মুশফিকের কথা মনে পড়েছিল স্টোকসের!

মুশফিকের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে সফল বেন স্টোকস। ছবিঃ এএফপি
মুশফিকের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে সফল বেন স্টোকস। ছবিঃ এএফপি
>বিশ্বকাপ ফাইনালে শেষ বল থেকে ২ রান প্রয়োজন ছিল ইংল্যান্ডের। ১ রান নিলে ফল গড়াবে সুপার ওভারে, ২ রান নিলে জয়; স্ট্রাইকে থাকা বেন স্টোকসের মাথায় তখন কী চলছিল, গতকাল ওভালে বিশ্বকাপ জয় উদ্‌যাপনের মুহূর্তে জানালেন সেই মুহূর্তের কথা।

বিশ্বকাপ ফাইনালের শেষ বলে ইংল্যান্ডের প্রয়োজন ছিল ২ রান। স্ট্রাইকে বেন স্টোকস। ওই মুহূর্তে তাঁর ভেতর দিয়ে ঝড় বয়ে যাচ্ছিল—বলাই বাহুল্য। ওই বলে ১ রান নিলে খেলা যাবে সুপার ওভারে, ২ রানে বিশ্বজয়!
স্টোকস ওই সময় ঠিক কী ভাবছিলেন? ইংলিশ তারকা ওই সময় ভাবছিলেন মুশফিকুর রহিমের কথা!

পাঠক ঠিকই পড়ছেন। বিশ্বকাপ ফাইনালের শেষ বলে স্ট্রাইকে থেকে বাংলাদেশের তারকা ব্যাটসম্যানের একটা শটের কথাই মনে হচ্ছিল। স্টোকস নিজেই জানিয়েছেন এটি।

গতকাল লন্ডনের ওভালে বিশ্বজয় উদ্‌যাপন করেছে ইংল্যান্ড ক্রিকেট দল। এ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের ইংলিশ তারকা শেষ বলের অনুভূতি জানিয়েছেন। তাঁর নাকি ওই মুহূর্তে ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে বেঙ্গালুরুতে সেই বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচের কথা মনে হচ্ছিল। সে ম্যাচে সপ্তম উইকেট জুটিতে মুশফিকুর রহিম আর মাহমুদউল্লাহ দারুণ ব্যাটিং করে বাংলাদেশকে প্রায় জয়ের প্রান্তে নিয়ে গিয়েছিলেন। ভারতের দেওয়া ১৪৭ রানের লক্ষ্য থেকে মাত্র ২ রান দূরে বাংলাদেশ। হাতে আছে তিন বল। সিঙ্গেল নিয়েই ম্যাচ জেতানো তখন বুদ্ধিমানের কাজ হতো। কিন্তু মুশফিক বড় শটের লোভ সামলাতে পারেননি। হার্দিক পান্ডিয়ার বল তুলে মারলেন আকাশে শিখর ধাওয়ান লুফে নিলেন ক্যাচ। শট নির্বাচনের সেই ভুল সেদিন ভারতের বিপক্ষে দারুণ এক জয় থেকে বঞ্চিত করেছিল বাংলাদেশকে।

ওই দিনের কথা মনে করেই ‘হিরো’ হতে চাননি স্টোকস, ‘শেষ বলের আগে আমি বাংলাদেশের ওয়ার্ল্ড টি-টোয়েন্টির ম্যাচের কথাই ভাবছিলাম। হিরো হওয়া বা ছক্কা হাঁকানোর মতো বিষয়গুলো ভাবনাতেই ছিল না। ১ রান নিয়ে ম্যাচটা সুপার ওভারে নিয়ে যাওয়াই তখন মূল লক্ষ্য ছিল।’

শেষ বলে বড় শট না খেলে ২ রানের জন্যই দৌড়েছিলেন স্টোকস। কিন্তু সেটি হয়নি। দ্বিতীয় রান নেওয়ার সময় রান আউট হয়ে যান মার্ক উড। বিশ্বকাপ ফাইনাল টাই হয়ে ম্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে। এর পরের গল্পটা তো ইতিহাস। সুপার ওভারেও নিষ্পত্তি হলো না, ইংল্যান্ড জয়ী হলো সুপার ওভারে মারা বাউন্ডারির হিসাবে। বিশ্বকাপ ইতিহাসের সবচেয়ে উত্তেজনাকর ফাইনালে কিন্তু ঠিকই হিরো হয়ে থাকলেন স্টোকস।