উইলিয়ামসনের কাছে বাকি জীবন ক্ষমা চাইবেন স্টোকস

উইলিয়ামসনের কাছে ক্ষমা চাইবেন স্টোকস। ছবি: রয়টার্স
উইলিয়ামসনের কাছে ক্ষমা চাইবেন স্টোকস। ছবি: রয়টার্স
>বেন স্টোকসের ব্যাটে লেগে গাপটিলের থ্রো সোজা চলে গেল বাউন্ডারির বাইরে। ২ রানের জায়গায় স্কোরবোর্ডে যোগ হলো ৬ রান। এই ঘটনাটিই বড় ক্ষতি করে দেয় নিউজিল্যান্ডের। অভাবনীয় এ ব্যাপারটি পোড়াচ্ছে স্টোকসকে। বাকি জীবন তাই কেন উইলিয়ামসনের কাছে ক্ষমা চেয়ে যাওয়ার কথা বলেছেন ইংলিশ অলরাউন্ডার।

কাল সারা রাত নিশ্চয়ই ঘুমাতে পারেননি বেন স্টোকস। ব্যাট হাতে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে ইংল্যান্ডকে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন করেছেন—এ উত্তেজনা তো আছেই। স্টোকস হয়তো নির্ঘুম রাত কাটিয়েছেন বারবার চোখের সামনে কেন উইলিয়ামসনের মায়াভরা মুখটি ভেসে ওঠাতেই। এমন লড়াইয়ের পরও নিউজিল্যান্ড বিজিত দল, উইলিয়ামসন বিজিত অধিনায়ক, এটা তো কিছুতেই মেনে নেওয়া যায় না। স্টোকস তো বলেই দিয়েছেন, বাকি জীবন উইলিয়ামসনের কাছে ক্ষমা চেয়ে যাবেন তিনি।

ক্ষমা চাইবেন? কেন! স্টোকস নিউজিল্যান্ড অধিনায়কের কাছে ক্ষমা চাইবেন মাঠের সেই ঘটনাটির জন্য।

ম্যাচের শেষ ওভারে ট্রেন্ট বোল্টের বলে ডিপ মিড উইকেটের দিকে হাঁকিয়েছিলেন স্টোকস। এ সময় ক্রিজে ঝাঁপিয়ে পড়ে ২ রান নেন তিনি। কিন্তু সমস্যাটা হয় অন্য জায়গায়। মার্টিন গাপটিল বলটি কুড়িয়ে যে থ্রোটি করেন, সেটি স্টোকসের ব্যাটের কোনায় লেগে বাউন্ডারির বাইরে চলে যায়। যেখানে ২ রান হচ্ছিল, সেখানে ইংল্যান্ডের স্কোরবোর্ডে যুক্ত হয় ৬ রান। এই অতিরিক্ত ৪টি রান যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল, ম্যাচ যাঁরা দেখেছেন, তাঁরা খুব ভালোভাবেই অনুধাবন করতে পারবেন। স্টোকস অবশ্য এ ঘটনাটি যে তাঁর ইচ্ছাকৃত নয়, সেটি দুই হাত তুলে জানিয়ে দিয়েছিলেন রীতিমতো ক্ষমা চাওয়ার মতো করে। কিন্তু ক্ষতি যা হওয়ার সেটি তো ততক্ষণে হয়েই গিয়েছে কিউইদের।

স্টোকসকে এটিই পোড়াচ্ছে। যদিও ইচ্ছাকৃত কিছু নয়, কিন্তু এটির জন্যই বাকিটা জীবন উইলিয়ামসের কাছে ক্ষমা চেয়ে যাবেন ইংল্যান্ডের এ অলরাউন্ডার, ‘আমি আসলে কিছু বলার ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। অনেক পরিশ্রমের পর বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হলাম—এটা অন্য রকম এক অনুভূতি। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলাটা সব সময়ই দারুণ একটা ব্যাপার। ওরা সবাই দুর্দান্ত সব ক্রিকেটার। তবে আমি একটা কথা বলতে পারি, ব্যাটে লেগে বাউন্ডারি হয়ে যাওয়ার জন্য আমি বাকিটা জীবন উইলিয়ামসনের কাছে ক্ষমা চেয়ে যাব। ম্যাচে যা হয়েছে, সেটি কোনো দূর লোকে লেখা হয়ে ছিল।’