স্মিথই যখন ভরসা

অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় ইনিংসেও ভরসা স্মিথের ব্যাট। ছবি: রয়টার্স
অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় ইনিংসেও ভরসা স্মিথের ব্যাট। ছবি: রয়টার্স
>এজবাস্টন টেস্টে তৃতীয় দিন শেষে ইংল্যান্ডের চেয়ে ৩৪ রানে এগিয়ে আছে অস্ট্রেলিয়া। হাতে এখনো ৭ উইকেট রয়েছে। তৃতীয় দিন শেষে অস্ট্রেলিয়া ৩ উইকেটে তুলেছে ১২৪ রান। প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ছিল ২৮৪ রান।

অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ইনিংসে ২৮৪ রানের জবাবে ইংল্যান্ড রান করেছে ৩৭৪। ৯০ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে অস্ট্রেলিয়া। শুরুতেই ডেভিড ওয়ার্নার, ব্যানক্রফট, উসমান খাজার মতো তিন টপ অর্ডারকে হারানো অস্ট্রেলিয়াকে বেশ বিবর্ণই দেখাচ্ছিল। তবে অস্ট্রেলিয়ার হতাশার কালো মেঘে ঢাকা আকাশে ঝলমলে সূর্য হয়ে ফের উঁকি দিতে শুরু করেছেন স্মিথ। ৬১ বলে ৪৬ রান করে এখনো উইকেটে আছেন। প্রথম ইনিংসে ১৪৪ রান করে দলকে খাদের কিনার থেকে টেনে তুলেছিলেন স্মিথ। স্মিথকে সঙ্গ দিচ্ছেন মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান ট্রাভিস হেড। হেড অপরাজিত আছেন ২১ রানে।
শনিবার তৃতীয় দিনে ইংলিশদের হয়ে ব্রড, মঈন আলী ও স্টোকস ১টি করে উইকেট নেন। আলোর স্বল্পতার কারণে এদিন ১৩ ওভার কম খেলেছে অস্ট্রেলিয়া।

অস্ট্রেলিয়া দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতেই ব্রডের তোপের মুখে পড়েন। ব্যাটিংয়েও ব্রডের কল্যাণেই ইনিংসে লিড পায় ইংল্যান্ড। ব্রডের বলে বেয়ারস্টোকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ওয়ার্নার। প্রথম ইনিংসেও এ ওপেনার ব্যর্থ হয়েছিলেন লম্বা ইনিংস খেলতে। একইভাবে আরেক ওপেনার ব্যানক্রফটও ড্রেসিং রুমের রাস্তা ধরেন। ব্যানক্রফটকে শিকার করেন মঈন আলী। ২৭ রানে ২ উইকেট হারিয়ে অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটিং লাইনআপ তখন বেসামাল। তিনে নেমে উসমান খাজা দ্রুত রান তুলে পাল্টা আঘাত করতে চেয়েছিলেন। তাঁরও শেষ রক্ষা হয়নি। ৪৮ বলে ৪০ রান করে আউট হন তিনি।

আগের দিনের ৪ উইকেটে ২৬৭ রান নিয়ে ব্যাটিং করতে নেমেছিল ইংল্যান্ড। ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি পাওয়া রোরি বার্নস নেমেছিলেন ১২৫ রান নিয়ে, ফিরে গেছেন আর ৮ রান যোগ করেই। তাঁর আগে ফেরেন বেন স্টোকসও। কিন্তু নবম উইকেটে জমে যান ওকস আর ব্রড। তাঁদের জুটিটি ৬৫ রানের, এতে ওকসের অবদান ৭৯ বলে ৩১। ব্রড যা করেছেন তা-ও অসাধারণ। ৬৭ বল খেলে দুটি চারে করেছেন ২৯ রান।