সেই ছক্কার সময়ই মৃত্যু হলো নিশামের কোচের!

>
সুপার ওভারে একটা ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন নিশাম। ছবি : এএফপি
সুপার ওভারে একটা ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন নিশাম। ছবি : এএফপি

ছোটবেলায় কিউই অলরাউন্ডার জিমি নিশাম যাঁর কাছে খেলা শিখেছিলেন, বিশ্বকাপ ফাইনালের উত্তেজনা সইতে না পেরে সেই কোচ মারা গেছেন। কাকতালীয়ভাবে, সুপার ওভারে জিমি নিশামের ছক্কা মারার পরপরই শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

বিশ্বকাপ ফাইনালের পরপরই জিমি নিশাম টুইট করেছিলেন, ‘বাচ্চারা, খেলাধুলাকে পেশা বানিয়ো না। কেক-বিস্কুট বানাও কিংবা অন্য কিছু করো। ৬০ বছর বয়সে মোটাতাজা হয়ে মনে সুখ নিয়ে মরো, তাও ভালো।’ ওভাবে ফাইনাল হারের পর নিশামের এই টুইট তাঁর হৃদয়ের রক্তক্ষরণকেই বোঝাচ্ছিল যেন। এখন জানা গেল, নিশামের মনঃকষ্টের কারণ অন্য জায়গায়। ফাইনালের চরম উত্তেজনাপূর্ণ সুপার ওভার দেখতে গিয়ে যে মৃত্যুবরণ করেছেন নিশামের ছোটবেলার কোচ ডেভিড জেমস গর্ডন।

ব্যাপারটা নিশাম নিজেই টুইট করে জানিয়েছেন, ‘ডেভ গর্ডন, আমার হাইস্কুল শিক্ষক, আমার কোচ ও বন্ধু। খেলার প্রতি তোমার ভালোবাসাটা সংক্রামক ছিল। মূলত তাদের কাছে, যাদের সৌভাগ্য হয়েছিল তোমার কাছ থেকে শিক্ষা নেওয়ার ও তোমার অধীনে খেলার। এমন একটা ম্যাচের শেষ পর্যন্ত তুমি ছিলে, এটাই আমার কাছে অনেক বড় ব্যাপার। আশা করি, তোমাকে গর্বিত করতে পেরেছি আমি। সবকিছুর জন্য ধন্যবাদ। তোমার আত্মার শান্তি কামনা করি।’

বিশ্বকাপ ফাইনালের প্রথম ইনিংসে ২৪১ রানে থেমে গিয়েছিল নিউজিল্যান্ড। জবাবে ইংল্যান্ডও থামে ২৪১ রানেই। প্রথমবারের মতো সুপার ওভারে গড়ায় বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ফাইনাল। এবার প্রথমে ব্যাটিং করে ইংলিশরা বেন স্টোকস আর জস বাটলারের ব্যাটে তোলে ১৫। জবাব দিতে নামেন মার্টিন গাপটিল ও জিমি নিশাম। নিজেদের সুপার ওভারের দ্বিতীয় বলেই বিশাল এক ছক্কা মেরে ব্যবধান কমিয়ে আনেন নিশাম। উত্তেজনাপূর্ণ সেই ছক্কার পরপরই মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়েন গর্ডন। ঘটনাটি জানিয়েছেন তাঁর মেয়ে লিওনি, ‘সুপার ওভার চলার সময় একজন নার্স আসে বাবাকে দেখার জন্য। সে তখনই বলে, বাবার শ্বাসপ্রশ্বাসের গতি পরিবর্তিত হচ্ছে। আমার মনে হয়, নিশাম যখন ছক্কাটা মারল, বাবা সেটা দেখেই শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।’

জিমি নিশাম ছাড়াও লকি ফার্গুসনের মতো একাধিক তারকা গর্ডনের নিজের হাতে তৈরি। আড়াই দশক ধরে অকল্যান্ড গ্রামার স্কুলের ক্রিকেট ও হকি কোচ হিসেবে কর্মরত ছিলেন গর্ডন।