নেইমার ক্লাব ছাড়তে চান, আগেই জানতেন পিএসজি কোচ

বার্সায় যেতে চান নেইমার। ছবি : এএফপি
বার্সায় যেতে চান নেইমার। ছবি : এএফপি
>

নেইমারকে নিয়ে নাটক থামবে হবে বলে মনে হচ্ছে না। সাবেক ক্লাব বার্সেলোনায় ফিরে যাওয়ার জন্য উঠেপড়ে লেগেছেন এই ব্রাজিল তারকা। বর্তমান ক্লাব পিএসজির কোচ টমাস টুখেলও নিশ্চিত করেছেন, নেইমার ক্লাব ছাড়তে চান। তিনি যে পিএসজিতে খেলতে চান না, সেটি নাকি টুখেল আগে থেকেই জানতেন!

পিএসজি ছেড়ে বার্সেলোনায় ফিরতে চান নেইমার, এই গুঞ্জন নতুন নয়। এবার সেই গুঞ্জনের আগুনে আরেকটু সলতে দিলেন খোদ পিএসজি কোচ টমাস টুখেল। পিএসজি ছাড়তে চাওয়ার জন্য নেইমারের যে বাসনা, সেটি কোপা আমেরিকা চলার সময় থেকেই জানতেন নাকি তিনি জানতেন।

ফরাসি সংবাদমাধ্যম আরএমসি স্পোর্টসকে নেইমারের দল ছাড়তে চাওয়া নিয়ে বেশ খোলাখুলি কিছু কথা জানিয়েছেন কোচ টুখেল, ‘কোপা আমেরিকা শুরু হওয়ার আগে থেকেই আমি জানতাম ও ক্লাব ছাড়তে চায় যে। কিন্তু এই দলবদলের বিষয়টা সম্পূর্ণ নেইমার ও ক্লাবের ওপর নির্ভরশীল। আমার কিছু বলার নেই। আমার আর নেইমারের মধ্যে বোঝাপড়া হয়ে গেছে। এখন বাকিটা নেইমার আর ক্লাব জানে, কী হবে না হবে।’

নেইমার দৃশ্যত বার্সেলোনার চাওয়া পূরণ করতে সম্ভাব্য সবকিছু করছেন। প্রাক্‌-মৌসুমে অনুশীলনে যোগ না দেওয়া তারই উদাহরণ। অবশ্য এটি নাকি বার্সেলোনার খেলোয়াড় ভাগিয়ে আনার একটা পুরোনো কৌশল। অতীতে সুয়ারেজ, ডেম্বেলে, কুতিনহোরাও একইভাবে ন্যু ক্যাম্পে যাওয়ার জন্য গোঁ ধরে অনুশীলন বন্ধ করেছিলেন। নেইমার প্রাক্‌-মৌসুমের অনুশীলনে যোগ দেননি। এটি ক্লাবের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে খোলাখুলি বিদ্রোহই। ক্লাবের প্রতি অসম্মানও। এই ঘটনার পর নেইমার-পিএসজি সম্পর্ক এখন এমন জায়গায় পৌঁছেছে, যা আর জোড়া লাগার কোনো সম্ভাবনা নেই।

নতুন মৌসুমের প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য ক্লাবগুলো এর মধ্যেই অনুশীলন শুরু করে দিয়েছে। গত সোমবার থেকেই অনুশীলন শুরু করেছেন পিএসজির খেলোয়াড়েরা। নেইমার চোটের কারণে ব্রাজিলের কোপা আমেরিকা দলে ছিলেন না। সে কারণে তাঁকেও পিএসজি অনুশীলনে আসতে বলেছে। কিন্তু নেইমার সেটি মানেননি। তিনি যে যোগ দেবেন না বা তাঁর অনুশীলনে যোগ দিতে কী সমস্যা, সেটিও নাকি ক্লাবকে জানাননি।

সব মিলিয়ে নেইমারকে নিয়ে পিএসজি এখন ধৈর্য হারানোর অবস্থায় আছে। নেইমার এখন ক্লাবের জন্য বিরাট এক সমস্যা। যেকোনো মূল্যে নেইমারকে বিক্রি করে দিতে চায় তারা। নেইমার নিজেও সেটিই চান, যেতে চান বার্সেলোনায়।