সাকিবের 'বিশ্রাম-নীতি' যেভাবে দেখছে বিসিবি

সাকিব আল হাসান মনে করেন, খেলোয়াড়দের ফিট রাখতে ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে খেলোনোর পদ্ধতিতে যেতে পারে বাংলাদেশ। তাঁর মতামতকে কীভাবে দেখছে বিসিবি
বিশ্রাম-নীতির প্রস্তাব দিয়েছেন সাকিব। ছবি: প্রথম আলো
বিশ্রাম-নীতির প্রস্তাব দিয়েছেন সাকিব। ছবি: প্রথম আলো

চোটের সঙ্গে বাংলাদেশ যেন কিছুতেই পেরে উঠছে না! বিশ্বকাপের আগে-পরে এবং টুর্নামেন্টের মাঝে চোটে পড়েছেন দলের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটার। এতে প্রভাব পড়েছে দলের পারফরম্যান্সেও। সাকিব আল হাসান কাল রোববার বলেছেন, খেলোয়াড়দের ফিট রাখতে বিশ্রাম-নীতিতে যাওয়া দরকার বাংলাদেশের। উদাহরণ হিসেবে এই বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার ভারতের কথাই বলেছেন। সাকিবের যুক্তি, ‘গত বছর ওদের (ভারতের) ইতিহাসে কম চোটে পড়েছে খেলোয়াড়েরা। এর একটা বড় কারণ ওরা ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে খেলিয়েছে। এটাতে যেটা হয়েছে, ওদের অনেক খেলোয়াড় তৈরি হয়েছে। অনেকে খেলোয়াড় পরিচিতি পেয়েছে। ওদের খেলোয়াড়দের যখন যে এসেছে তখন সজীব থেকে খেলতে পেরেছে এবং ভালো করতে পেরেছে।’ সাকিবের প্রস্তাবে অবশ্য দুই ধরনের মতোই আছে। কেউ বলছেন, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) এটা কার্যকর করতে পারে। কেউ বলছে, বাংলাদেশের এখনো এ পথে হাঁটার সময় হয়নি। কিন্তু বিসিবি এ নিয়ে কী ভাবছে? বা তারা এ প্রস্তাব কীভাবে দেখছে?

বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দীন চৌধুরী বললেন, ‘ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড পুরো দলকে নিশ্চয়ই বিশ্রাম দেয় না। নির্দিষ্ট কিছু খেলোয়াড়ের ব্যাপারেই তারা এ সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে, এক সঙ্গে অনেক খেলোয়াড় নয়। যে ক্রিকেটারদের বিশ্রাম দেওয়া হবে তাদের যথার্থ বিকল্পও থাকতে হবে। একজনকে বিশ্রাম দিলেন, তার জায়গায় যে খেলবে সে নির্দিষ্ট প্রতিপক্ষের সঙ্গে কতটা কার্যকর সেটাও দেখার বিষয় আছে।’

কার পারফরম্যান্স কেমন কিংবা কন্ডিশন বিবেচনায় কোন দলের বিপক্ষে কোন খেলোয়াড় উপযুক্ত, এটি বুঝে যেহেতু দল নির্বাচন করেন নির্বাচকেরা, বিষয়টি নির্বাচকদের হাতেই ছেড়ে দেওয়ার পক্ষে বিসিবির প্রধান নির্বাহী। তিনি বলেন, ‘এটা নির্বাচক কমিটির ব্যাপার। তারা যদি বিশ্রাম নীতি অবলম্বন করে, সেটি দেখা গেল কাজে এল না, এসব নিশ্চয়ই তারা চিন্তা করবে। তাদের হাতে কেমন বিকল্প খেলোয়াড় আছে, সেটি কতটা কার্যকর, এসবের ওপর সব নির্ভর করে। আমাদের কাছে এটা ঠিক নীতি হবে না। প্রতিপক্ষ, বিকল্প এবং খেলোয়াড়ের কার্যকারিতা—এসব চিন্তা করেই দল গড়তে হবে।’