুকে পড়েন এবং অনুরোধ করার পরও চলে যেতে অস্বীকৃত জানান। পরে নিরাপত্তা কর্মীরা এলে তাঁর বন্ধুরা চলে যান, কিন্তু আফতাব ঠায় বসে ছিলেন। শেষ পর্যন্ত তাঁকে বের করে দেওয়া হয়েছিল।