তারকা হওয়ার পথে যে ২০ তরুণ ফুটবলার

>
ভিনিসিয়ুস-কিন ; জ্বলে ওঠার সময় এখনই। ছবি : টুইটার
ভিনিসিয়ুস-কিন ; জ্বলে ওঠার সময় এখনই। ছবি : টুইটার

সামনের মৌসুমে নতুন কোনো কোনো তারকা ইউরোপের ক্লাবগুলোর হয়ে মাঠ মাতাবেন? আসুন এমন বিশ জন সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক

সামনের মৌসুমের জন্য এর মধ্যেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে ইউরোপের ক্লাবগুলো। একে অপরের সঙ্গে প্রীতি ম্যাচ খেলে নিজেদের শক্তিমত্তা যাচাই করে নিচ্ছে। এসব প্রীতি ম্যাচে এর মধ্যেই বিভিন্ন তরুণ খেলছেন, যারা সামনের মৌসুমে ঝলক দেখাতে পারেন, বিশ্বমঞ্চে নিজেদের আগমনী বার্তা দিতে পারেন বেশ ভালোভাবে। কে তাঁরা? আসুন জেনে নেওয়া যাক এমন বিশ জন তরুণ তারকাকে।

এখানে উল্লেখ্য, তালিকায় এমন কাউকে নেওয়া হয়নি যার জন্ম ২০০০ সালের আগে। আবার ২০০০ সালের পরে জন্ম হওয়ার পরেও কেউ যদি এর মধ্যেই চ্যাম্পিয়নস লিগ, ইউরোপা লিগ বা ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগের মতো আসরে নিজের ঝলক এর মধ্যেই দেখিয়ে ফেলেন, তাকেও এ তালিকায় রাখা হয়নি। ফলে ম্যাথিস ডি লিট, কিলিয়ান এমবাপ্পে, ট্রেন্ট আলেক্সান্ডার আরনল্ড, নিকোলো জানিওলো, লুকাস পাকেতা, জিয়ানলুইজি দোনারুমা, হোয়াও ফেলিক্স, জ্যাডোন সাঞ্চোর মতো তরুণ তারকাদের রাখা হয়নি এখানে।

লিভারপুলের হয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতা হয়ে গেছে ব্রুস্টারের। ছবি : টুইটার
লিভারপুলের হয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতা হয়ে গেছে ব্রুস্টারের। ছবি : টুইটার

রিয়ান ব্রুস্টার (ইংল্যান্ড, লিভারপুল)
উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতলেও লিভারপুলের আক্রমণভাগে যে কোনো ঘাটতি নেই, সে কথা বলা যায় না। রবার্তো ফিরমিনো, মোহাম্মদ সালাহ কিংবা সাদিও মানের কেউ একজন যদি চোটে পড়ে যান, তাহলে তাদের বিকল্প হিসেবে তেমন কেউ নেই কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপের হাতে। তাও ক্লপ নিশ্চিন্ত আছেন, দলে নতুন কোনো স্ট্রাইকার আনছেন না। আর ক্লপের এ নিশ্চিন্ত থাকার পেছনে কারণ হিসেবে রয়েছেন তরুণ ইংলিশ ফরোয়ার্ড রিয়ান ব্রুস্টার। আগামী মৌসুমে ব্রুস্টারকে ভালোমতো সুযোগ দিয়েছেন, ক্লপ নিজেই স্বীকার করেছেন সেটা। ইংল্যান্ডের হয়ে অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপ জেতা এই তারকা ২৩ ম্যাচে এর মধ্যেই গোল করেছেন ২০টি। গত অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ গোলদাতা ও তৃতীয় সেরা খেলোয়াড় তিনিই হয়েছিলেন। 

সার্জিও গোমেজ (স্পেন, বরুসিয়া ডর্টমুন্ড)
আন্দ্রেস ইনিয়েস্তার উত্তরসূরি মানা হয় এ তারকাকে। কিন্তু বার্সা সমর্থকদের মন ভেঙে দিয়ে ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে মাত্র ৩ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে বরুসিয়া ডর্টমুন্ডে যোগ দেন সার্জিও গোমেজ। ডর্টমুন্ডের হয়ে এই মৌসুমে মূল একাদশে থাকার কথা আছে এই তারকার।

সান্দ্রো তোনালি (ইতালি, ব্রেসিয়া)
এখনো ইতালির শীর্ষ লিগেই খেলা হয়নি সান্দ্রো তোনালির। কিন্তু মিডফিল্ডে বলিষ্ঠ পারফরম্যান্স দেখিয়ে এর মধ্যেই ‘নতুন আন্দ্রে পিরলো’ তকমা জুটে গেছে তাঁর। ব্রেসিয়ার মতো ক্লাবকে দ্বিতীয় বিভাগ থেকে এই মৌসুমে প্রথম বিভাগে তুলে আনার পেছনে অন্যতম বড় ভূমিকা তাঁর। এর মধ্যেই এসি মিলান, এএস রোমা, ইন্টার মিলান, জুভেন্টাস, লিভারপুলের মতো ক্লাবগুলো তাঁর পেছনে পেছনে ঘুরছে। ইতালি জাতীয় দলের হয়েও অভিষেক হয়ে গেছে তাঁর।

নেইমারও মুগ্ধ ভিনিসিয়ুসের খেলায়। ছবি : টুইটার
নেইমারও মুগ্ধ ভিনিসিয়ুসের খেলায়। ছবি : টুইটার

ভিনিসিয়ুস জুনিয়র (ব্রাজিল, রিয়াল মাদ্রিদ)
মাত্র ১৬ বছর বয়সে ফ্লামেঙ্গোর হয়ে পেশাদার ক্যারিয়ার শুরু হতে না হতেই রিয়াল মাদ্রিদ তাঁকে কিনে নিয়েছিল ৪৫ মিলিয়ন ইউরো দিয়ে। তখন টাকার অঙ্ক শুনে অনেকের চোখ কপালে উঠলেও রিয়ালের খেলা যারা মোটামুটি অনুসরণ করেন, তারা জানেন কেমন রত্ন পেয়েছে তারা। সদ্য উনিশে পা দেওয়া এ তারকা এর মধ্যে গত মৌসুমে যত বার সুযোগ পেয়েছেন, নিজের জাত চিনিয়েছেন। তাঁর মধ্যে ব্রাজিলের ভবিষ্যৎ মহাতারকার ছায়া দেখতে পাচ্ছেন অনেকে। ব্রাজিলের হয়ে এর মধ্যেই অভিষিক্ত এ তারকা হয়তো কোপা আমেরিকাও খেলতেন, কিন্তু সদ্য চোট থেকে ফেরায় ঝুঁকি নিতে চাননি ব্রাজিল কোচ তিতে। এ মৌসুমে রিয়াল কোচ জিনেদিন জিদানের তুরুপের অন্যতম প্রধান তাস হতে যাচ্ছেন এই তরুণ। 

টট্টি-দেল পিয়েরো-ভিয়েরিদের পথ ধরে এগোচ্ছেন কিন। ছবি : টুইটার
টট্টি-দেল পিয়েরো-ভিয়েরিদের পথ ধরে এগোচ্ছেন কিন। ছবি : টুইটার

মইস কিন (ইতালি, জুভেন্টাস)
ক্লাবে আছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো, মারিও মানজুকিচ, পাওলো দিবালা, গঞ্জালো হিগুয়েইনের মতো তারকারা। তাদের টপকে জুভেন্টাসের মূল স্ট্রাইকার হিসেবে খেলাটা মইস কিনের জন্য একটু কঠিনই। তাও যখনই সুযোগ পেয়েছেন, জাত চিনিয়েছেন। আইভরি কোস্ট বংশোদ্ভূত এ তারকা এর মধ্যেই ইতালির জাতীয় দলে খেলে ফেলেছেন। জুভেন্টাসের হয়ে ১৬ ম্যাচ খেলে এর মধ্যেই ৭ গোল করে ফেলেছেন তিনি।


আলফোনসো ডেভিস (কানাডা, বায়ার্ন মিউনিখ)
ঘানায় জন্ম নেওয়া কানাডার এই উইঙ্গারের প্রতি বায়ার্ন এতটাই মুগ্ধ হয়েছিল, যে গত জুলাইতেই তাড়াতাড়ি ভ্যাঙ্কুভার হোয়াইটক্যাপস থেকে ১৭ মিলিয়ন পাউন্ডের বিনিময়ে কিনে নেয়। যদিও আলফোনসো ডেভিস বায়ার্নে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দেন আরও ছয় মাস পরে। এর মধ্যেই নিকো কোভাচের অধীনে বেশ কয়টা ম্যাচ খেলে জানিয়ে দিয়েছেন, অ্যালিয়াঞ্জ অ্যারিনা কাঁপানোর জন্য প্রস্তুত তিনি।

ফেরান তোরেস (স্পেন, ভ্যালেন্সিয়া)
নিশ্চয়ই প্রতিভা আছে, না হয় ভ্যালেন্সিয়ার মতো ক্লাব তো খামোখা ফেরান তোরেসের ওপর ১০০ মিলিয়ন ইউরোর বাই আউট ক্লজ দিয়ে রাখেনি! দুই উইংয়েই সমানতালে খেলতে পারা এই উইঙ্গারকে এর মধ্যেই ‘নতুন মার্কো এসেনসিও’ আখ্যা দেওয়া হয়েছে। বার্সেলোনা ও রিয়াল মাদ্রিদ, উভয় ক্লাবই তোরেসকে পাওয়ার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

ইথান আমপাদু (ওয়েলস, চেলসি)
চেলসির এ তরুণ তারকা সেই তিন খেলোয়াড়ের মধ্যে একজন, বয়স ষোলো বছর হওয়ার আগেই ইংলিশ লিগ কাপে যারা খেলতে নেমেছিলেন। চুলের স্টাইল দেখলে অনেকটা চেলসির আরেক ডিফেন্ডার ডেভিড লুইজ ভেবে ভুল হতে পারে। এর মধ্যেই ওয়েলসের হয়ে আট ম্যাচ খেলেছেন ইথান আমপাদুর। খেলে ফেলেছেন ক্রোয়েশিয়া, স্পেন ও ফ্রান্সের বিপক্ষে। মূলত ডিফেন্সের মাঝখানে খেলা এই তারকা খেলতে পারেন সেন্ট্রাল মিডফিল্ডার হিসেবেও। সম্প্রতি চেলসি থেকে এক মৌসুমের ধারে জার্মান ক্লাব আরবি লাইপজিগে যোগ দিয়েছেন তিনি।

অগাস্টিন আলমেন্দ্রা (আর্জেন্টিনা, বোকা জুনিয়র্স)
মাত্র গত মৌসুম থেকে বোকা জুনিয়র্সের মূল দলের হয়ে খেলা শুরু করেছেন আর্জেন্টাইন তারকা অগাস্টিন আলমেন্দ্রা। এর মধ্যেই তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। নাপোলি থেকে শুরু করে এসি মিলান, এএস রোমা, বার্সেলোনা, টটেনহাম, ভ্যালেন্সিয়া—একাধিক ক্লাব তাঁকে পাওয়ার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। একজন আদর্শ সেন্ট্রাল মিডফিল্ডারের যা যা গুণ থাকা দরকার, মোটামুটি সবই আছে এই আলমেন্দ্রার। সামনের কোপা আমেরিকায় মেসিদের সঙ্গে আলমেন্দ্রাকে খেলতে দেখলে আশ্চর্য হবেন না যেন!

রদ্রিগো গোয়েস। ছবি : টুইটার
রদ্রিগো গোয়েস। ছবি : টুইটার

রদ্রিগো গোয়েস (ব্রাজিল, রিয়াল মাদ্রিদ)
ব্রাজিলের অনূর্ধ্ব-১৭ দলে ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের সতীর্থ ছিলেন এই তারকা। বল পায়ে কারিকুরি ও গোল করার ক্ষমতার দিক দিয়ে সতীর্থের চেয়ে কোনো অংশে কম যান না এই ব্রাজিলীয়। গত দিন বায়ার্ন মিউনিখের সঙ্গে প্রীতি ম্যাচে রিয়ালের হয়ে দুর্দান্ত এক ফ্রি-কিকে যেভাবে গোল করলেন, বিশ্বাস করতে কষ্ট হয়েছে তাঁর বয়স মাত্র আঠারো। 


ওজান কাবাক (তুর্কি, গ্যালাতাসারাই)
অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপে নজর কাড়া তুর্কির এই অধিনায়ক গত জানুয়ারিতেই গ্যালাতাসারাই থেকে যোগ দিয়েছিলেন স্টুটগার্টে। প্রতিভার ঝলক দেখাতে সময় নিলেন মাত্র ছয় মাস, আর তাঁকে নিয়ে কাড়াকাড়ি পড়ে গেল বড় ক্লাবগুলোর মধ্যে। রোমা, মিলানের মতো ক্লাবগুলো তাঁকে চাইলেও শেষমেশ জার্মানিতেই থেকে গেছেন এই তারকা, যোগ দিয়েছেন শালকে ০৪ এ।

উইলেম গিউবেলস (ফ্রান্স, মোনাকো)
গত মৌসুমে মাত্র ১৭ বছর বয়সে লিওঁ থেকে মোনাকোতে যোগ দিয়েছিলেন এই তারকা, ১৭.৪ মিলিয়ন পাউন্ডের বিনিময়ে। সাধারণত লেফট উইঙ্গার হিসেবে খেললেও স্ট্রাইকার হিসেবেও খেলতে পারেন তিনি। বল পায়ে দুর্দান্ত গতিশীলতার কারণে এর মধ্যেই ফ্রান্সে ‘নতুন কিলিয়ান এমবাপ্পে’ বলে ডাকা হচ্ছে তাঁকে। চোটের কারণে মোনাকোতে প্রথম মৌসুমে তেমন কিছু করতে না পারার কারণে এ মৌসুমে চোখ থাকবে তাঁর ওপর।

আগামী মৌসুমে ব্রাজাও আসবেন ইন্টারে। ছবি : টুইটার
আগামী মৌসুমে ব্রাজাও আসবেন ইন্টারে। ছবি : টুইটার

গ্যাব্রিয়েল ব্রাজাও (ব্রাজিল, ইন্টার মিলান)
অ্যালিসন বেকার আর এডারসন মোরায়েসের পর ব্রাজিলের সেরা গোলরক্ষক কে? অনেকের মতে এই প্রশ্নের উত্তর গ্যাব্রিয়েল ব্রাজাও। অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপে ব্রাজিলকে তৃতীয় করার পেছনে তাঁর ভূমিকা ছিল অনেক। সে ঝলক দেখিয়েই এই মৌসুমে ক্রুজেইরো থেকে যোগ দিয়েছেন পারমায়। পারমা থেকে সামনের মৌসুমে যোগ দেবেন ইতালিয়ান পরাশক্তি ইন্টার মিলানে। 


তাকেফুসা কুবো (জাপান, রিয়াল মাদ্রিদ)
তাকেফুসো কুবোকে কেন আইনসম্মতভাবে দলভুক্ত করেনি বার্সেলোনা, এ নিয়ে তাদের আক্ষেপ থাকতেই পারে। এ কারণে বার্সেলোনা থেকে জাপানে ফেরত যাওয়া এই তরুণ তারকাকে এবার কিনে নিয়েছে বার্সার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদ। এর মধ্যেই বল পায়ে নিজের কারিকুরি দেখিয়ে রিয়াল সমর্থকদের মন জয় করে নিয়েছেন ‘জাপানি মেসি’ নামে পরিচিত এই তারকা।

ল্যাম্পার্ডের অধীনে জ্বলে ওঠার অপেক্ষায় হাডসন-ওডোই। ছবি : টুইটার
ল্যাম্পার্ডের অধীনে জ্বলে ওঠার অপেক্ষায় হাডসন-ওডোই। ছবি : টুইটার

ক্যালাম হাডসন ওডোই (ইংল্যান্ড, চেলসি)
বয়স মাত্র আঠারো। এর মধ্যেই তাঁকে নিয়ে চেলসি ও বায়ার্ন মিউনিখের মতো দুটি বড় বড় ক্লাব টানাটানি শুরু করেছে। এতেই বোঝা যায় ক্যালাম হাডসন-ওডোইয়ের প্রতিভা কতটুকু। ইংলিশ তরুণ এই তারকাকে দলে আনার জন্য জন্য গত ছয় মাস ধরে বায়ার্ন মিউনিখ চেষ্টা করে যাচ্ছে। ৪০ মিলিয়ন ইউরোর প্রস্তাব পাঠিয়েও চেলসির মন গলাতে পারেনি তারা, হাডসন-ওডোইয়ের সামর্থ্যের ওপর চেলসির ভরসা এতটাই বেশি। ফ্রাঙ্ক ল্যাম্পার্ডের নতুন চেলসি এ মৌসুমে চাইলেও ট্রান্সফার নিষেধাজ্ঞার কারণে নতুন কাউকে দলে টানতে পারবে না, তাই নিঃসন্দেহে বলা যায়, এ মৌসুমে স্টামফোর্ড ব্রিজ মাতানোর অনেক সুযোগ পাবেন এই তরুণ। 


অ্যানহেল গোমেজ (ইংল্যান্ড, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড)
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের তরুণ এই তারকাকে এর মধ্যেই নতুন ‘জ্যাডোন সাঞ্চো’ বলা হচ্ছে। ইংল্যান্ডের প্রত্যেকটা বয়সভিত্তিক দলের অধিনায়ক ছিলেন এই তারকা। গোমেজের খেলা দেখে এর মধ্যেই ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সাবেক পর্তুগিজ তারকা নানি তাঁকে পরবর্তী তারকা আখ্যা দিয়েছেন। সাবেক ইংলিশ স্ট্রাইকার ড্যানিয়েল ওয়েবারের মতে, পল স্কোলসের মতো মাঝমাঠ নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা আছে অ্যানহেল গোমেজের।

নেহুয়েন পেরেজ (আর্জেন্টিনা, অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ)
আর্জেন্টিনার সাবেক খেলোয়াড় বলে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ কোচ ডিয়েগো সিমিওনের অভ্যাস আছে মাঝে মাঝেই আর্জেন্টাইন প্রতিভাবান তারকাদের দলে নিয়ে আসা। লুসিয়ানো ভিয়েত্তো, অগুস্তো ফার্নান্দেজ, অ্যানহেল কোরেয়া, আক্সেল ওয়ার্নারের মতো খেলোয়াড়দের তিনি এভাবেই নিয়ে এসেছেন। তালিকার সর্বশেষ সংযোজন নেহুয়েন পেরেজ। আর্জেন্টিনার অনূর্ধ্ব-২০ দলের অধিনায়ক এই ডিফেন্ডারের মাঝে এর মধ্যেই ভবিষ্যৎ তারকার খোঁজ পেয়ে গিয়েছেন অনেকে।

ক্রিস্টিয়ান ফ্রুখটল (জার্মানি, বায়ার্ন মিউনিখ)
নতুন ম্যানুয়েল নয়্যারকে পেয়ে গেছে জার্মানি, অন্তত বায়ার্ন মিউনিখের কর্মকর্তাদের দাবি সেটাই। ম্যানুয়েল নয়্যার নিজেই তাঁর উত্তরসূরির উন্নতি দেখে বেশ সন্তুষ্ট। এর মধ্যেই বায়ার্নের দ্বিতীয় গোলরক্ষক হিসেবে খেলা শুরু করেছেন ছয় ফুট চার ইঞ্চি উচ্চতার ক্রিস্টিয়ান ফ্রুখটল। সেপ মাইয়ার, অলিভার কান, জেন্স লেম্যান, ম্যানুয়েল নয়্যারের পর জার্মানি কি তবে আরেকটা কিংবদন্তি গোলরক্ষক পেতে যাচ্ছে?

এমিল স্মিথ-রো (ইংল্যান্ড, আর্সেনাল)
গত মৌসুমে বার্সেলোনার মতো ক্লাবে না গিয়ে আর্সেনালে এসেছিলেন স্মিথ-রো। কেন এসেছেন, সেটা গত মৌসুমেই ভালো ভাবে বুঝে গেছেন আর্সেনালের সমর্থকেরা। ইউরোপা লিগের গ্রুপপর্বে দুই গোল করেছেন আর্সেনালের হয়ে। ম্যানচেস্টার সিটির কেভিন ডে ব্রুইনিয়াকে আদর্শ মানা এই তারকা গত মৌসুমের শেষ ভাগে জার্মান ক্লাব আরবি লাইপজিগে ধারে খেলে গেছেন।

লাইনেজকে বলা হচ্ছে ‘মেক্সিকোর মেসি’। ছবি : টুইটার
লাইনেজকে বলা হচ্ছে ‘মেক্সিকোর মেসি’। ছবি : টুইটার

দিয়েগো লাইনেজ (মেক্সিকো, রিয়াল বেতিস)
এর মধ্যেই ‘মেক্সিকান মেসি’ হিসেবে পরিচিত হয়ে গিয়েছেন এই তারকা। মেক্সিকোর ক্লাব আমেরিকার হয়ে আলো ছড়ানোর পর গত মৌসুমেই ১২ মিলিয়ন পাউন্ডের বিনিময়ে রিয়াল বেতিসে যোগ দেন এই তরুণ। বেতিসের হয়ে গত মৌসুমে তেমন কিছু করতে পারেননি। ইউরোপীয় ফুটবল শিখতে শিখতেই এক মৌসুম কেটে গেছে। ইউরোপা লিগে রেনেঁর বিপক্ষে এক গোল করে বুঝিয়ে দিয়েছেন, সামনে আরও অনেক কিছু দেখানোর বাকি আছে তাঁর। আক্রমণভাগের যেকোনো জায়গায় স্বাচ্ছন্দ্যের সঙ্গে খেলতে পারা বাম পায়ের এই তারকাকে নিয়ে সামনে যে কাড়াকাড়ি লেগে যাবে না বড় ক্লাব গুলোর মধ্যে, তাঁর নিশ্চয়তা কি?