ইচ্ছে করেই বাজে খেলেছেন আফগান ক্রিকেটাররা!

বিশ্বকাপের পর মুখ খুললেন গুলবদিন। ছবি : এএফপি
বিশ্বকাপের পর মুখ খুললেন গুলবদিন। ছবি : এএফপি
>

বিশ্বকাপ চলার সময়ে মুখে কুলুপ এঁটে ছিলেন। এখন বিশ্বকাপ শেষ, হারিয়েছেন অধিনায়কত্ব। এত দিনে এসে গুলবদিন নাইব মুখ খুললেন। বললেন, বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের হতশ্রী অবস্থার পেছনে দায়ী সিনিয়র ক্রিকেটাররা!

বিশ্বকাপটা আফগানিস্তান যত দ্রুত ভুলে যাবে ততই ভালো। প্রতিটি ম্যাচেই হেরেছে ক্রিকেটের উদীয়মান এ দল। অথচ বিশ্বকাপ শুরুর আগে আফগানদের নিয়ে প্রত্যাশাটা মন্দ ছিল না। সেমিফাইনালে তারা উঠবে—এমন আশা হয়তো কেউ করেনি, কিন্তু একটি-দুটি ম্যাচ জেতার সামর্থ্য তাদের ছিলই। বিশ্বকাপ শেষে তোলপাড় চলছে আফগান ক্রিকেটে। চলছে রদবদল। অধিনায়কত্বেও এসেছে বদল। নেতৃত্ব হারিয়ে আফগান অধিনায়ক গুলবাদিন নাইব এখন বলেছেন, বিশ্বকাপে দলের এ অবস্থার জন্য দায়ী সিনিয়র খেলোয়াড়েরা। ইচ্ছা করেই বাজে খেলেছেন তাঁরা!

বিশ্বকাপের ঠিক আগ দিয়ে তড়িঘড়ি করে আসগর আফগানের হাত থেকে অধিনায়কত্ব নিয়ে দেওয়া হয়েছিল গুলবদিনকে। প্রকাশ্যে সে সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছিলেন রশিদ খান, মোহাম্মদ নবীর মতো সিনিয়র তারকারা। তখনই বোঝা গিয়েছিল, আফগান ড্রেসিংরুমের ভেতরটা অশান্ত। এমনকি বিশ্বকাপের সময়েও কোচ ফিল সিমন্স ও প্রধান নির্বাচক একে অপরের দিকে তোপ দেগেছেন। তখন দলের ভেতরকার অবস্থা নিয়ে গুলবদিন কিছু বলতে না চাইলেও মুখ খুলেছেন এখন। সম্প্রতি গুলবদিনের কাছ থেকে অধিনায়কত্ব কেড়ে নিয়ে লেগ স্পিনার রশিদ খানকে দেওয়া হয়েছে। এই অবস্থায় গুলবদিন বলেই দিলেন ড্রেসিংরুমের ভেতরের অস্থিরতার কথা।

আফগানি সাংবাদিক ওয়াসিল ওয়েসালকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে গুলবাদিনের নিজের হতাশার কথা জানিয়েছেন, ‘সিনিয়রদের পারফরম্যান্সের ওপর আফগানিস্তান দল নির্ভরশীল। কিন্তু এই সিনিয়ররাই বিশ্বকাপে ইচ্ছে করে খারাপ খেলেছে। যার প্রভাব পড়েছে দলের ফলাফলের ওপর। তারা আমার কথার কোনো গুরুত্ব দিত না। ম্যাচ হেরে তারা দুঃখিত না হয়ে ড্রেসিংরুমে হাসাহাসি করত! ম্যাচের মধ্যে আমি যখন তাদের কোনো নির্দেশনা দিতাম, তখন তারা আমার দিকে তাকাতই না!’

গুলবাদিনের কথা সত্য হলে এটি আফগান ক্রিকেটের জন্য অশনিসংকেতই!