শুধু মাহমুদউল্লাহ নন, কাউকে দোষ দিতে চান না তামিম

মাহমুদউল্লাহর আউটের ধরন প্রশ্ন তুলেছে বেশি । ছবি: এএফপি
মাহমুদউল্লাহর আউটের ধরন প্রশ্ন তুলেছে বেশি । ছবি: এএফপি
>কাল একটি ক্যাচ ফেলেছেন মাহমুদউল্লাহ। ইদানীং বাংলাদেশের ফিল্ডিংয়ে এটা স্বাভাবিক ঘটনা। বরং কাল মাহমুদউল্লাহর আউটের ধরন ছিল বেশি প্রশ্নবিদ্ধ

হারের পরই ভুল ত্রুটি খোঁজা হয় বেশি। একটি জয় যেমন বড় বড় অনেক ভুলই আড়ালে ফেলে দেয়, তেমনি একটি হারে আপাতদৃষ্টিতে ভালো দিককেও মন্দ বলে মনে করায়। কাল শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশের ৯১ রানের হারের পর অবশ্য অতটা খুঁতখুঁতে হতে হয়নি। দলের খেলার ভুল ভ্রান্তি এমনিতেই পরিষ্কার বোঝা গেছে কাল।

বোলিংয়ের শুরুতে ভুল ছিল, ছিল ফিল্ডিংয়েও ভুল। আর ব্যাটসম্যানদের ভুলগুলো এসবও ছাড়িয়ে গেছে। এর মাঝে সবচেয়ে দৃষ্টিকটু ছিল মাহমুদউল্লাহর আউট। ৩০ রানে ৩ উইকেট হারানো দলকে গুছিয়ে আনার দায়িত্ব ছিল তাঁর, তবু সে অবস্থায় উচ্চাভিলাষী এক শট খেলে আউট হয়েছেন মাহমুদউল্লাহ। তবে অধিনায়ক তামিম ইকবাল ঢালাওভাবে শুধু মাহমুদউল্লাহর দোষ দেখছেন না।

মালিঙ্গার স্পেল মাত্রই শেষ হয়েছে। অপর প্রান্তে ভালো ফর্মে থাকা মুশফিকুর রহিম। তখনই সুযোগ ছিল একটা ভালো জুটি গড়ে পরিস্থিতি সামলে নেওয়ার। কিন্তু ৩ উইকেটে ৩৯ রান দলের, এমন অবস্থায় লাহিরু কুমার একটি শর্ট লেংথের বলকে গাইড করে থার্ডম্যান দিয়ে পাঠাতে চাইলেন মাহমুদউল্লাহ। বলে যথেষ্ট গতি ছিল, কিন্তু শটটি ভালোভাবে খেলতে মাহমুদউল্লাহ যে ঠিকমতো পজিশনেই যেতে পারেননি। ফলে দলকে মহা বিপদের রেখে ৩ রানে ফিরেছেন অভিজ্ঞ এ ব্যাটসম্যান।

মজার ব্যাপার দলের ওই পরিস্থিতিতে মাহমুদউল্লাহর অমন শট খেলায় কোনো দোষ দেখছেন না তামিম, ‘মিঠুন ও সৌম্য ভালো ব্যাট করছিল। ও যদি আরেকটু সময় নিত তাহলে আরও ভালো হতো। মাহমুদউল্লাহর ব্যাপারটা বলতে গেলে, উনি সাধারণত যখন ব্যাটিংয়ে নামে তখন আমাদের অনেক আশা থাকে। কারণ তিনি একজন অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। অনেক দিন ধরে ভালো পারফর্ম করছেন। আজ যে শট ছিল, আমার মনে হয়েছে শট ঠিকই ছিল, উনি ঠিকভাবে খেলতে পারেননি সেটা।’

দলে মাশরাফি ও সাকিবের মতো দুই অভিজ্ঞ খেলোয়াড়ের অভাব। এমন অবস্থায় মাহমুদউল্লাহ, তামিমদেরই সবচেয়ে বেশি দায়িত্ব নিতে হবে। ফিল্ডিংয়ে একটি বড় ভুল করার পর ব্যাট হাতে বাড়তি কিছু করা প্রয়োজন ছিল মাহমুদউল্লাহর। সেটা আর পারলেন কই! বরং যেভাবে আউট হয়েছেন তাতে ভুল বার্তাই পাওয়া যায়। তামিম অবশ্য দায়িত্ব নেওয়ার প্রসঙ্গেও আগলে রাখছেন মাহমুদউল্লাহর মতো সিনিয়রদের, ‘দায়িত্ব সবারই নেওয়া উচিত। আমার মনে হয় শুধু একজনকে দায় দেওয়াটা ঠিক না। আমাদের সবাইকে দায়িত্ব নিতে হবে। জাতীয় দলের হয়ে দশ বছর খেলুক কিংবা দুই বছরই খেলুক, দায়িত্ব নিতে হবে। এক বা দুজনকে দোষ দেওয়াটা ঠিক না।’

দোষ কিংবা দায় দিতে চায় না কেউ। কিন্তু এক দশকের আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা নিয়েও পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যাট করতে ব্যর্থ হলে সমালোচনাও যে এড়ানো যায় না সেটাও মেনে নেওয়া দরকার।