ফাইনাল গড়াল সুপার ওভারে

লকি ফার্গুসনের চোখধাঁধানো ক্যাচের শিকার হয়ে ফিরেছেন ইংলিশ অধিনায়ক এউইন মরগান। তাঁর আউটে আরও চাপে পড়েছে ইংল্যান্ড। ছবি: রয়টার্স
লকি ফার্গুসনের চোখধাঁধানো ক্যাচের শিকার হয়ে ফিরেছেন ইংলিশ অধিনায়ক এউইন মরগান। তাঁর আউটে আরও চাপে পড়েছে ইংল্যান্ড। ছবি: রয়টার্স
>আগ্রাসী বোলিংয়ে ইংল্যান্ডকে চাপে রেখেছে নিউজিল্যান্ড। মাত্র ৮৬ রানের মধ্যেই তুলে নিয়েছে ইংল্যান্ডের চার উইকেট।

নিউজিল্যান্ডের ইনিংস শেষেই ব্রেন্ডন ম্যাককালাম বলে দিয়েছিলেন, এই উইকেটে ২৪১ রান যথেষ্ট। সাবেক অধিনায়কের কথাকেই যেন সত্যি প্রমাণ করতে মরিয়া নিউজিল্যান্ডের বোলাররা। এক শ রানের আগেই ইংলিশদের চার উইকেট তুলে নিয়ে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ জয়ের সুবাস পাচ্ছে নিউজিল্যান্ড।

মাঝারি মানের লক্ষ্য ডিফেন্ড করতে কীরকম বোলিং করা দরকার, শিষ্যদের সে পাঠ দিতে নিউজিল্যান্ডের বোলিংয়ের ভিডিও দেখাতে পারেন কোচেরা। ইনিংসের প্রথম বল থেকেই দুর্দান্ত বোলিং করেছেন নিউজিল্যান্ডের বোলাররা। ইনিংসের প্রথম বলেই জেসন রয়ের বিপক্ষে এলবিডব্লুর জোরালো আবেদন, আম্পায়ার আউট না দেওয়ায় প্রথম বলেই রিভিউ নিয়ে বসেন অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। রিপ্লে দেখিয়েছে, বলটা আধা ইঞ্চি এদিক-ওদিক হলেই রয়কে ফিরতে হতো শূন্য হাতে।

উইকেট না পেলেও শুরুর স্পেলে অসাধারণ বোলিং করেছেন দুই বোলার ট্রেন্ট বোল্ট ও ম্যাট হেনরি। সুইংয়ে দুই ইংলিশ ওপেনার পরাস্ত হয়েছেন বারবার। বিশেষ করে ম্যাট হেনরি ছিলেন এক কথায় দুর্দান্ত। এবারের বিশ্বকাপের সেরা ওপেনিং স্পেলটাই সম্ভবত এসেছে হেনরির কাছ থেকে। জেসন রয়কে যেভাবে নাচিয়েছেন উইকেটে, তা বহুদিন দর্শকদের চোখে লেগে থাকার কথা। দারুণ বোলিংয়ের পুরস্কার পেয়েছেন সেই রয়কে ফিরিয়েই। হালকা আউট সুইংয়ে খোঁচা দিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছেন টম ল্যাথামকে।

এ রকম পরিস্থিতিতে ক্রিজে যাকে সবচেয়ে বেশি ভরসা করে ইংল্যান্ড, সেই জো রুটকেও আজ কী অসহায়ই না লাগল! সুইংয়ের সামনে রীতিমতো খাবি খেয়েছেন ইংলিশদের সেরা ব্যাটসম্যান, একের পর এক ডটে চাপটা নিয়ে নিচ্ছিলেন নিজের ওপর। সেই চাপের কারণেই ফিরতে হয়েছে তাঁকে। কলিন ডি গ্র্যান্ডহোমের অফ স্টাম্পের অনেক বাইরে দিয়ে চলে যাওয়া বল তাড়া করতে গিয়ে আউট হয়েছেন ৩০ বলে ৭ রান করে।

মিডল ওভারে এবার নিউজিল্যান্ডের সবচেয়ে বড় ভরসা লকি ফার্গুসন। ফার্গুসন হতাশ করেননি আজও, ইনিংস বড় করার দিকে এগোতে থাকা জনি বেয়ারস্টোকে বোল্ড করেছেন ৩৬ রানে। আর অধিনায়ক এউইন মরগানকে যে কাচে ফিরিয়েছেন ফার্গুসন, নিশ্চিতভাবেই সেটি বিশ্বকাপ ফাইনালের অন্যতম সেরা ক্যাচ হয়ে থাকবে। জিমি নিশামের অনেক বাইরের বল কাট করতে গিয়েছিলেন মরগান, কিন্তু নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেননি। ডিপ কভার থেকে অনেকটা দৌড়ে এসে সামনের দিকে ঝাঁপিয়ে দুর্দান্ত এক ক্যাচ ধরেছেন ফার্গুসন।

ইংল্যান্ডের বড় ভরসা হয়ে উইকেটে আছেন বেন স্টোকস ও জস বাটলার। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ইংল্যান্ডের রান ৪০ ওভার শেষে ৪ উইকেটে ১৭০ রান।