আফগানিস্তানের কাছে হেরেই চলেছে বাংলাদেশ 'এ'

>চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আফগানিস্তান ‘এ’ দলের কাছে টানা দ্বিতীয় আনঅফিশিয়াল ওয়ানডেতে হেরেছে বাংলাদেশ ‘এ’ দল। প্রথম ম্যাচে ১০ উইকেটে হারের পর আজ বাংলাদেশ হেরেছে ৪ উইকেটে।

টানা আফগানিস্তান ‘এ’ দলের কাছে হেরেই চলেছে বাংলাদেশ ‘এ’ দল। আজ আফগানদের বিপক্ষে ৪ উইকেটে হেরেছে স্বাগতিকেরা। নামে বাংলাদেশ ‘এ’ দল হলেও এটিকে ‘প্রায়’ জাতীয় দলই বলা যায়। সে দলই কিনা চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ স্টেডিয়ামে আফগানদের কাছে টানা দ্বিতীয় ম্যাচে হারল। এই জয়ে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ২-০ তে এগিয়ে গেল আফগানরা। এর আগে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজও ১-০ ব্যবধানে জিতেছে তারা।

বাংলাদেশ ‘এ’ দলে জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের ছড়াছড়ি। কে নেই সেখানে! ওপেনার ইমরুল কায়েস ও এনামুল হক। এর পর বিশ্বকাপ খেলে আসা মোহাম্মদ মিঠুন ও সাব্বির রহমান। এখানেই শেষ নয়, ছিলেন ফরহাদ রেজা ও আবু জায়েদ। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলা শফিউল ইসলাম, আবু হায়দার রনি ও আফিফ হোসেনও আছেন এ দলে। জাতীয় দলের ছায়া দলটিই আফগান তরুণদের কাছে নাকানিচুবানি খাচ্ছে।

টস হেরে প্রথমে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় অতিথিরা। ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৭৮ রান সংগ্রহ করে ইমরুল, মিঠুনরা। সেটিই ৫ বল হাতে রেখেই তাড়া করল আফগানিস্তান। টানা দ্বিতীয় জয়ে ১২৭ রান করে বড় অবদান রেখেছেন ইব্রাহিম জাদরান। বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ৮৫ রান করেছেন মিঠুন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৯ রান এসেছে মোহাম্মদ নাঈমের ব্যাট থেকে। জাতীয় দল থেকে বাড় পড়া ওপেনার ইমরুল করেছেন ৪০ রান। এ ছাড়া সাব্বির রহমানের ব্যাট থেকে এসেছে ৩৫ রান। শ্রীলঙ্কা সফরে জাতীয় দলে ডাক পাওয়া ফরহাদ রেজা করেছেন মাত্র ১ রান।

২৭৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে ম্যাচটা আফগানিস্তান নিজেদের করে নেয় জাদরানের ব্যাটেই। দলীয় ২৮ রানে ওপেনার রহমানুল্লাহ গাবরাজ ফিরে গেলেও অন্য প্রান্তে ৪৬.১ ওভার পর্যন্ত খেলে সেঞ্চুরি তুলে নেন জাদরান। তিনি যখন ফেরেন আফগানিস্তানের সংগ্রহ তখন ৬ উইকেটে ২৪৪।

বাকি ২৩ বলে প্রয়োজন ছিল ৩৫। আর বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল ৪ উইকেট। কিন্তু সপ্তম উইকেট জুটিতে শরাফুদ্দিন আশরাফ ও ফজল নিয়াজাই ঝড় তুলে ম্যাচটা বের করে নেন ৫ বল হাতে রেখে। ১৭ বল খেলে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৬ রান এসেছে আশরাফের ব্যাট থেকে। ৮ বলে ১৫ রানে অপরাজিত ছিলেন নিয়াজাই।

সর্বোচ্চ ২ উইকেট পেয়েছেন জাতীয় দল থেকে বাদ পড়া শফিউল। তবে ৯.২ ওভার বল করে ৫৯ রান দিয়েছেন তিনি। জাতীয় দলের আরেক বোলার আবু জায়েদ ১০ ওভার বল করে ৫৮ রান দিয়ে পেয়েছেন ১ উইকেট। আবু হায়দার ১ উইকেট পেয়েছেন ১০ ওভার বল করে ৫৬ রান দিয়ে। ২ ওভারে ১০ রান দিয়ে ১ উইকেট পেয়েছেন সাব্বির রহমান। শ্রীলঙ্কা সফরে জাতীয় দলে ডাক পাওয়া ফরহাদ রেজা ৪.৫ ওভারে ৪২ রান দিয়ে কোনো উইকেট পাননি।