তামিমকে বিশ্রাম নেওয়ার পরামর্শ সাকিবের

সাকিব যদি শ্রীলঙ্কা সিরিজে খেলতেন, তবে কি এই ফল হতো? তামিম কেন সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে পারলেন না? ডেঙ্গু নিয়ে সচেতনতামূলক কার্যক্রমে অংশ নিতে গিয়ে এসব প্রশ্নের উত্তর দিতে হলো সাকিবকে
দুর্দান্ত ছন্দে সাকিব কিন্তু ছন্দে নেই তামিম। ছবি: প্রথম আলো
দুর্দান্ত ছন্দে সাকিব কিন্তু ছন্দে নেই তামিম। ছবি: প্রথম আলো

সাকিব আল হাসান বেলা ১১টার দিকে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে এসেছিলেন সদ্য প্রয়াত বাংলাদেশ দলের প্রথম অধিনায়ক শামিম কবিরের জানাজায় অংশ নিতে। সেখান থেকে তড়িঘড়ি করে ছুটলেন বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজে। অংশ নিলেন ডেঙ্গু নিয়ে সচেতনতামূলক কার্যক্রমে। ডেঙ্গু যেভাবে ছড়াচ্ছে, পুরো দেশই চিন্তিত। চিন্তা আছে বাংলাদেশ দলের পারফরম্যান্স নিয়েও।

বিশ্বকাপে প্রত্যাশা অনুযায়ী ভালো ফল আসেনি। শ্রীলঙ্কা থেকে বাংলাদেশ ফিরেছে ধবলধোলাইয়ের লজ্জা নিয়ে। বিশ্বকাপে দুর্দান্ত খেলা সাকিব যদি এই সিরিজে বিশ্রাম না নিতেন, লঙ্কানদের বিপক্ষে কি এমন হাবুডুবু খেতে হতো বাংলাদেশকে? ডেঙ্গু কার্যক্রমে অংশ নিতে যাওয়া বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার অবশ্য বললেন, তিনি থাকলেই যে ফল ভিন্ন হতো, সেটির নিশ্চয়তা নেই, ‘আমি গেলে ভালো কিছু নাও করতে পারতাম। টানা তিন ম্যাচে শূন্য রানে আউট হতে পারতাম। কোনো অবদান না–ও রাখতে পারতাম। যখন একটা ক্রিকেটার তৈরি থাকে, তখনই তার খেলা উচিত। তৈরি না থেকে খেলা উচিত নয়। ফিট না থেকে খেলা কঠিন, পারফরম্যান্সে সেটির প্রভাব ফেলে। এ জিনিসগুলো আমাদের বুঝতে হবে। আধুনিক ক্রিকেটে এত ম্যাচ, এসব সামলে খেলতে হবে। সিরিজের ফাঁকে তাই বিরতি থাকা দরকার। এতে অন্য ক্রিকেটারদের সুযোগ আসে। পাইপলাইনের ক্রিকেটারদের উঠে আসতে সাহায্য করে। এটা আসলে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয়। কোনো ভুল–বোঝাবুঝি যাতে না হয়, সেভাবে ভালোভাবে সমন্বয় করে এ সিদ্ধান্তে আসতে হবে।’

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে যে ফল নিয়ে ফিরেছে বাংলাদেশ, তাতে সবার মতো সাকিবও হতাশ। ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক তামিম ইকবালের পারফরম্যান্স নিয়ে তিনি কতটা হতাশ, সেটি তো আর বলতে পারেন না। তবে দুঃসময় কাটিয়ে উঠতে বন্ধু তামিমকে সাকিবের পরামর্শ, ‘একজন ক্রিকেটারের এমন সময় আসতেই পারে। এখন আমার মনে হয় যে ওর জন্য যেটা দরকার, খুব ভালো একটা বিশ্রাম নেওয়া, নিজেকে ফিরে পাওয়া, সজীব হওয়া এবং ভালোভাবে ফিরে আসা। আমি নিশ্চিত ও (তামিম) এটা পারবে।’

তামিমের ফিরতে হবে। ধারাবাহিক ভালো করতে হবে বাংলাদেশকেও। সাকিব মনে করেন ধারাবাহিক ভালো করতে হলে লম্বা মেয়াদে একটা ভালো পরিকল্পনা থাকতে হবে। তবে আপাতত বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের ব্যক্তিগত পরিকল্পনা, পবিত্র হজে যাওয়া। সেখান থেকে ফিরে যোগ দেবেন দলের অনুশীলনে।

বাংলাদেশ দলের কন্ডিশনিং ক্যাম্প শুরু হওয়ার কথা ২০ আগস্ট। ৫ সেপ্টেম্বর আফগানিস্তানের বিপক্ষে একমাত্র টেস্ট দিয়ে হয়তো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরবেন সাকিব।