বদলি খেলোয়াড়ের নতুন নিয়ম অ্যাশেজ থেকেই

মাথায় আঘাত নিয়েও খেলোয়াড়দের খেলা চালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি ভাবাচ্ছে আইসিসিকে। ছবি: এএফপি
মাথায় আঘাত নিয়েও খেলোয়াড়দের খেলা চালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি ভাবাচ্ছে আইসিসিকে। ছবি: এএফপি
>মাথায় আঘাত পাওয়া খেলোয়াড়ের বদলি নামানোর বিষয়টি নিয়ে ভাবছেন আইসিসির কর্তা-ব্যক্তিরা। লন্ডনে আইসিসির চলতি বার্ষিক সম্মেলনে আলোচ্যসূচিতে রয়েছে এ বিষয়টি। প্রস্তাবটি পাস হলে অ্যাশেজেই দেখা যেতে পারে নতুন এ নিয়ম

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মাথায় আঘাত পেলে বদলি খেলোয়াড় নামানোর নিয়ম চালুর কথা ভাবছে আইসিসি। সামনের অ্যাশেজ সিরিজেই নিয়মটির প্রতিফলন ঘটতে পারে। ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে ঐতিহ্যবাহী এ টেস্ট সিরিজ শুরু হবে ১ আগস্ট থেকে।

লন্ডনে চলছে আইসিসির বার্ষিক সম্মেলন। এ সভার আলোচ্যসূচিতে রয়েছে মাথায় আঘাত পাওয়া খেলোয়াড়ের বদলি নামানোর বিষয়টি। ক্রিকইনফোর খবর, নিয়মটি পাস করে দ্রুতই তা মাঠে কার্যকর করা হবে। তাতে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের সব কটি ম্যাচেই এ ব্যবস্থা থাকবে। এবারের অ্যাশেজ সিরিজ দিয়ে শুরু হচ্ছে ২০১৯-২০২১ মেয়াদি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ।

মাথায় আঘাত পেলে বদলি খেলোয়াড় নামানোর আলোচনা বেশ কয়েক বছর ধরেই চলছে। ২০১৪ সালের নভেম্বরে অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট ওপেনার ফিলিপ হিউজ শেফিল্ড শিল্ডে ব্যাটিংয়ের সময় মাথায় আঘাত পেয়ে মারা যান। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ) ওই ঘটনার তদন্ত করার পরই বিষয়টি সবার সামনে চলে আসে। আর ঘটনাটি এমন এক সময়ে ঘটেছিল যখন বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনেও খেলোয়াড়দের মাথায় আঘাত পাওয়ার স্বল্পমেয়াদি এবং দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব নিয়ে সচেতন হয়ে উঠেছিল।

২০১৬-১৭ মৌসুমে ছেলে ও মেয়েদের ঘরোয়া ক্রিকেটে মাথায় আঘাত পাওয়া খেলোয়াড়ের বদলি নামানোর নিয়ম চালু করে অস্ট্রেলিয়া। তবে শেফিল্ড শিল্ডে এ নিয়ম চালুর জন্য তাদের আইসিসির অনুমতি পাওয়ার অপেক্ষা করতে হয়েছে ২০১৭ সালের মে মাস পর্যন্ত।

আইসিসি এ নিয়মটি নিয়ে মহড়াও সেরে ফেলেছে। এ ক্ষেত্রে মাথায় আঘাত পাওয়ার প্রভাব নিয়ে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার (সিএ) চালানোর গবেষণার সাহায্য নিয়েছে আইসিসি। সদ্য শেষ হওয়া বিশ্বকাপে এ নিয়ে খেলোয়াড়দের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানোর চেষ্টাও করা হয়েছে। মাথায় আঘাত পেলে বিপদের সম্ভাব্য লক্ষণ এবং আঘাত পেয়েও খেলা চালিয়ে যাওয়ার ঝুঁকি নিয়ে খেলোয়াড়দের সচেতন করেছে আইসিসি। শুধু তাই নয়, প্রতিটি দলেরই একজন করে বিশেষায়িত চিকিৎসক ছিলেন। এ ছাড়াও প্রতি ম্যাচেই ছিলেন একজন স্বাধীন ও নিরপেক্ষ চিকিৎসক।

চলতি বছরের শুরুতে শ্রীলঙ্কা দলের অস্ট্রেলিয়া সফরে কুশল মেন্ডিস ও দিমুথ করুণারত্নে মাথায় আঘাত পেয়েছিলেন। তাঁদের হাসপাতালে নিতে হয়েছিল। পরে অবশ্য চিকিৎসকের কাছ থেকে তাঁরা খেলার ছাড়পত্র পান। শ্রীলঙ্কা দলে কোনো চিকিৎসক ছিল না। তাই দুই দলেরই সেবা-শুশ্রূষা করেছেন অস্ট্রেলিয়া দলের চিকিৎসক।

তবে এটি এখনো পরিষ্কার নয় যে, বদলি নামানোর সঙ্গে প্রতি দলে চিকিৎসক থাকা এবং ম্যাচে একজন করে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ চিকিৎসক রাখার ব্যাপারটিও বাধ্যতামূলক করা হবে কি না। কিংবা সব আন্তর্জাতিক ম্যাচেই একজন করে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ চিকিৎসক থাকবেন কি না তা এখনো নিশ্চিত নয়। শুক্রবার শেষ হবে আইসিসির এ সম্মেলন।