সুপার ওভারের কথা জানতেনই না বোল্ট!

সুপার ওভারটা শেষ পর্যন্ত বোল্টকেই করতে হয়েছে! ছবি: এএফপি
সুপার ওভারটা শেষ পর্যন্ত বোল্টকেই করতে হয়েছে! ছবি: এএফপি
বিশ্বকাপ ফাইনালে যে ‘সুপার ওভার’ আছে, সে কথা বলে মাথাতেই ছিল না নিউজিল্যান্ডের পেসার ট্রেন্ট বোল্টের!

অবিশ্বাস্য এক ফাইনাল ম্যাচ উপহার দিয়েছে ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ড। শেষমেশ নিয়ম রক্ষার খাতিরে বিশ্বকাপ ট্রফি ইংল্যান্ডের কপালে জুটলেও নিউজিল্যান্ড দুর্দান্ত লড়াইয়ের জন্য প্রশংসিত হয়েছে, হচ্ছে। কিন্তু কিউই পেসার ট্রেন্ট বোল্ট বললেন অদ্ভুত এক কথা। বিশ্বকাপ ফাইনালে যে সুপার ওভার আছে, এটাই জানতেন না তিনি!


সুপার ওভারের পর যেভাবে বোল্টরা হেরেছেন, এটা মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে এই গতি তারকার, ‘আমি আসলেই জানতাম না বিশ্বকাপ ম্যাচ টাই হলে যে সুপার ওভারে ম্যাচ গড়াবে। দুই দলই পনেরো করে রান করেছে। ম্যাচের ফলটা মেনে নেওয়া অনেক কষ্টকর।’

ম্যাচের একেবারে শেষে এসে সুপার ওভার সম্পর্কে জানতে পারেন তিনি, ‘ইংল্যান্ডের যখন দুই বলে তিন রান দরকার, তখন আম্পায়াররা আমাদের বলল যে ম্যাচ টাই হলে সুপার ওভার হবে। তখনই আমি ব্যাপারটা সম্পর্কে জানলাম। অবশ্যই আমাদের কাজ ছিল ওদের দুই বলে তিন রান না করতে দেওয়া। যেটা আমরা করেছিও। তারপর ওই সুপার ওভারটা হলো। অবিশ্বাস্য একটা ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা হয়েছে আমাদের।’

পরে বেন স্টোকসের কল্যাণে ম্যাচটা সুপার ওভার পর্যন্ত গড়ায়। সুপার ওভারটা করার জন্য সেই বোল্টেরই ডাক পড়ে। পনেরো রানের মধ্যে ইংল্যান্ডকে আটকে রেখেছিলেন তিনি। এরপর গাপটিল আর নিশাম ব্যাট করতে নামলেও সেই পনেরো রানেই থেমে যায় তাঁদের দৌড়। তখন বাউন্ডারি নিয়মের ওপর ভিত্তি করে ইংল্যান্ডকে জয়ী ঘোষণা করা হয়। আর এ হিসাবে ইংল্যান্ড মেরেছে ২৬ বাউন্ডারি, নিউজিল্যান্ড ১৭টি। বাউন্ডারির সংখ্যাই শেষ পর্যন্ত বিশ্বকাপ ফাইনালের ফলনির্ধারক!

বোল্টদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ তো হবেই!