টেন্ডুলকারের যে কারণে দেরি হলো

আইসিসির হল অব ফেমে জায়গা পাওয়ার স্মারক হাতে টেন্ডুলকার। ছবি: টুইটার
আইসিসির হল অব ফেমে জায়গা পাওয়ার স্মারক হাতে টেন্ডুলকার। ছবি: টুইটার
>

আইসিসির হল অব ফেমে জায়গা পেয়েছেন শচীন টেন্ডুলকার। প্রশ্ন উঠেছে, টেন্ডুলকারের মতো কিংবদন্তি রাহুল দ্রাবিড় ও অনিল কুম্বলের পরে হল অব ফেমে জায়গা পেলেন কেন? আইসিসি কিন্তু নিয়ম মেনেই টেন্ডুলকারকে অন্তর্ভুক্ত করেছে কিংবদন্তি ক্রিকেটারদের এ তালিকায়

ভারতের কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান শচীন টেন্ডুলকারকে হল অব ফেমে অন্তর্ভুক্ত করেছে আইসিসি। কাল লন্ডনে এক জমকালো অনুষ্ঠানে টেন্ডুলকার, দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক পেসার অ্যালান ডোনাল্ড ও অস্ট্রেলিয়ার সাবেক নারী পেসার ক্যাথরিন ফিটজপ্যাট্রিককে হল অব ফেমে জায়গা দিয়েছে ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক এ সংস্থা।

ভারতের ষষ্ঠ ক্রিকেটার হিসেবে এ সম্মান পেলেন টেন্ডুলকার। টেন্ডুলকার-ভক্তরা এতে খুশি হলেও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনা চলছে, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সর্বাধিক এ রান সংগ্রাহক হল অব ফেমে জায়গা পেলেন এত দিন পর! যেখানে তাঁর সমসাময়িক অনিল কুম্বলে ও রাহুল দ্রাবিড় হল অব ফেমে জায়গা পেয়েছেন আগেই। তাহলে টেন্ডুলকারকে জায়গা দিতে আইসিসি এত দেরি করল কেন? ভারতেরই সাবেক ওপেনার গৌতম গম্ভীর যেমন টুইট করেছেন, ‘...খেলোয়াড়ি জীবনেই তাঁর এটা পাওয়া উচিত ছিল।’

এক কথায় প্রশ্নটির জবাব হলো, না। মোটেই অবিচার করা হয়নি। হল অব ফেমে নির্দিষ্ট একটি নিয়ম মেনেই ক্রিকেটারদের নাম অন্তর্ভুক্ত করে থাকে আইসিসি। সেটি হলো, শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা কিংবা অবসর নেওয়ার পর ন্যূনতম পাঁচ বছর পার হলেই কোনো ক্রিকেটারকে হল অব ফেমে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এ নিয়ম মেনেই টেন্ডুলকারকে হল অব ফেমে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

২০১৩ সালের ১৪ নভেম্বর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট খেলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেন টেন্ডুলকার। মাঝে পাঁচ বছর কেটে যাওয়ার পর খ্যাতনামা ও কিংবদন্তি ক্রিকেটারদের তালিকায় জায়গা পেলেন টেন্ডুলকার। কুম্বলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছেড়েছেন ২০০৮ সালে। টেস্টে ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ ও ইতিহাসের তৃতীয় সর্বোচ্চ এ উইকেটশিকারি হল অব ফেমে জায়গা পান ২০১৫ সালে। আর রাহুল দ্রাবিড় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেন ২০১২ সালে। টেস্টে ভারতের হয়ে দ্বিতীয় ও ইতিহাসের চতুর্থ সর্বোচ্চ এ রান সংগ্রাহককে গত বছর হল অব ফেমে জায়গা দেয় আইসিসি।

এখন পর্যন্ত মোট ৮৭জন ক্রিকেটার আইসিসির হল অব ফেমে জায়গা পেয়েছেন। ইংল্যান্ড থেকে জায়গা পেয়েছেন সর্বোচ্চ ২৮ ক্রিকেটার। অস্ট্রেলিয়া থেকে ২৬ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ থেকে ১৮জন জায়গা পেয়েছেন এ তালিকায়। ভারত থেকে ছয়জন, পাকিস্তান থেকে পাঁচজন, নিউজিল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে তিনজন এবং শ্রীলঙ্কা থেকে জায়গা পেয়েছেন একজন ক্রিকেটার।