বিশ্বকাপে খেলুক সহযোগী দেশগুলো, রশিদের চাওয়া

আফগানিস্তান অধিনায়ক রশিদ খান। ছবি: এএফপি
আফগানিস্তান অধিনায়ক রশিদ খান। ছবি: এএফপি
>২০২৩ বিশ্বকাপও হবে ১০ দল নিয়ে। সিদ্ধান্তটি আগেই নিয়ে রেখেছে আইসিসি। তার পরের বিশ্বকাপ থেকে আইসিসির সহযোগী সদস্য দেশগুলোকেও দেখতে চান আফগানিস্তান অধিনায়ক রশিদ খান

২০১৯ থেকে বিশ্বকাপ ক্রিকেট হয়ে যাবে ১০ দলের। এ সিদ্ধান্ত চার বছর আগেই নিয়ে রেখেছিল আইসিসি। দশ দলীয় বিশ্বকাপ শেষ হয়েছে এক সপ্তাহ হলো। বিশ্বকাপ ক্রিকেটের আভিজাত্য বজায় রাখতে এবং ক্রিকেটের বিশ্ব আসরে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাড়াতেই নাকি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছিল আইসিসি। কিন্তু রশিদ খান ১০ দলের বিশ্বকাপের সঙ্গে একমত নন। ২০২৩ বিশ্বকাপের পর সহযোগী দেশগুলোকেও ওয়ানডে বিশ্বকাপে দেখতে চান আফগানিস্তান অধিনায়ক।

২০২৩ বিশ্বকাপও হবে ১০ দল নিয়ে। এ সিদ্ধান্ত আগেই চূড়ান্ত করে রেখেছে আইসিসি। অর্থাৎ নিয়মটি পাল্টালে তার পরের বিশ্বকাপে সহযোগী দেশগুলোর জন্য দ্বার খুলবে। ক্রিকইনফোকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ নিয়ে রাখঢাক রাখেননি রশিদ। তাঁকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল ২০২৩ বিশ্বকাপে এ টুর্নামেন্টে আরও বেশি সহযোগী দেশের অংশগ্রহণ দেখতে চান কি না? রশিদের জবাব, ‘অবশ্যই। এটা বিশ্বকাপকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলবে।’

রশিদ খান তাঁর মতের পক্ষে যুক্তিও দিয়েছেন, ‘বড় দলগুলোর বিপক্ষে এসব দল ভালো করলে...অতীতে দেখেছি সহযোগী দলগুলো পূর্ণ সদস্যের দলকে হারিয়ে দিয়েছে। যেমন ধরুন আয়ারল্যান্ড ইংল্যান্ডকে হারিয়েছে। এটাই হয়ে থাকে। সহযোগী দলগুলোও ভালো খেলতে পারে। ওরা কঠোর পরিশ্রম করছে ও বিশ্বকাপে খেলার স্বপ্ন দেখছে। তাই আমি অবশ্যই সব সহযোগী দেশগুলোকেই দেখতে চাই বিশ্বকাপে। এটা হলে ওরা বুঝতে পারবে ক্রিকেটে উন্নতির জন্য ওদের কতটা দক্ষতা প্রয়োজন।’

সহকারী অধিনায়ক থেকে আফগানিস্তানের অধিনায়ক হয়েছেন রশিদ খান। এবার বিশ্বকাপে মোটেও ভালো করতে পারেনি আফগানিস্তান। ১০ দলের টেবিলে সবার নিচে থেকে টুর্নামেন্ট শেষ করেছে তারা। জিততে পারেনি একটি ম্যাচও। স্বাভাবিকভাবেই আগামী বিশ্বকাপ ঘিরে পরিকল্পনা সাজাচ্ছেন ২০ বছর বয়সী এ অধিনায়ক। সহযোগী দেশ থেকে আইসিসির পূর্ণ সদস্য দেশ হিসেবে এবার বিশ্বকাপ খেলেছে আফগানিস্তান। সবশেষ বিশ্বকাপে সহযোগী দেশ হিসেবে খেলেছিল দলটি। সেটাই ছিল আফগানিস্তানের প্রথম বিশ্বকাপ।