প্রায় 'জাতীয়' দল ১০ উইকেটে হারল আফগানিস্তান 'এ' দলের কাছে!

সাব্বির-রুবেল নিয়ে গড়া দলই ১০ উইকেটে হেরেছে! ফাইল ছবি
সাব্বির-রুবেল নিয়ে গড়া দলই ১০ উইকেটে হেরেছে! ফাইল ছবি
>চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ স্টেডিয়ামে আফগানিস্তান ‘এ’ দলের কাছে ১০ উইকেটে হেরেছে বাংলাদেশ ‘এ’ দল

আফগানিস্তানের বিপক্ষে হার নতুন কিছু নয়। আনঅফিশিয়াল টেস্টেও দেশের মাটির এই সিরিজে হেরেছে বাংলাদেশ ‘এ’ দল। তাই বলে ১০ উইকেটে হার!

অবাক করা খবরই বটে। আজ আফগানিস্তান ‘এ’ দলের কাছে ১০ উইকেটে হেরেছে বাংলাদেশ ‘এ’ দল। নামে বাংলাদেশ ‘এ’ দল হলেও ‘প্রায়’ জাতীয় দল বলাই যায়। সে দলই কিনা চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ স্টেডিয়ামে আফগানদের সামনে অসহায় আত্মসমর্পণ করল। এই জয়ে পাঁচ ম্যাচের আনঅফিশিয়াল ওয়ানডে সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেল আফগানরা। এর আগে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজও ১-০ ব্যবধানে জিতেছে তারা।

বাংলাদেশ ‘এ’ দলে জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের ছড়াছড়ি। কে নেই সেখানে! ওপেনার ইমরুল কায়েস ও এনামুল হক। এর পর বিশ্বকাপ খেলে আসা মোহাম্মদ মিঠুন ও সাব্বির রহমান। এখানেই শেষ নয়, ছিলেন পেস বোলার রুবেল হোসেন ও আবু জায়েদ রাহি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলা নাজমুল ইসলাম ও আফিফ হোসেনও আছেন এ দলে। জাতীয় দলের ছায়া দলটিই আফগান তরুণদের কাছে নাকানিচুবানি খেল।

যে উইকেটে রানের জন্য মাখা কুটে মরেছে বাংলাদেশের ব্যাটসমানরা। সেখানে হেসে খেলে রান তুলে নিয়েছে আফগান দুই ওপেনার। টস জিতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ২০১ রান তুলতেই হাঁপিয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। ইমরুল কায়েস, এনামুল হকরা ব্যর্থ হলেও আফগান ব্যাটসম্যানরা ঠিকই প্রমাণ করেছেন উইকেট ছিল ব্যাটিং সহায়ক। ৩৭ বল বাকি থাকতেই কোনো উইকেট না হারিয়ে জয় তুলে নেয় তারা।

ম্যাচটা একেবারেই ধরা ছোঁয়ার বাইরে নিয়ে গিয়েছে আফগান দুই ওপেনার রাহমানুল্লাহ গারবাজ ও ইব্রাহিম জাদরান। ১০৫ রানে অপরাজিত ছিলেন গারবাজ। বাংলাদেশ আরও কিছু রান করলে সেঞ্চুরি পেতে পারতেন ইব্রাহিমও। তিনি অপরাজিত ছিলেন ৮৬ রানে। জাতীয় দলের পেসার রুবেল ৭.৫ ওভারে ৩.০৬ ইকোনমিতে ২৪ রান দিয়েছেন। আবু জায়েদও বল করেছেন ৭.৫ ওভার। ৪.৫৯ ইকোনমিতে ৩৬ রান দিয়েছেন বিশ্বকাপে কোনো ম্যাচ না খেলা জায়েদ। সবচেয়ে খরচে ছিলেন স্পিনার নাজমুল ইসলাম। ৩ ওভারে ১২ ইকোনমিতে ৩৬ রান দিয়েছেন জাতীয় দল থেকে বাদ পড়া এই স্পিনার। ও ওভার বল করে লেগ স্পিনার সাব্বির দিয়েছেন ২৩ রান।

বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে কেউ ধারাবাহিক ছিলেন না। অবশ্য ওপেনিং জুটিতে ইমরুল ও এনামুল ভালোই শুরু করেছিলেন। ৫২ রানের জুটি গড়ে ফেরার আগে ইমরুলের ব্যাট থেকে এসেছে ২৮ রান। এর পর থেকে শুরু হয় যাওয়া আসার পালা। ৫২ রানে কোনো উইকেট না হারানো দলটি মুহূর্তের মধ্যে ১০৬ রানে হারিয়ে ফেলে ৬ উইকেট। ১৯ রানে ফিরেছেন এনামুল। বিশ্বকাপ খেলে আসা মিঠুন ৩ ও সাব্বির ১৫ রান। ভাগ্যিস অষ্টম উইকেট জুটিতে ৬৭ রানের জুটি না গড়েছিলেন আফিফ হোসেন ও ফরহাদ রেজা। ৭১ বল খেলে সর্বোচ্চ ৫৯ রান করেছেন আফিফ, দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩০ রান এসেছে ফরহাদের ব্যাট থেকে।