ধর্ষণের মামলা থেকে মুক্তি রোনালদোর

ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো
ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো
>

পর্তুগিজ তারকা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনা হবে না বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রসিকিউটররা।

অবশেষে হাঁপ ছেড়ে বাঁচলেন রোনালদো। গত বছর তাঁর বিরুদ্ধে যে ধর্ষণের অভিযোগ আনা হয়েছিল, সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত না হওয়ার কারণে সে অভিযোগ তুলে নেওয়া হয়েছে।

ঘটনাটা পুরোনো। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক মডেল ক্যাথরিন মায়োরগার অভিযোগ করেন, ২০০৯ সালে লাস ভেগাসের এক হোটেলে তাঁকে ধর্ষণ করেছিলেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। তবে আদালত অবদি ব্যাপারটা গড়াতে গড়াতে সময় লেগেছে নয় বছর! গত বছরের সেপ্টেম্বরে নেভাদার জেলা আদালতে রোনালদোর বিরুদ্ধে মামলা করেন মায়োরগা। যদিও রোনালদো শুরু থেকেই তা অস্বীকার করে আসছেন। ২০০৯ সালের ঘটনার মামলা এত দিন পর কেন করা হলো, এমন প্রশ্ন অনেকের মনেই জাগতে পারে। জানা যায়, লাস ভেগাস পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছিলেন মায়োরগা। কিন্তু তখন দুই পক্ষের মধ্যে সমঝোতা হয়েছিল। গত বছর যৌন হয়রানি নিয়ে ‘হ্যাশট্যাগ মি টু’ আন্দোলনের পরই এ নিয়ে কথা বলার সাহস ফিরে পান মায়োরগা।

জার্মান পত্রিকা ডার স্পেইগেলের বিস্ফোরক এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, অভিযোগকারীর আইনজীবী লেসলি স্টোভালের মতে, ২০০৯ সালের জুনে লাস ভেগাসের এক হোটেলে ধর্ষণের শিকার হন মায়োরগা। এরপর রোনালদো এবং সেই নারী মৌখিকভাবেই নাকি ব্যাপারটা চুকিয়ে ফেলেছিলেন। স্টোভালের দাবি, ব্যাপারটা নিয়ে সেই নারী যেন কখনো মুখ না খোলেন, তা নিশ্চিত করতে তাঁকে ৩ লাখ ৭৫ হাজার ডলার দিয়েছিলেন রোনালদো। জার্মান সংবাদমাধ্যমটির অনলাইনে একটি ভিডিওবার্তায় স্টোভাল বলেছিলেন, ‘২০০৯ সালের জুনে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো নামের এক ব্যক্তির দ্বারা সে ধর্ষণের শিকার হয়।’ রোনালদোর আইনজীবী শের্টৎজ অবশ্য বলেছেন, ‘নৈতিকভাবে খেলোয়াড়টি যে ক্ষতি সাধিত হয়েছে, তার ক্ষতিপূরণ চাওয়া হবে’ সংবাদমাধ্যমটির কাছে। পরে মায়োরগাই মামলা চালাতে নিরুৎসাহিত হয়ে পড়েন। এবার প্রসিকিউটররাও জানিয়ে দিলেন, রোনালদোকে দোষী বলার মতো পর্যাপ্ত প্রমাণ তাঁদের হাতে নেই।

এ বিষয়ে গতকাল সোমবার এক বিবৃতিতে লাস ভেগাসের কৌঁসুলি বলেছেন, এই অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়নি। রোনালদোর বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ আনা হচ্ছে না।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সেই সময়কার তথ্যের পর্যালোচনার ওপর ভিত্তি করে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগের সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়নি। এ কারণে তাঁর বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ আনা হচ্ছে না।