শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপে খেলবে মোহনবাগান

মোহন বাগান ক্লাবের কর্মকর্তাদের সঙ্গে চট্টগ্রাম আবাহনীর ফুটবল কমিটির চেয়ারম্যান তরফদার রুহুল আমিন। সংগৃহীত ছবি
মোহন বাগান ক্লাবের কর্মকর্তাদের সঙ্গে চট্টগ্রাম আবাহনীর ফুটবল কমিটির চেয়ারম্যান তরফদার রুহুল আমিন। সংগৃহীত ছবি
>অক্টোবরের মাঝামাঝি চট্টগ্রামে বসবে শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপ। টুর্নামেন্টে খেলার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মতি জানিয়েছে কলকাতার জনপ্রিয় ক্লাব মোহনবাগান।

অক্টোবরে অনুষ্ঠেয় শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপে কলকাতার ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগানকে চাই-ই চাই আয়োজক চট্টগ্রাম আবাহনীর। জনপ্রিয় এই দুই দলকে রাজি করানোর জন্য কলকাতায় গিয়েছেন ক্লাবটির ফুটবল কমিটির চেয়ারম্যান ও পৃষ্ঠপোষক সাইফ পাওয়ারটেকের কর্ণধার তরফদার রুহুল আমিন। আজ মোহনবাগানের সঙ্গে প্রথম সভায় সফল হয়েছেন। শেখ কামাল ক্লাব কাপে খেলতে আনুষ্ঠানিকভাবে রাজি হয়েছে মোহনবাগান।

অক্টোবরের মাঝামাঝি হবে আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টটি। ৮ ক্লাবের টুর্নামেন্টে মোহন বাগানের মূল দলটাই আসবে বলে কলকাতা থেকে জানিয়েছেন রুহুল আমিন, ‘মোহনবাগান ক্লাবের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আমরা আজই প্রথম আলোচনায় বসেছিলাম। তারা আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দিয়ে শেখ কামাল ক্লাবে অংশগ্রহণ করার জন্য সম্মতি দিয়েছে। আমাদের টুর্নামেন্টটিকে তারা আই লিগের প্রস্তুতি হিসেবে নিচ্ছে।’ আই লিগ শুরু হবে নভেম্বরে ।

শুধু ভারতে নয়, দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম সেরা দল বলা হয় কলকাতার জনপ্রিয় ক্লাব ইস্ট বেঙ্গল ও মোহনবাগানকে। এবার এই দুই দলকে একসঙ্গে নিয়ে শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপ আয়োজন করতে চায় চট্টগ্রাম আবাহনী। চট্টগ্রামে আয়োজিত আন্তর্জাতিক এই টুর্নামেন্টে মোট ৮টি দল অংশ নেবে। এর মধ্যে ৫টি বিদেশি দল রাখতে চায় আয়োজক চট্টগ্রাম আবাহনী।

ভারতের দুই ক্লাব থাকলে টুর্নামেন্টের জৌলুশ বেড়ে যাবে বহুগুণ। ২০১৫ সালে প্রথম শেখ কামাল টুর্নামেন্টে খেলতে এসেছিল ইস্টবেঙ্গল। সেবার চট্টগ্রাম আবাহনীর সঙ্গে হেরে রানার্সআপ হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল তাদের। প্রথম আসরে তাদের খেলা দেখার জন্য গ্যালারিতে উপচে পড়েছিল দর্শক। তাই আবার ইস্টবেঙ্গলকে নিয়ে আসার চেষ্টা আয়োজকদের।

বাকি তিনটি বিদেশি দলের জন্য মালদ্বীপ, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর ও কম্বোডিয়াকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। আর বাংলাদেশের তিন ক্লাব হলো আয়োজক চট্টগ্রাম আবাহনী, আবাহনী লিমিটেড ও প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়ন নবাগত বসুন্ধরা কিংস। এবার অংশগ্রহণকারী দলগুলোকে দেওয়া হবে ১০ হাজার মার্কিন ডলার। চ্যাম্পিয়ন দলকে দেওয়া হবে ৫০ হাজার মার্কিন ডলার। রানার্সআপ দলের পুরস্কারের পরিমাণটা হতে পারে ৩০ হাজার মার্কিন ডলার।

টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় ও সর্বশেষ আসর বসেছিল ২০১৭ সালে। শেষবার ফাইনালে উঠতে পারেনি বাংলাদেশের কোনো ক্লাব। সেমিফাইনালে দক্ষিণ কোরিয়ার ক্লাব এফসি পোচেয়নের কাছে ২-১ গোলে হেরে বিদায় নেয় আয়োজক চট্টগ্রাম আবাহনী। আর চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল মালদ্বীপের টিসি স্পোর্টস। তবে ২০১৫ সালের প্রথম আসরটা আয়োজকদের জন্য স্মরণীয় হয়ে আছে। সেবার ভারতের ইস্টবেঙ্গলকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল চট্টগ্রাম আবাহনী।