মেসির মৃত্যু কামনা করা ফুটবলারকেই কিনে আনল বার্সেলোনা!

গত মৌসুমে বেশ আলো ছড়িয়েছিলেন ফিরপো। ছবি : টুইটার
গত মৌসুমে বেশ আলো ছড়িয়েছিলেন ফিরপো। ছবি : টুইটার
গতকাল রিয়াল বেতিস থেকে স্প্যানিশ লেফটব্যাক জুনিয়র ফিরপোকে দলে এনেছে বার্সেলোনা। অথচ এই ফিরপোই কয়েক বছর আগে বার্সা তারকা লিওনেল মেসির মৃত্যু কামনা করতেন!


বেশ কয়েক মাস ধরেই একজন ভালো লেফটব্যাক খুঁজছিল বার্সেলোনা। দলের মূল লেফটব্যাক জর্ডি আলবার সঙ্গে অদলবদল করে খেলানোর জন্য। লুকাস দিনিয়ে, আদ্রিয়ানোর চলে যাওয়ার পর বার্সার বাড়তি কোনো লেফটব্যাক ছিল না। গতকাল সেই অভাব পূরণ করেছে তারা। রিয়াল বেতিস থেকে ১৬.৫ মিলিয়ন পাউন্ডের বিনিময়ে স্প্যানিশ লেফটব্যাক জুনিয়র ফিরপোকে নিয়ে এসেছে তারা। সেই ফিরপো, যিনি এক সময় বার্সার সবচেয়ে বড় তারকা লিওনেল মেসির মৃত্যু কামনা করতেন!

২০১২ সালে ফিরপোর বেশ কিছু টুইটের সন্ধান পাওয়া গেছে, যেখানে তিনি যাচ্ছেতাই ভাষায় মেসিকে গালিগালাজ করেছেন, মেসির মৃত্যু কামনা করেছেন। তখন ফিরপোর বয়সই–বা কত হবে, ১৫। ১৫ বছরের ফিরপো টুইটারে মেসিকে নিয়ে যা যা লিখেছেন, সেগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ‘ভদ্র’ ভাষার টুইটটিকে অনুবাদ করলে হয়, ‘আশা করব মেসি যেন চোটে আক্রান্ত হয়, খুব তাড়াতাড়ি মারা যায় আর গোল করা বন্ধ করে দেয়!’ অশ্রাব্য গালিগালাজসংবলিত অন্যান্য টুইট তো ছিলই!

স্বাভাবিকভাবেই গতকাল বার্সায় যোগ দেওয়ার পর ফিরপোর দিকে এই টুইট-সম্পর্কিত প্রশ্নবাণ ধেয়ে এসেছে। জাতে ডিফেন্ডার ফিরপো সেসব প্রশ্নগুলো ‘ডিফেন্ড’ও করেছেন বেশ ভালোভাবে, ‘এসব টুইটগুলো সম্পর্কে ব্যাখ্যা দিতে আমার কোনো সমস্যা নেই। তখন আমার বয়স কম ছিল, আবেগের বশে অনেক কিছুই লিখে ফেলেছি। তখন আমার যে সবচেয়ে ভালো বন্ধু ছিল সে বার্সেলোনায় থাকত, মেসি তার সবচেয়ে প্রিয় খেলোয়াড় ছিল।’

বার্সায় এসে ঠিকই মেসির গুণগান করা শুরু করে দিয়েছেন এই তরুণ, ‘কোনো ধরনের সন্দেহ ছাড়াই মেসি বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়। আমার মতে প্রত্যেক বছর শুধু মেসিকেই ব্যালন ডি’অর দেওয়া উচিত আর অন্য খেলোয়াড়দের জন্য অন্য পুরস্কারের ব্যবস্থা করা উচিত!’

ফিরপোর প্রতি আগ্রহী ছিল আর্সেনাল, লিভারপুলের মতো ক্লাবগুলোও। কিন্তু শেষমেশ বার্সাতেই যোগ দিলেন এই তারকা। বার্সার সঙ্গে তাঁর চুক্তি হয়েছে পাঁচ বছরের। বার্সা জানিয়েছে, নতুন আসা এই খেলোয়াড়ের বাই আউট ক্লজ নির্ধারণ করা হয়েছে ২০০ মিলিয়ন ইউরো। অর্থাৎ, বার্সার সঙ্গে ফিরপোর চুক্তি শেষ হওয়ার আগে কোনো ক্লাব যদি বার্সার অনুমতি ছাড়া তাঁকে কিনতে চায়, ২০০ মিলিয়ন ইউরো দেওয়া লাগবে তাদের।