বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন জুনিয়রদের ১২ ওভার হাতে রেখে হারাল বাংলাদেশ

বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দল। ফাইল ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া
বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দল। ফাইল ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া
ইংল্যান্ডে অনূর্ধ্ব-১৯ ত্রিদেশীয় সিরিজে স্বাগতিক ইংল্যান্ডকে ৬ উইকেটে হারিয়ে দুর্দান্ত শুরু করেছে বাংলাদেশ।


ইংল্যান্ড সফরের শুরুতে এতটা আশা বুঝি করেনি বাংলাদেশও! অনূর্ধ্ব-১৯ ত্রিদেশীয় সিরিজে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ইংল্যান্ডকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশের যুবারা। তাও আবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন জুনিয়রদের বিপক্ষে আকবর বাহিনী ম্যাচটি শেষ করেছে প্রায় ১২ ওভার হাতে রেখেই। একেবারে রাজসিক জয় বলতে যা বোঝায় আরকি!

উস্টারশায়ারে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে সুবিধা করতে পারেনি ইংলিশরা। ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২০০ রান সংগ্রহ করে তারা। সে রান তাড়া করতে নেমে একেবারে হেসেখেলে জয় তুলে নিয়েছে। ৩৮.১ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ।

বড় এই জয়ে বল হাতে সবচেয়ে বড় অবদান রেখেছেন তানজিম হাসান সাকিব। আর ব্যাট হাতে মিডল অর্ডার দুই ব্যাটসম্যান তৌহিদ হৃদয় ও শাহাদাত হোসেন। চতুর্থ উইকেট জুটিতে এই দুজন ১১৪ রানের জুটি গড়ে। দুজনই তুলে নিয়েছেন হাফ সেঞ্চুরি। শাহাদাত ৫৭ রানে আউট হয়ে ফিরলেও ৭০ রানে অপরাজিত ছিলেন হৃদয়।

অবশ্য রান তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশের শুরুটা ভালো হয়নি। দলীয় ১১ রানেই ফিরে যান ওপেনার তানজিদ হাসান। ওয়ান ডাউনে আসা মাহমুদুল হাসান জয়কে সঙ্গে নিয়ে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ৪৭ রানের জুটি গড়েন ওপেনার প্রান্তিক নওরোজ নাবিল। দলীয় ৫৮ রানে ফিরে যান নাবিল (১৪)। স্কোরবোর্ডে আর ১৪ রান উঠতেই জয়ের ফিরে যাওয়া ব্যক্তিগত ৩৬ রানে। এরপরে ক্রিজে খুঁটি গেড়ে বসেন হৃদয় ও শাহাদাত। ১১৪ রানের জুটি গড়ে ম্যাচটাকে ধরাছোঁয়ার বাইরে নিয়ে যান। দলীয় ১৮৬ রানে শাহাদাত আউট হলে বাকি পথটা অধিনায়ক আকবর আলিকে সঙ্গে নিয়ে পাড়ি দেন হৃদয়।

এর আগে বল হাতে আগুন ঝরিয়েছেন সাকিব। তাঁর দুর্দান্ত বোলিংয়েই স্বাগতিকদের ২০০ রানের মধ্যেই আটকে ফেলেছেন বাংলাদেশের যুবারা। সাকিবের দারুণ বোলিংয়ে স্বচ্ছন্দে এগোতে পারেনি স্বাগতিকেরা। ১০ ওভারে ৪৯ রান দিয়ে তুলে নিয়েছেন ৪ উইকেট। স্কোরবোর্ডে ৮৭ রান তুলতেই ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলেন ইংলিশ যুবারা। শেষ পর্যন্ত তাঁদের স্কোর দাঁড়িয়েছে ২০০।

শুরুটা ভালো করেও রানআউটের শিকারে ওপেনিং জুটি ভাঙে ইংল্যান্ডের। দুই ওপেনার ডান মাউসলি ও টম ক্লার্ক ওপেনিং জুটিতে ৪৯ রান তোলেন। ব্যক্তিগত ২০ রানে দশম ওভারে রানআউট হয়ে ফেরেন মাউসলি। এরপর যাওয়া-আসার মিছিল শুরু হয় ইংলিশদের। পরের ৩৮ রান তুলতেই হারিয়ে ফেলে ৫ উইকেট। এর মধ্যে ৩ উইকেট নিয়ে ইংলিশদের ব্যাটিং-মেরুদণ্ডে আঘাত হানেন সাকিব।

ইংল্যান্ডের স্কোর ২০০ পর্যন্ত নিয়ে যেতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে তাদের সপ্তম উইকেট জুটি। এ জুটিতে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছেন লুইস গোল্ডওয়ার্থি এবং ক্যাসে অলরিজ। ১১১ রানের জুটি গড়েন তাঁরা। শেষ ওভারে অলরিজকে বোল্ড করেন সাকিব। ৪ উইকেট নিয়ে ইংলিশদের বিপক্ষে তিনিই আজ সবচেয়ে উজ্জ্বল মুখ। সিনিয়র সাকিব কদিন আগে ইংল্যান্ড মাতিয়ে এসেছেন। এবার জুনিয়র সাকিব পারলেই হয়!

বাংলাদেশের এই জয়ে টানা দুই ম্যাচ হারল ইংল্যান্ড। প্রথম ম্যাচে ভারতের বিপক্ষেও হেরেছিল স্বাগতিকেরা।