বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে চেনাই দায়!

আউট হয়ে ফিরছেন জো রুট। বিপদে দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে পারেননি। ছবি: এএফপি
আউট হয়ে ফিরছেন জো রুট। বিপদে দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে পারেননি। ছবি: এএফপি
>লর্ডসে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে চার দিনের টেস্টের প্রথম দিনে ভয়াবহ ব্যাটিং বিপর্যয়ে ইংল্যান্ড

ইংলিশ সমর্থকদের কথা বাদ দিন, সাধারণ ক্রিকেটপ্রেমীরাও কী ঘুণাক্ষরেও কল্পনা করতে পেরেছেন! কদিন আগে যে মাঠে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হলো ইংল্যান্ড সে মাঠেই কি না স্বাগতিকদের এমন হাল! সেটিও আবার আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে! বিস্ময়ের পর বিস্ময় আর কি। আইরিশ বোলিংয়ের বিপক্ষে টেস্টের প্রথম দিনে মাত্র ২৩.৪ ওভার টিকেছে ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংস। গুটিয়ে গেছে ৮৫ রানেই!
যে মাঠকে ‘ক্রিকেট মক্কা’ তকমা দিয়েছে ইংলিশরা, যে মাঠে কদিন আগে বিশ্বকাপ জিতলেন জোর রুটরা—সেই লর্ডসেই আগে ব্যাটিংয়ে নেমে অকুল পাথারে পড়েছে ইংল্যান্ড। বেশি দিন আগের কথাও না, গত বছর টেস্ট মর্যাদা পাওয়া আইরিশরা প্রথমবারের মতো লর্ডসে নেমেই প্রতিবেশীদের যে এমন হাল করবে তা জানত কে! একবার কল্পনা করুন, এই আয়ারল্যান্ডই বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি, যেখানে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ইংল্যান্ড। অথচ, সেই ইংল্যান্ডকেই বিশ্বকাপ জয়ের পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার প্রথম দিনেই দেখতে হলো মুদ্রার উল্টো পিঠ।

টেস্ট অভিষিক্ত জেসন রয়কে তৃতীয় ওভারে তুলে নিয়ে শুরুটা করেছিলেন টিম মারটগ। এরপর ৯.৫ ওভার থেকে ১৩তম ওভারের মধ্যে ৫ উইকেট হারিয়েছে ইংল্যান্ড। বলের হিসেবে মাত্র ২০ বল, এর মধ্যেই প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ডের বড় সংগ্রহের স্বপ্ন গুঁড়িয়ে দেয় আইরিশ পেসাররা। সত্যি বলতে ইংল্যান্ডের স্কোরকার্ড দেখলে মনে হবে ব্যাটিংয়ের ‘হরর শো’—নির্ভেজাল ‘ডাক’ মেরেছেন জনি বেয়ারস্টো, মঈন আলী ও ক্রিস ওকস। টপ অর্ডারে সর্বোচ্চ ২৩ রান এসেছে জো ডেনলির ব্যাট থেকে। ৫ রান করেন রয় আর ২ রানে আউট হন জো রুট।  এরই মধ্যে ৫ উইকেট নিয়েছেন আইরিশ পেসার মারটগ।

চার দিনের এ টেস্টে ইংলিশ সমর্থকেরা একটি পরিসংখ্যান জেনে রাখলে আগেভাগেই প্রস্তুতি নিতে সুবিধা হবে। ঘরের মাঠে ইংল্যান্ড প্রথম ইনিংসে ৫০ রান তোলার আগেই ৬ উইকেট হারিয়ে এ পর্যন্ত একবারই টেস্ট জিততে পেরেছে। সেটি ১৯৯৯ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। আর আজ ৪৩ রান তুলতেই ৭ উইকেট হারিয়েছে রুটের দল। টেস্টে প্রথমবারের মতো আয়ারল্যান্ডের মুখোমুখি হয়ে এমন শুরুর পর জয়টা তাই ভীষণ কঠিনই হবে ইংল্যান্ডের জন্য।
অ্যাশেজের আগে এই বিপর্যয় অবশ্যই ভাবাবে ইংলিশদের!