যে কারণে টিকে গেলেন মিনহাজুল-হাবিবুল

নির্বাচক হিসেবে মিনহাজুল-হাবিবুলের জুটি এখনই ভাঙছে না। ছবি: প্রথম আলো
নির্বাচক হিসেবে মিনহাজুল-হাবিবুলের জুটি এখনই ভাঙছে না। ছবি: প্রথম আলো

কদিন ধরেই দেশের ক্রিকেটে গুঞ্জন ছিল মিনহাজুল আবেদীন-হাবিবুল বাশারের নির্বাচক কমিটির মেয়াদ আর বাড়বে না। আজ বোর্ড সভা শেষে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান অবশ্য এ গুঞ্জনের অবসান ঘটিয়েছেন। জানিয়ে দিয়েছেন, মেয়াদ বাড়ছে মিনহাজুল-হাবিবুলের। দুজনই নির্বাচক প্যানেলে থাকছেন ২০২০ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত।

হাবিবুলের ব্যাপারটি নিশ্চিত না হলেও গত কদিনে এটি মোটামুটি নিশ্চিত হওয়া গিয়েছিল মিনহাজুলের আর প্রধান নির্বাচক হিসেবে থাকা হচ্ছে না। তাঁকে প্রধান নির্বাচক হিসেবে রাখা হবে না বলেই বিসিবি আকস্মিকভাবে বাতিল করেছিল শ্রীলঙ্কা সফরের টিকিট। তবুও শেষ পর্যন্ত মিনহাজুল টিকে গেছেন। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান বলেছেন, নির্বাচকদের পারফরম্যান্স নিয়ে তাঁরা সন্তুষ্ট। এ কারণে দুজনের মেয়াদ বেড়েছে।

সূত্র জানাচ্ছে, নতুন নির্বাচক প্যানেলে গড়তে যে নামগুলো গত কিছুদিনে শোনা গেছে তাঁদের গ্রহণযোগ্যতা কিংবা যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় বিসিবির নীতিনির্ধারকেরা বিতর্কিতদের নতুন নির্বাচক প্যানেলে অন্তর্ভুক্ত করতে চায়নি। রাতে এক পরিচালক বললেন, ‘পরিচালকদের কেউ কেউ চেয়েছিলেন নতুন নির্বাচক কমিটি গঠন হোক। কিন্তু কাদের নিয়ে গঠিত হবে? যোগ্য লোক পাওয়াই তো এই মুহূর্তে কঠিন। যে নামগুলো এসেছে, তাঁদের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন ছিল। শেষ পর্যন্ত পুরোনোদের ওপর ভরসা রাখা হয়েছে।’

মিনহাজুল ও হাবিবুল ২০১১ সাল থেকেই নির্বাচক কমিটিতে। শুরুতে আকরাম খান ও পরে ফারুক আহমেদের অধীনে নির্বাচকের দায়িত্ব পালন করা মিনহাজুল প্রধান নির্বাচক হন ২০১৬ সালের জুনে। আজকের বোর্ড সভার পর নিশ্চিত হওয়া গেল, দুজনের জুটিটা এখনই ভাঙছে না। বরং সেটি লম্বা হচ্ছে আরও দেড় বছর।