বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ভারতকে চান বাংলাদেশ কোচ

কাল বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ড্র। ফাইল ছবি
কাল বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ড্র। ফাইল ছবি
>আগামীকাল বুধবার মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিত হবে বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের যৌথ ড্র। প্রতিটি গ্রুপে থাকবে পাঁচটি করে দল। সুযোগ থাকলে প্রতিপক্ষ হিসেবে বাংলাদেশ কোচ জেমি ডে বেছে নিতেন কোন চারটি দলকে?

বিশ্বকাপ ফুটবলের চূড়ান্তপর্ব বাংলাদেশের ফুটবলের জন্য অলীক স্বপ্ন। কিন্তু সেই ১৯৮৫ সাল থেকেই বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব বাংলাদেশের ফুটবলের জন্য বড় উপলক্ষ। এর মাধ্যমেই যে শক্তিশালী সব দলের মুখোমুখি হয়, এর মাধ্যমেই সর্বোচ্চ মানের ফুটবলের সঙ্গে পরিচিতি ঘটে খেলোয়াড়দের। এই বাছাইপর্ব নিজেদের মান সম্পর্কেও সত্যিকারের ধারণা দিয়ে থাকে
বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে বাংলাদেশের গ্রুপে কারা থাকবে—এ নিয়ে দারুণ আগ্রহ ফুটবলপ্রেমীদের। ২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে শক্তিশালী অস্ট্রেলিয়ার গ্রুপে ছিল বাংলাদেশ। অন্য দলগুলো ছিল জর্ডান, কিরগিজস্তান ও তাজিকিস্তান। এর আগেও জাপান, চীন, ইরান, উজবেকিস্তানের মতো প্রতিপক্ষের সঙ্গে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে লড়তে হয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল দলকে। আগামীকাল ১৭ জুলাই মালয়েশিয়ায় এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের (এএফসি) কার্যালয়ে ২০২২ বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ড্র অনুষ্ঠিত হবে। পট অনুযায়ী লটারি ভাগ্যে যারাই আসুক, জামাল ভূঁইয়াদের নিশ্চিতভাবে খেলতে হবে জাপান, কোরিয়া, ইরান, অস্ট্রেলিয়ার মতো শক্তিশালী দলগুলোর বিপক্ষে।

যৌথ বাছাইয়ে এশিয়া থেকে অংশ নেবে ৪০টি দেশ। ৮টি গ্রুপে থাকবে পাঁচটি করে দল। ড্রয়ের এক দিন আগে আজ বাংলাদেশ কোচ জেমি ডের কাছে প্রশ্ন ছিল, বেছে নেওয়ার সুযোগ থাকলে চারটি পট থেকে ( বাংলাদেশ আছে ৫ নম্বর পটে) কোন দলগুলোকে বেছে নিতেন ? প্রতিবেশী ভারতকে রেখে পছন্দের তালিকা সাজালেন বাংলাদেশ কোচ , ‘ সুযোগ থাকলে ১ নম্বর পট থেকে জাপান , দুই নম্বর পট থেকে ভিয়েতনাম, ৩ নম্বর পট থেকে ভারত ও ৪ নম্বর পট থেকে হংকংকে বেছে নিতাম আমি।’

প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে একটা শক্তির পরীক্ষায় যেতে দারুণ আগ্রহী বাংলাদেশের ইংলিশ কোচ। ভারতকে হারানো সম্ভব বলেও মনে করেন তিনি,‘জাপানের সঙ্গে খেলতে পারলে ছেলেরা অনেক অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারবে। আর বাকি দেশগুলোর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তোলা সম্ভব। ভারত অনেক উন্নতি করলেও তাদের বিপক্ষে জয়ের সামর্থ্য রাখে বাংলাদেশ। আর বাকি দেশগুলো অনেক ওপরে হলেও লড়াই করার সামর্থ্য আমাদের আছে।’ এখন অপেক্ষা কাল সকালের লটারির। জেমির পছন্দের এই দলগুলোর কোনটি আদৌ বাংলাদেশের গ্রুপে পড়ে কিনা, দেখার বিষয় সেটিই।’

সেপ্টেম্বরের ৫ তারিখ থেকে হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে ভিত্তিতে শুরু হবে খেলা। বিশ্বকাপে কোয়ালিফাই করার স্বপ্ন নেই। তবে যেহেতু এশিয়ান কাপ গতবার থেকে ২৪টি দেশ নিয়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে তাই, সেখানে বাংলাদেশের খেলার আশা করতেই পারেন ফুটবল-প্রেমীরা।

তবে সে স্বপ্নও আপাতত দেখাতে চান চাচ্ছেন না বাংলাদেশ কোচ। আপাত ড্রয়ের দিকেই তাকিয়ে আছেন তিনি , ‘আগে গ্রুপিং চূড়ান্ত হোক, তখনই আমি বলব বাছাইয়ে বাংলাদেশ কত দূর যেতে পারে। এখানে খেলে আমাদের তরুণেরা অভিজ্ঞ হবে। একটা দল তৈরি হবে। তবে আশ্বস্ত করতে পারি বাংলাদেশ খুব লড়াকু ফুটবল উপহার দেবে। এর বাইরে আগে থেকেই কোনো কিছু বলতে চাই না।’


পট ১ : ইরান, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া, কাতার, আরব আমিরাত, সৌদি আরব ও চীন।

পট ২ : ইরাক, উজবেকিস্তান, সিরিয়া, ওমান, লেবানন, কিরগিজস্তান, ভিয়েতনাম ও জর্ডান।

পট ৩: ফিলিস্তিন , ভারত, বাহরাইন, থাইল্যান্ড, তাজিকিস্তান, উত্তর কোরিয়া, চায়নিজ তাইপে ও ফিলিপাইন

পট ৪ : তুর্কমিনিস্তান, মিয়ানমার, হংকং, ইয়েমেন, আফগানিস্তান, মালদ্বীপ, কুয়েত ও মালয়েশিয়া

পট ৫ : ইন্দোনেশিয়া, সিঙ্গাপুর, নেপাল, কম্বোডিয়া, বাংলাদেশ, মঙ্গোলিয়া, গুয়াম ও ম্যাকাও / শ্রীলঙ্কা