'রকেট'-এ চড়ছে বাংলাদেশের ক্রিকেট

বাংলাদেশের ক্রিকেটের কিছু ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী স্পনসর রকেট। ফাইল ছবি
বাংলাদেশের ক্রিকেটের কিছু ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী স্পনসর রকেট। ফাইল ছবি

সম্পর্কটা বেশ পুরোনো। একদম আঙুলে গুনে দেখতে গেলেও সম্পর্কের বয়ঃপ্রাপ্তি ঘটে গেছে গত নভেম্বরেই। ইতিহাসে অমর হয়ে যাওয়া সেই অভিষেক টেস্টের দিন থেকেই হাতে হাত রেখে পদচারণা বাংলাদেশের ক্রিকেট ও ডাচ-বাংলা ব্যাংকের। নাইমুর রহমানের শূন্যে ছুড়ে দেওয়া সেই বিশেষ মুদ্রা থেকে শুরু করে অভিষেক টেস্টের প্রতিটি মুহূর্তের সঙ্গে জড়িত ছিল ডাচ-বাংলা ব্যাংক। ১৮ বছর পরও সেভাবেই বাংলাদেশের ক্রিকেটের সঙ্গে জড়িয়ে আছে এই প্রতিষ্ঠান।

২০২৩ বিশ্বকাপ যাত্রার প্রথম ধাপ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের ওয়ানডে সিরিজ। ২৬ জুলাই থেকে শুরু হয়ে ৩১ জুলাই পর্যন্ত চলবে এ সিরিজ। মাঝখানে একটি বিশ্বকাপ চলে গেলেও বাংলাদেশ সর্বশেষ লঙ্কানদের মুখোমুখি হয়েছিল ২০১৮ সালের একদম শুরুতে। দেড় বছর আগে হওয়া সেই ত্রিদেশীয় সিরিজের টাইটেল স্পনসর ছিল রকেট। ডাচ-বাংলা ব্যাংকের এই প্ল্যাটফর্ম এবারও বেশ ভালোভাবেই জড়িয়ে থাকবে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা সিরিজে।

লঙ্কানদের বিপক্ষে বাংলাদেশের সবগুলো ম্যাচ দেখা এবার দেশের তিনটি টিভি চ্যানেলে। বিটিভি ছাড়াও ক্রিকেটপ্রেমীদের ক্ষুধা মেটাতে যাচ্ছে মাছরাঙ্গা ও গাজী টিভি। আর তিনটি চ্যানেলেই সম্প্রচার সহযোগী হিসেবে থাকবে রকেট। শুধুমাত্র ডাচ-বাংলা ব্যাংকের সৌজন্যেই দেখা যাবে এই সিরিজ। 

শুধু অভিষেক টেস্টই নয়, ডাচ-বাংলা রকেট বেশ কিছু অনন্য অর্জনেরও সঙ্গী বাংলাদেশের ক্রিকেটের। আফগানিস্তানের বিপক্ষে শততম ওয়ানডে জয়ের সিরিজের গর্বিত টাইটেল স্পনসর ছিল রকেট। সে সাফল্যের আনন্দ তাজা থাকতে থাকতে টেস্টে ইংল্যান্ড বধ করেছিল বাংলাদেশ। সে সিরিজেও টাইটেল স্পনসর হিসেবে সঙ্গী ছিল ডাচ-বাংলা রকেট। পরের বছর আরেক ঐতিহাসিক মুহূর্ত উপহার দিয়েছিল বাংলাদেশ দল। অর্ধ যুগ পরে বাংলাদেশে আসা অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেও টেস্ট জিতেছিল বাংলাদেশ। সে গৌরবের অংশীদার হতে পেরেছিল ডাচ-বাংলা রকেট।

উপমহাদেশে এখনো দ্বিপাক্ষিক কোনো সিরিজ জেতেনি বাংলাদেশ। নতুন ইতিহাসের অংশ হওয়ার ধারা এবারও চলবে তো?

সে উত্তর তো জানা যাবে পরে। তবে বাংলাদেশের ক্রিকেটের লড়াইয়ের দিনগুলো থেকে শুরু করে এখনো ডাচ-বাংলা ব্যাংক যেভাবে পৃষ্ঠপোষণা করছে, এর জন্য তাদের একটা ধন্যবাদ এখনই পাওনা।