সাকিব বলছেন দুই ম্যাচ হারায় সব শেষ নয়

সাকিব দলের পাশে থাকার আহ্বান জানাচ্ছেন। প্রথম আলো ফাইল ছবি
সাকিব দলের পাশে থাকার আহ্বান জানাচ্ছেন। প্রথম আলো ফাইল ছবি

চট্টগ্রামেই তাঁর অভিষেক টেস্ট। চট্টগ্রামের মেজবান, গরুর কালো ভুনা খুবই পছন্দ তাঁর। আজ মঙ্গলবার চট্টগ্রামেই বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের সংবর্ধনা হয়ে গেল। বিশ্বকাপে দুর্দান্ত খেলার পুরস্কার হিসেবে পাওয়া এ সংবর্ধনায় সাকিব আল হাসান নিজেও আপ্লুত।

স্বপ্নের মতো একটি বিশ্বকাপ শেষে কদিনের ছুটিতে ইউরোপে ছিলেন। দুদিন আগে দেশে ফিরেছেন সাকিব। ক্রিকেটের বড় মঞ্চে ৬০৬ রান আর ১১ উইকেট নেওয়া এই অলরাউন্ডারকে আজ চট্টগ্রামের এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে সংবর্ধনা দিয়েছে সিজেকেএস। সাকিবের হাতে নগরের চাবি তুলে দেন সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ক্রীড়া সংগঠক আলী আব্বাস, সিরাজুদ্দীন মোহাম্মদ আলমগীর প্রমুখ।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সাকিবকে কাছে পেয়ে ভীষণ উচ্ছ্বসিত বিভিন্ন ক্রিকেট একাডেমি থেকে আসা খুদে ক্রিকেটাররা। তারাও স্বপ্ন দেখে সাকিবের মতো ক্রিকেটার হওয়ার। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারকে কত যে প্রশ্ন তাদের। তারাও বিশ্বকাপে সাকিবের পারফরম্যান্সের পেছনের রহস্য খুঁজল প্রিয় ক্রিকেটারের কাছে। তামিম নামে খুদে ক্রিকেটার জানতে চাইল, ধারাবাহিক ভালো করতে হলে কী করতে হবে? সাকিব বললেন, ‘আমি তিন চার-মাস আগে থেকে নিজেকে প্রস্তুত করেছি। চ্যালেঞ্জ নিয়েছি। ওটা কাজে এসেছে। দেশের মানুষের সমর্থন ছিল, দোয়া ছিল। আর ভালো খেলতে হলে চাপকে জয় করে, খেলাকে উপভোগ করে পরিশ্রম এবং শৃঙ্খলাবদ্ধ থাকতে হবে। তোমাদের মধ্য থেকে ভালো ক্রিকেটার উঠে আসবে।’

খুদে ক্রিকেটারদের নানা প্রশ্নের জবাব দিতে কোনো ক্লান্তি ছিল না সাকিবের। ইশরাক নামে একজন জানতে চাইল ম্যাচের আগে টেনশন কমানোর উপায় কী? সাকিব বলেন, ‘পরীক্ষার আগে যেমন প্রস্তুতি নিতে হয়, তেমনি খেলার আগেও নিতে হয়। যদি বই পড়া থাকে, তাহলে পরীক্ষার আগে টেনশন হওয়ার কথা নয়। তেমনি নিজেকে ভালোভাবে প্রস্তুত করলে ম্যাচের আগেও টেনশন হবে না।’

চট্টগ্রাম জেলা মহিলা দলের সাইমন আকতার দোলার প্রশ্নের জবাবে সাকিব বলেন, ‘মেয়েরা এশিয়া কাপ জিতেছে। আমরা ছেলেরা পারিনি। স্বীকার করতে হবে মেয়েদের ক্রিকেট এখনো সেভাবে অগ্রাধিকার পাচ্ছে না। তবে আস্তে আস্তে সবকিছু উন্নত হচ্ছে।’ নবীন ক্রিকেটারদের উদ্দেশে সাকিবের পরামর্শ, ‘স্বপ্ন দেখতে হবে। স্বপ্নের পেছনে ছুটতে হবে। শচীন-কোহলির মতো ক্রিকেটার হতে হলে স্বপ্নের পেছনে ছুটতে হবে। পাশাপাশি স্বপ্নটা বাস্তবায়নের জন্য পরিশ্রম করে যাও।’

খুদে ক্রিকেটারদের উদ্দেশে না হয় পরামর্শ দেওয়া গেল। কিন্তু বাংলাদেশ দলের উদ্দেশে তাঁর কী বার্তা থাকবে? সাকিব নেই, নেই মাশরাফি-লিটন-সাইফউদ্দীন। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ তো হেরেছেই, এখন ধবলধোলাইয়ের শঙ্কা। এ দুঃসময়ে সাকিব আহ্বান জানাচ্ছেন বাংলাদেশ দলের পাশে থাকতে, ‘দুই ম্যাচ হেরেছে বলে সব শেষ, তা নয়। ক্রিকেটারদের পাশে থাকতে হবে। উৎসাহ দিয়ে যেতে হবে।’